অস্ত্রবাহিত পাক ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ জম্মু ও কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমান্তে

Main দেশ প্রতিরক্ষা
শেয়ার করুন

ভোর ৫টা১০ মিনিট নাগাদ হিরানগর সেক্টরের রথুয়া এলাকায় পাকিস্তানি ড্রোনটি ভারতীয় ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে উড়ে যাচ্ছিল।
ওই ড্রোনটি থেকে উদ্ধার হয়েছে এম-ফোর ইউএস নির্মিত সেমি-অটোমেটিক রাইফেল, ৬০ রাউন্ডের দুটি ম্যাগাজিন এবং সেভেন এম 67 গ্রেনেড উদ্ধার করেছে।

Published on: জুন ২০, ২০২০ @ ১২:৩৮

এসপিটি নিউজ, শ্রীনগর, ২০ জুন:   শনিবার সকালে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী অস্ত্র বাহিত এক পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামিয়ে আটক। করে। সেই ড্রোনটি থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যেভাবে বিএসএফ পাক ড্রোনটিকে ঘায়েল করে নিজেদের দখলে নেয় তাতে পাক বাহিনীর মনোবলে চিড় ধরানোর পক্ষে যথেষ্ট।এই ঘটনাটি ঘটে জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ার হিরানগর সেক্টরের রথুয়া এলাকায়। এখানেই আন্তর্জাতিক সীমান্তে ড্রোনটিকে উড়তে দেখে বিএসএফ জওয়ানরা। তখনই তারা গুলি চালিয়ে নামায়।

কখন দেখা যায় ড্রোনটিকে

কাঠুয়া পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, “ ভোর ৫টা১০ মিনিট নাগাদ হিরানগর সেক্টরের রথুয়া এলাকায় পাকিস্তানি ড্রোনটি ভারতীয় ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে উড়ে যাচ্ছিল।

ড্রোন থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র

বিএসএফ জম্মু ফ্রন্টিয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেল এনএস জামওয়াল বলেছেন, “বিএসএফ কাঠুয়ার কাছাকাছি এলাকায় লক্ষ্য করে পাকিস্তান থেকে একটি ড্রোন আমাদের দিকে ছোঁড়া হয়েছে। সেটি আমাদের ভূখন্ডের উপর উড়ছে। তা দেখেই আমাদের জওয়ানরা ড্রোনটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মোট নয় রাউন্ড গুলি চালিয়ে ড্রোনটিকে নামায়। ওই ড্রোনটি থেকে উদ্ধার হয়েছে এম-ফোর ইউএস নির্মিত সেমি-অটোমেটিক রাইফেল, ৬০ রাউন্ডের দুটি ম্যাগাজিন এবং সেভেন এম 67 গ্রেনেড উদ্ধার করেছে।”

ড্রোনটির বহন ক্ষমতা

তিনি আরও যোগ করেন, “এটি একটি বড় সাফল্য, কারণ পাকিস্তানীরা পাঞ্জাবে তারা যা করছে তার অনুরূপ পদ্ধতিটি এখানে গ্রহণ করেছে।”জামওয়াল জানান, ছয় পাখা বিশিষ্ট ড্রোনটির ওজন প্রায় ১৭..৫ কিলোগ্রাম ও সে যা বহন করে এনেছিল তার ওজন ছিল পাঁচ থেকে ছয় কিলোগ্রাম।

অস্ত্র সরবরাহের উদ্দেশ্যেই ঢোকে

  • “অবশ্যই, এই পক্ষের কাউকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল। তবে সে কে, সেটাই এখন আমরা তদন্ত করে দেখছি, ”তিনি বলেন।
  • বিএসএফের আইজিপি জানান- যে ড্রোনটির একটি চূড়ান্ত ব্যবস্থা ছিল যার সাহায্যে পুরো চালানটি এদিকে নামানো হয়েছিল এবং এটি পাকিস্তানে ফিরে যেতে চেয়েছিল।
  • তবে অস্ত্র-গোলাবারুদ যাকে সরবরাহ করা হত তার একটা ইঙ্গিত মিলেছে ওই ড্রোন থেকেই। কারণ-সেখানে এক জায়গায় “আলী ভাই” নামটি উল্লেখ ছিল। বলেন আইজিপি।

এর আগেও একই অস্ত্র উদ্ধার হয় পাক জঙ্গিদের কাছ থেকে

এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানান যে ড্রোনটি 8 ফুট প্রশস্ত ফলক থেকে ব্লেডে ছিল বলে মনে হয়। হিরানগর সেক্টরে বিএসএফের পানেসার পোস্টের বিপরীতে পাক পিকেট দ্বারা ড্রোনটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল বলে মনে করছে বিএসএফ-এর গোয়েন্দারা।

এই কর্মকর্তা জানান, “কয়েক মাস আগে কাশ্মীর যাওয়ার সময় একটি ট্রাকে বান টোল প্লাজা নাগরোটাতে একটি লড়াইয়ে পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশের পরে নিহত জাইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের কাছ থেকে এই একই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।”

পাকিস্তানের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয় ভারতীয় জওয়ানরা

পাক রেঞ্জারস এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সন্ত্রাসীদের ভারতে ঠেলে দেওয়ার জন্য ভারতীয় বাহিনী মোতায়েন এবং তাদের দুর্বলতা দেখার জন্যই এ জাতীয় ড্রোন ব্যবহার করেছে।যদিও তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয় ভারতীয় জওয়ানরা।

হিরানগর সেক্টরটি সর্বদা পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশের পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ এর ভূখণ্ড এবং তিন থেকে চারটি মৌসুমী নদী যেগুলি পাকিস্তানে প্রবাহিত হয়।

চীনা সৈন্যদের গালওয়ান উপত্যকার অনুপ্রবেশের অগ্রযাত্রাটি এমনই ঘটেছিল যেখানে ১৫ জুন ভারত বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল সন্তোষ বাবু সহ ২০ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছিলেন।

ড্রোন থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র।

Published on: জুন ২০, ২০২০ @ ১২:৩৮

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 1 = 4