আর কতজনকে শহীদ হতে হবেঃ পুলওয়ামা এনকাউন্টারে জঙ্গিদের ধরতে গিয়ে সেনাকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ল কাশ্মীরিরা

Main দেশ
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ১৯, ২০১৯ @ ০০:১৭

এসপিটি নিউজ, শ্রীনগর, ১৮ ফেব্রুয়ারিঃ আমরা কেউ জানি না আর কত মায়ের কোল খালি হবে? আমরা জানি না আর কত বীর জওয়ানকে হারাতে হবে? আমরা জানি না আমাদের দেশের ভিতর থেকে কত মানুষ এখনও পাকিস্তানি জঙ্গিদের সাহায্য করে যাবে? এই প্রশ্নগুলি এখন আমাদের সত্যি ভাবাতে শুরু করেছে।

১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় শহীদ হয়েছিলেন ৪৪জন জওয়ান। সেই ঘটনার পর ভারতীয় সেনা মাত্র চারদিনের ব্যবধানে এক অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছে। ওই ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড কামরান ওরফে গাজী রশিদকে খতম করে। একই সঙ্গে খতম করেছে স্থানীয় পিঙ্গলীনার বাসিন্দা জৈশ জঙ্গি হিলাল আহমেদ এবং তৃতীয় আরও এক জঙ্গি যে পাকিস্তানি যে রশিদ ভাই নামে পরিচিত যার ভালো নাম উমর গাজী।

টানা ১৮ ঘণ্টার এনকাউন্টারে সেনা এই কাজ হাসিল করে। এজন্য তাদের বিরাট মূল্য চোকাতে হয়েছে। আর তার জন্য কাশ্মিরের কিছু পাথর ছোড়া মানুষ অনেকংশে দায়ী। আজ যখন সকালে পুলওয়ামায় যে খানে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি আত্মঘাতী হামলা হয়েছিল সেই জায়গা থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে একটা বাড়িতে ঘাঁটি গেড়েছিল জৈশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিরা।সেনা সেখানে পঊঁছে যায়। এরপর এলাকায় কার্ফু জারি করে গ্রামের মানুষদের বেরিয়ে যেতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু অনেকে বেরিয়ে গেলেও একতা অংশ সেখানে থেকে যায়। তারা পুলিশ ও সেনাকে লক্ষ্য করে সমানে পাথর ছুড়তে শুরু করে। ফলে জঙ্গিদের ধরতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। মাইকিং করে সেনাদের বলতে হয় বারেবারে -আপনারা এলাকা ছেড়ে দয়া করে চলে যান। আমাদের কাজ করতে দিন। কিন্তু তারা কোনও কথাই শোনেনি। সমানে পাথর ছুড়ে গেছে সেনা-পুলিশকে লক্ষ্য করে।

তাহলে বুঝুন- গোটা দেশ যখন আমাদের বীর শহীদদের হত্যার বদলা নিতে চেয়ে পথে নেমেছে সারা দেশ যখন ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে আর তখন কাশ্মীরের এইসমস্ত মানুষ জঙ্গিদের বাঁচাতে সেনা আর আমাদের পুলিশ বাহিনী নিরপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ছে। এটাকে কি বলবে। পুলিশ আর সেনাদের সামনে যদি কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ এসে দাঁড়িয়ে পরে তাহলে সেনা কিভাবে গুলি চালাবে। একতা গুলি লেগে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হলে তা নিয়ে আবার হইচই শুরু হয়ে যাবে। আর তার ফলে দিন সেনাকে জঙ্গিদের গুলি খেতে হয়েছে। প্রাণ দিতে হয়েছে একজন-দুইজন নয় পাঁচজনকে।

এখন কিন্তু ইতিবাচক ভাবনার সময় এসে গেছে। সেনাকে নিরাপত্তারক্ষীদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে এইসন পাথর ছোড়া মানুষদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করবে।সাধারণ মানুষের মতো নাকি জঙ্গিদের মতো হিসেবে তাদের দেখবে। যেখানে তারা জঙ্গিদের ধরার অভিযানে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।এখন না সিদ্ধান্ত নিলে কিন্তু এরপর অনেক দেরী হয়ে যেতে পারে- মনে করছে প্রাক্তন সেনা কর্তারা।

Published on: ফেব্রু ১৯, ২০১৯ @ ০০:১৭


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

91 − = 87