Published on: জুলা ৫, ২০১৮ @ ২০:৩৫
এসপিটি স্পোর্টস ডেস্কঃ চুমু খেল দক্ষিণ কোরিয়ান সাংবাদিককে। তিনি বিষয়টিকে খুব স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন। হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। এমনকী, তাঁর দেশ দক্ষিণ কোরিয়াতেও বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি হইচই হয়নি। কিন্তু গায়ে জ্বালা ধরেছে চিনাদের। তারা আবার এসবের মধ্যে পুরুষ-নারীর বৈষম্য ধরে বিষয়টি নিয়ে তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক তুলে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, এই বিশ্বকাপেই কিছুদিন আগে এক মহিলা সাংবাদিককে এক রাশিয়ান ফুটবল সমর্থক এসে সটান তাঁর গালে চুমু খান।চিনাদের বক্তব্য, সেটা যদি ‘যৌন হয়রানি’ হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে ঐ পুরুষ সাংবাদিককে যে দুই মহিলা চুমু খেল তাহলে সেটা কেন যৌন হয়রানি হবে না?
অনেকেই রসিকতা করে বলতে শুরু করেছেন- ঐ দক্ষিণ কোরিয়ান সাংবাদিককে যেভাবে জড়িয়ে ধরে সুন্দরী রুশ নারী্রা চুমু খেলেন তা চিনারা সহ্য করতে পারছেন না। তাই তারা ঐ দুই নারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির কথা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলছেন।
ঘটনার সূত্রপাত রাশিয়ায় বিশ্বকাপ চলার সময় কয়েক দিন আগে এক মহিলা রিপোর্টার খবর পরিবেশন করার সময়ে এক পুরুষ ফুটবল ফ্যান সেখানে এসে ওই মহিলা রিপোর্টারকে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করে। তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
এই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই ফের চুমু কাণ্ড ঘটে যায়। এবার দক্ষিণ কোরিয়ার একটি টেলিভিশন চ্যানেল এমবিএন-এর পুরুষ সাংবাদিক জিওন গোয়াঙ-রেয়ল ২৮শে জুন রাশিয়া বিশ্বকাপের খবর দিচ্ছিলেন। চ্যানেলের বুম হাতে তিনি যখন খবর পাঠাচ্ছিলেন তখন সেখানে হাজির হন এক রুশ তরুণী। জিওনকে জড়িয়ে ধরে সটান তাঁর গালে চুমু খান সেই রুশ তরুণী। এই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই ফের এক রুশ তরুণী সেখানে হাজির হয়ে ফের জিওনকে জড়িয়ে তাঁর গালে চুমু খান।
যদিও জিওন এই ঘটনাকে হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে খুব বেশি তোলপাড় না হলেও চিনে এই ঘটনাকে ঘিরে সেখানকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। সেখানকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ওয়াইবো ব্যবহারকারীরা প্রশ্ন তুলেছেন-একজন মহিলা সাংবাদিককে যদি কোনও পুরুষ চুমু খায় সেটা যদি ‘যৌন হয়রানি’ হয়ে থাকে তবে একজন পুরুষ সাংবাদিককে কোনও মহিলা চুমু খায় তবে সেটা কেন ‘যৌন হয়রানি’ হবে না?কেন রাশিয়ার ওই মহিলা সমর্থকদের সমালোচনা হবে না?
তবে ওয়াইবো ব্যবহারকারীদের মধ্যে কেউ কেউ এই ঘটনাকে তাদের মতো করে ব্যাখ্যা করেছেন। একজন লিখেছেন-“আগের ঘটনার সাথে এর বৈপরীত্য দেখা গেছে।” আবার একজন লিখেছেন-“কেন এটাকে যৌন হয়রানি হিসেবে দেখা হবে না।” একজন আবার ব্যঙ্গ করে লিখেছেন-“চুমু খাওয়া মানুষটি যদি সুন্দরী হন তবে তা যৌন হয়রানি হিসেবে ধরা হবে না।”
মজার বিষয় হল যে দেশের সাংবাদিককে চুমু খাওয়া ঘিরে এত বিতর্ক সেই দক্ষিণ কোরিয়ায় এই বিষয়ে বেশি হইচই না হলেও বুক ফেটেছে চিনাদের। তারা এর মধ্যে নারী-পুরুষ বৈষম্যের প্রশ্ন তুলে চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছে। যদিও তাতে অবস্থার এতটুকু পরিবর্তন হয়নি।
চিনারা যেভাবে পুরুষের গালে মেয়েদের চুমু খাওয়াকে ‘যৌন হয়রানি’ বলে ছড়ানোর চেষ্টা করে তা নিয়ে খোদ সেই সাংবাদিকের কোনও হেলদোল নেই। মনে করা হচ্ছে তিনি বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে রাজী নন। তিনি মনে করেন, এখন তাঁর বিশ্বকাপ কভারেজের উপর বেশি জোর দেওয়া উচিত। ছবি-বিবিসি
Published on: জুলা ৫, ২০১৮ @ ২০:৩৫