ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে উদ্ধার করতে শুরু হয়েছে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনীর প্রস্তুতি, হুঁশিয়ারি পুতিনের

Main বিদেশ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ৬, ২০২২ @ ২০:০১

এসপিটি নিউজ ব্যুরো: ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণ আজ ১১ দিনে পড়েছে। যুদ্ধ সমানে চলছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে খুন করতে  তিনবার ভাড়াটে সৈন্য পাঠিয়েছিল রাশিয়া। প্রতিবারই তা ব্যর্থ হয়ে যায়। তবে রাশিয়ার লক্ষ্য যে জেলেনস্কি তা এখন গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে। আর তার পর থেকেই তাকে রক্ষা করতে ইউরোপের দেশগুলি শুধু নয় আমেরিকারও চিন্তা বেড়েছে। কিভাবে জেলেনস্কিকে উদ্ধার করা যায় তা নিয়ে চলছে নানা পরিকল্পনা। ইতিমধ্যে আজ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এক বার্তায় লন্ডনকে সতর্ক করেছে যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে উদ্ধার করার পরিকল্পনা করছে ইউকে। সেক্ষেত্রে তারা যুদ্ধের সম্মুখীন হবে।

যদিও রাশিয়ার এই হুঁশিয়ারিকে মোটেও আমল দিচ্ছে না ইউকে।ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘দ্য সান’-এর সূত্র অনুযায়ী ৭০জনেরও বেশি ব্রিটিশ অভিজাত সৈন্য দুঃসাহসিক অভিযানের পরিকল্পনা করতে লিথুয়ানিয়ার একটি দূরবর্তী ঘাঁটিতে ১৫০ জন মার্কিন নৌসানের সাথে যোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে।

ব্রিটিশ ও মার্কিন বাহিনীর লক্ষ্য অত্যন্ত ঝুঁকিতে থাকা ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেন্সকিকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিতে যাওয়া। আর সেই লক্ষ্যেই তারা এখন প্রশিক্ষণ চালাচ্ছে। যেখানে অভিজাত ইউক্রেনীয় সৈন্যরাও আছে।

যদিও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইতিমধ্যেই মার্কিন উদ্ধারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন – এই বলে: “আমার গোলাবারুদ দরকার, রাইড নয়”।কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে এবং রাশিয়ার বিশেষ বাহিনী বিশেষ বাহিনী ৪৪ বছর বয়সী প্রেসিডেন্টকে টার্গেট করছে বলে জানা গেছে।তিনি অনুরোধ করলে উদ্ধার অভিযান চালানো হতে পারে।

‘দ্য সান’ লিখছে- যুক্তরাজ্যের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্র জানিয়েছে: “সবচেয়ে বুদ্ধিমান বিকল্প হতে পারে জেলেনস্কিকে কিয়েভ থেকে সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া।কিন্তু তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে- “আমাদের বিমান আছে কিন্তু দূরত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

ইতিমধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের বিশেষ বাহিনী একটি ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানের অংশ হিসেবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে কিয়েভ থেকে সরিয়ে নিতে প্রস্তুত বলে জানা গেছে। পুতিন বলেন, পশ্চিমী শক্তি তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তার এই বক্তন্য থেকে একটা পরিষ্কার ইঙ্গিত মিলছে যে ইউক্রেনের সঙ্গে তাদের যুদ্ধে কেউ হস্তক্ষেপ করলে রাশিয়া যে তাদেরকেও ছেড়ে কথা বলবে না, আর সেক্ষেত্রে যুদ্ধের ব্যপকতা কিন্তু বাড়তে পারে।

Published on: মার্চ ৬, ২০২২ @ ২০:০১

 


শেয়ার করুন