Published on: নভে ২৯, ২০২০ @ ২০:২৩
Reporter: Biswajit Pandey
এসপিটি নিউজ, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৯ নভেম্বর: একদিকে শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব ত্যাগ আর একদিকে বিজেপির ‘ভাইপো’ ইস্যুকে সামনে রেখে রাজ্য-রাজনীতি বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে। তার আভাস কিন্তু মিলেছে আজ রবিবার ডায়মন্ডহারবারের সাতগাছিয়ায় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দেশপ্রাণ ব্লকে মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সভাতে।
ইদানীং বিজেপি নেতারা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে সমানে ‘ভাইপো’ বলে যেভাবে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে এদিন সাতগাছিয়ায় প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে মুখ খোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তিনি বলেন, “ভাইপো না বলে নাম করুন। আসলে আপনাদের সেই হিম্মত নেই। আমার নাম মুখে আনার হিম্মত আপনাদের কারও নেই। কিন্তু আমি বলছি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ গুন্ডা, মাফিয়া। পারলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন।”
সাতগাছিয়ায় যখন অভিষেক প্রকাশ্যে রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে গুন্ডা -মাফিয়া বলে তোপ দাগেন ঠিক তার পরে পূর্ব মেদিনীপুরের এক দলীয় সভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মুখেই শোনা যায় দিলীপ ঘোষের প্রতি কটাক্ষের সুর। ব্রাত্য বসু দেশপ্রাণ ব্লকের সভাতে দাঁড়িয়ে বলেন- “একদিন হয়তো এমন কোন মঞ্চে এসে মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ জোড়া ফুলের পতাকা নিজের হাতে তুলে নেবে।”
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন ওঠে – একদিকে তৃণমূলের এক নেতা যেখানে দিলীপ ঘোষকে গুন্ডা-মাফিয়া বলছে তখন তাদেরই আর এক নেতা সেই দিলীপ ঘোষের হাতে তৃণমূলের পতাকা নেওয়ার কথা বলছেন।
এদিনের সভায় দাঁড়িয়ে ব্রাত্য বসু বিজেপি-র বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন- “বিজেপি নিজেদের হিন্দু ধর্মের ধারক ও বাহক বলে প্রচার করলেও রাম মন্দিরে বাংলার মা দুর্গা, হরিচাঁদ ঠাকুরদের স্থান হয় না।এরা আসলে শিল্পপতিদের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।এরা শিল্পায়নের নামে জমি দখলের রাজনীতি করে। আম্বা্নি-আদানিরা দেশ চালাচ্ছে।বিজেপি সারা দেশকে গেরুয়া রঙে ঢাকতে চাইছে।তার জন্যে সারা দেশ জুড়ে ঘোড়া কেনাবেচা শুরু করেছে।তবে সেই প্রক্রিয়া গঙ্গার পাড়ে এসে আটকে গেছে। আমাদের ‘দুর্গা’ মমতার প্রতিরোধে বিজেপিকে পিছু হটতে হয়েছে। তাই নানা চক্রান্ত করে চলেছে। তবে আপনারা পাশে থাকায় মমতা যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন তাতে বিজেপির রথের চাকা আটকে গেছে।”
ব্রাত্য আরও বলেন- “ওরা সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তি গড়লেও নিজেদের দলের প্রাণ পুরুষ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর মূর্তি গড়ে না।ওদের দ্বিচারিতা ধরা পড়ে গেছে।”এই সভায় দেশপ্রান ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৬৫০ জন বিজেপি কর্মী তাঁদের দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন।
Published on: নভে ২৯, ২০২০ @ ২০:২৩