সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকাকে প্লাসটিক ও থার্মোকল বর্জিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা বনমন্ত্রীর, বনকর্মীদের দেওয়া হল শীতের জ্যাকেট-মশারি

দেশ বন্যপ্রাণ রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

Published on: জানু ১৯, ২০১৮ @ ২২:৩৩

এসপিটি নিউজ, সজনেখালি, ১৯ জানুয়ারিঃ সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পকে রক্ষা করতে তাদের অবদান কোনওভাবেই অস্বীকার করা যায় না। আর তাই সেইসব বনকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে চলেছে রাজ্য সরকার। তারই অঙ্গ হিসেবে এদিন ৩০০জন বনকর্মীদের হাতে শীতের জ্যাকেট ও মশারি তুলে দেওয়া হয় ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড ফান্ড ফর নেচার ইন্ডিয়ার উদ্যোগে।পাশাপাশি সুন্দরবন এলাকার এক হাজার ছাত্র-ছাত্রীর হাতে ওয়াটার প্রুফ ব্যাগ ও স্কুলের সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হয়।শুক্রবার আরও একটি উল্ল্যেখযোগ্য দিক-বনমন্ত্রীর এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা। যেখানে তিনি এদিন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প ও সংলগ্ন দ্বীপগুলিকে প্লাসটিক ও থার্মোকল বর্জিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন।

রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন শুক্রবার গোসাবা ব্লকের দয়াপুর গ্রামে এক আলোচনা সভায় দাঁড়িয়ে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের এলাকা সহ গোটা দ্বীপগুলিকে প্লাসটিক ও থার্মোকল বর্জিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, প্লাসটিক ও থার্মোকলের ব্যবহারে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষিত হয় ঠিক তেমনই মানুষের শরীরে ৫০ রকমের ক্যান্সার জাতীয় রোগ হতে পারে।বিপদের মুখে পড়তে পারে গৃহপালিত প্রাণী থেকে শুরু করে বাদাবনের জীব-জন্তুও। কাজেই বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে ভাবতে হবে। সচেতন করে তুলতে হবে এখানকার ২৬টি অঞ্চলকে। এদিন কিছুটা উদ্বেগ আর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,ক্যানিং মাতলা নদীতে বেশ কিছু দোকানদার ও স্থানীয় বাসিন্দারা প্লাসটিক ও থার্মোকল ফেলছে। তারা যাতে এসব আর না ফেলে সেজন্য বিভাগীয় আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় মানুষদেরও সচেতন করে তুলতে বলা হয়েছে।

বনমন্ত্রী আরও বলেন, ক্যানিং মাতলা নদীর চড়ে প্রায় আট কিলোমিটার আলাকা জূড়ে নব নির্মিত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল গড়ে উঠেছে। যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী এসেছে।বিভাগীয় আধিকারিকদের সেই বনাঞ্চল রক্ষা করের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তীও বাদাবনকে বাঁচানর আহ্বান জানান। প্লাসটিক ও থার্মোকল বর্জনের ব্যাপারে তিনি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে আসতে অনুরোধও করেন।তারাই পারবে স্থানীয় মানুষদের সচেতন করে তুলতে।আপনারা নিজে বাঁচুন, অপরকে বাঁচতে সাহায্য করুন।এদিনের আলোচনাসভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর নীলাঞ্জন মল্লিক, অতিরিক্ত ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর অনিন্দ্য গুহ ঠাকুরতা ও বিধায়ক জয়ন্ত ন্সকর প্রমুখ।

এদিন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের মোট ৩০০জন কর্মীকে উন্নত মানের শীতের জ্যাকেট ও মশারি তুলে দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা বলেন, এর ফলে বনকর্মীরা উৎসাহ পাবেন।

ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড ফান্ড ফর নেচার ইন্ডিয়া’র সুন্দরবনের কো-অর্ডিনেটর রাতুল সাহা বলেন, সুন্দরবনের পরিবেশ নিয়ে কাজ করছে ডবল্যু ডবল্যু এফ। ২০১০ সালে এখাঙ্কার বনাঞ্চলের জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষন এবং বাঘের খাবার নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। তিনি বলেন, সুন্দরবনের হুথিয়ান দ্বীপে সর্বপ্রথম ২০টি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল ৩০০টি স্থানে। এছাড়াও সুন্দরবনে ১৫০টি সোলার লাইট লাগানো হয়েছে।

Published on: জানু ১৯, ২০১৮ @ ২২:৩৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 1 = 1