
Published on: আগ ২৮, ২০১৮ @ ২০:৩০
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৮ আগস্টঃ মঙ্গলবার দলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিজ কড়া সমালোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনার হাত থেকে রেহাই মেলেনি সিপিএমেরও। মমতা বলেন- “৩৪ বছর ধরে যে সিপিএমের হার্মাদরা সারা বাংলা জুড়ে অত্যাচার করে এসছে সন্ত্রাস করে এসছে, কুৎসা করে এসেছে, খুন করে এসেছে, লুঠ করে এসেছে, মানুষের জীবন খুন করে এসেছে, মানুষের উপর অত্যাচার করে এসেছে আজকে সেই সিপিএমের খুনি-হার্মাদরা বিজেপির সবচেয়ে বড় ওস্তাদ হয়ে গেছে। সিপিএমের হার্মাদ আজ হয়েছে বিজেপির জহ্লাদ।”
অশান্তি করাই এদের কাজ
মমতা বলেন, এখন আমরা গর্ব করে বলতে পারি- গত সাত বছর জঙ্গলমহল কোনও প্রবলেম হয়নি। কোনও মানুষ খুন হয়নি। চারিদিক শান্ত ছিল। অথচ শুধু অশান্তি করাই এদের কাজ। দার্জিলিং কি হল- হঠাৎ দার্জিলিংটাকে ছ’মাস এরা স্তব্ধ করে দিল। আমরা সেটা সামলে নিয়েছি। জঙ্গলমহল দেখুন, সব সিট তো পায়নি কিছু সিট পেয়েছে কয়েকটা হাজার হাজার সিটের ভিতর দেখুন- তাই নিয়ে দেখুন খুনোখুনির রাজনীতি। আমি জানি বীরভূমের সংগ্রামী কর্মী চন্দনকে খুন করা হয়েছে। আমি পরিষ্কার বলতে চাই-খুনোখুনির রাজনীতি আমি কোনওদিন সমর্থন করি না। আজও করি না। সব চেয়ে দুঃখের ব্যাপার কি জানেন? ৩৪ বছর ধরে যে সিপিএমের হার্মাদরা সারা বাংলা জুড়ে অত্যাচার করে এসেছে, সন্ত্রাস করে এসেছে, কুৎসা করে এসেছে, খুন করে এসেছে, লুঠ করে এসেছে, মানুষের জীবন খুন করে এসেছে, মানুষের উপর অত্যাচার করে এসেছে, আজকে সেই সিপিএমের খুনি-হার্মাদরা বিজেপির সবচেয়ে বড় ওস্তাদ হয়ে গেছে। সিপিএমের হার্মাদ হয়েছে বিজেপির জহ্লাদ।”
এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে
সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, “ওরাই ৩৪ বছর অত্যাচার করেছে। তারাই আজ বিজেপির সবচেয়ে বড় ওস্তাদ। কোটি কোটি টাকা ছড়িয়ে আর এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগিয়ে কখনও বলছে যাও ও তো তৃণমূল করে ওকে একটা নোটিশ দাও। কখনও বলছে- যাও তুমি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কাজ করো বিজেপিকে কাঁধে তুলে নিয়ে চিৎকার করো। কখনও বলছে- কাউকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে পঞ্চায়েতের ভিতর ঢুকিয়ে দাও। বর্ডার সিকিউরিটির কাজ হচ্ছে চোরাকারবার রোখা।গরু পাচার রুখবে, মানুষ পাচার রুখবে। জিনিসপত্র পাচার হলে রুখবে। এটা ওদের কাজ। আইন-শৃঙ্খলা দেখা ওদের কাজ নয়। ওটার জন্য রাজ্য পুলিশ আছে। সিআরপি-কে সম্মান করেই বলছি-সেন্ট্রাল ফোর্সের যা আইন আছে তা করাই ওদের কাজ। আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা হলে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে।”
টাকা কামিয়ে যা না তাই করছে
“৩৬টি জায়গায় ওদের সংগঠন আছে। ওদের চুরির টাকায় নোটবন্দির টাকায় তছরূপের টাকায় হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা কামিয়ে কেউ কেউ সংগঠনের নামে যা না তাই করে যাচ্ছে। আমি সেই ধর্মকে শ্রদ্ধা করি যে ধর্ম অপরকে অশ্রদ্ধা করে না। আমরা হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করি।”
দেশে কালিদাসের বদলে হরিদাস জন্ম নিয়েছে
এরপরই মমতার হুঙ্কার- “তুমি কে হে- বিজেপির এক হরিদাস, তুমি ঠিক করে দেবে আমি কার পুজো করবো। কে কি খাব্ তুমি ঠিক করে দেবে। একটা বড় বড় হরিদাস জন্ম নিয়েছে দেশে।কালিদাস নেই হরিদাস জন্ম নিয়েছে। কালিদাসের বদলে হরিদাস হয়েছে। কালিদাস যে ডালটায় বসেছিল সেই ডালটায় কাটছিল। এই হরিদাওরাও তাই করছে।”
এদের টোটালটাই ধার করা
“ন্যাশনাল চ্যালেনগুলো তো চুপ করে গেছে। একটা কথা কেউ বলে না ওদের বিরুদ্ধে।সাংবাদিক নিজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে যদি কথা বলে তাহলে সেই সাংবাদিক সেই কাগজের মালিক বা চ্যানেলের মালিককে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখছে। সেই সাংবাদিকের চাকরি খেয়ে নিচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে। এই দেশটায় সব কিছুই গেছে।এমারজেন্সি ভুলে যান। ইন্দিরা গান্ধীর এমারজেন্সির কথা বলে! এটা এমারজেন্সির ঠাকুরদাদা। ভুলে যান- মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। ধর্ম কায়েম করার অধিকার নেই। ইতিহাস নতুন করে নাকি তৈরি করছে। মোগলসরাই স্টেশনের নামও ভুলিয়ে দিয়েছে। লাল কেল্লার নাম বদলাতে গিয়েছিল। কি যে করছে ভগবান জানে। যা ইচ্ছে করে যাচ্ছে। এদের টোটালটাই ধার করা।” ক্ষোভের সঙ্গে বলেন মমতা।
Published on: আগ ২৮, ২০১৮ @ ২০:৩০