Published on: সেপ্টে ৭, ২০১৮ @ ০৯:৪৪
এসপিটি নিউজ, তারাপীঠ, ৭ সেপ্টেম্বরঃ ভাদ্রমাসের এই কৌশিকী অমাবস্যার রাতে তারাপীঠ দেখার মতো। কৌশিকীদেবী আসলে মে তারারই আর এক রূপ। তবে এতসব কিছু অনেকেই জানেন না। ভক্তদের অধিকাংশই জানেন, এই কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ গেলে মায়ের কৃপালাভ হয়। তাই সকলে ছুটে আসেন এই অমাবস্যায় তারাপীঠ। অনেকেই জানতে চান-কোথা থেকে সৃষ্টি হল এই কৌশিকীদেবীর? তারাপীঠের “তারা মা” শীর্ষক পুস্তকের সূত্র ধরে জানতে পারা যায়- অত্যন্ত আকর্ষণীয় এক কাহিনি। যার সঙ্গে পুরানের একটা যোগসূত্র আছে।
সেখানে রয়েছে- “পুরাকালে মহিষাসুরের অত্যাচারে দেবতারা অতিষ্ঠ। আর তখনই দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করলেন। মহিষাসুর বধে দেবতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এল। কিন্তু তা বেশিদিন টিকল না। অচিরেই আরও এক বড় সমস্যা তাঁদের তাড়া করল। শুম্ভ-নিশুম্ভের অত্যাচারে ফের দেবতারা ভয়ে পালাতে থাকেন।তারা চা পার্বতীর স্মরণাপন্ন হন। তিনি সন্তানদের রক্ষা করার জন্য উপায় বার করলেন। কারণ, মা যে বড়ই কৃপালু আর দয়ালু। সন্তানের কষ্ট কোনওদিনই তিনি সহ্য করতে পারেন না। কিন্তু সন্তান কিন্তু বহু সময়ই মাকে কষ্ট দিয়ে থাকে। দেবতাদের রক্ষা করতে মা মহামায়া তাঁর ইচ্ছাশক্তিকে জাগ্রত করে এক পরমা সুন্দরী দেবীমূর্তির জন্ম দিলেন। মহামায়ার দেহকোষ থেকে তাঁর সৃষ্টি বলে তাঁর নাম কৌশিকী।”
আসলে মা আদিশক্তির নানা রূপ। তারা মা হলেন দশ মহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা। মা কৌশিকী তাঁরই আর এক রূপ। এই কৌশিকী দেবীই শুম্ভ-নিশুম্ভ দানবকে বধ করে দেবতাদের মনে শান্তি ফিরিয়ে এনেছিলেন। সেই থেকে কৌশিকী দেবীমাহাত্ম্য বেড়েছে। আর তাই এই কৌশিকী অমাবস্যায় ভক্তি-বিশ্বাস-শ্রদ্ধা সহ মা-কে ডাকলে মা তারা ভক্তের উপর করুণা করেন। তাঁর কৃপালাভ করে সেই ভক্ত নিজের জীবনকে গৌরবান্বিত করে তোলেন।ছবি-দেবানন্দ পাইন
Published on: সেপ্টে ৭, ২০১৮ @ ০৯:৪৪