Published on: মার্চ ২, ২০১৯ @ ২১:৪৫
এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ গতকালই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী কুরেশি জানিয়েছিলেন- মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই আছেন। তিনি এখন অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসা চলছে। আর ঠিক পরদিনই সেই কথার সত্যতা প্রকাশ পেল। একটি সূত্রে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। যা আমাদের একটি ন্যশনাল হিন্দি দৈনিকে খবরের শিরোণাম হয়েছে যে মাসুদ আঝার পাকিস্তানের আর্মি হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন। যাকে নিয়ে এত কাণ্ড। যার জন্য পাকিস্তান আমেরিকার কাছ থেকে কেন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে প্রতিবেশী দেশের ভিতর ঢুকে আক্রমণ করতে আসে যার জন্য পাকিস্তান আমাদের বায়ুসেনার বীর যোদ্ধাকে প্রায় ৬০ ঘণ্টা আটকে রেখে তাঁর উপর মানসিক অত্যাচার চালায় সেই পাকিস্তান আবার বলে কিনা শান্তির পথে হাঁটুন। বাঃ পাকিস্তান বাঃ।
আমরা জানি আর্মি হাসপাতালে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা হয় না। সেখানে চিকিৎসার সুযোগ পান শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর লোকজন ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। অথচ পাকিস্তানের আর্মি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসছেন কে? না, বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশের বিষ নজরে থাকা- যাকে নিষিদ্ধ করতে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ইতিমধ্যে প্রস্তাব পেশ করেছে বিশ্বের তিন শক্তিধর দেশ আমেরিকা, ফ্রান্স ও গ্রেট ব্রিটেন, যাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছ্ যাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে সেই কুখ্যাত জঙ্গি কিনা চিকিৎসা করাচ্ছেন পাকিস্তানের আর্মি হাসপাতালে। এই পাকিস্তান আবার ভারতের কাছে চাইছে প্রমাণ। পুলওয়ামার হামলার প্রমাণ।
নিউজ এজেন্সি সূত্রে জানা গেছে, মাসুদ এখন পাকিস্তানে সেনার সদর কার্যালয়ে অবস্থিত হাসপাতালে কিডনির চিকিৎসা করাচ্ছেন।
গতকালই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমেরিকার নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন- জৈশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার তাদের দেশেই আছেন। কুরেশি ওই সংবাদ চ্যালেল্কে আরও বলেন যে মাসুদের শরীর ভাল নেই। তিনি নিজের ঘর ছেড়ে এখন বের হতে পারছেন না। সেই সঙ্গে তিনি ভারতের কাছে প্রমাণ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করবেন বলেও জানান।
এর আগেই শুক্রবার আমেরিকা পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। সেদেশে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর নেতা স্টেন হোয়ার বলেন- দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার মূল কারনই হল পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি সংগঠন।এক্ষেত্রে তিনি দুই দেশের উত্তেজনা কমাতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করেন।
জৈশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার । ১৪ই ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণের হামলায় ৪০ জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। সেই ঘটনার দায় স্বীকার করে এই সংগঠনটি।
Published on: মার্চ ২, ২০১৯ @ ২১:৪৫