Published on: ফেব্রু ১, ২০১৮ @ ২০:০৭
এসপিটি নিউজ, উলুবেড়িয়া, ১ ফেব্রুয়ারিঃ ফল প্রত্যাশিত। কিন্তু ব্যবধানটা যে এত হবে সেটা বোধ হয় কল্পনাও করতে পারেননি বিরোধীরা।এক মাস আগে সবং বিধানসভার উপ-নুর্বাচনের থেকে বোধহয় কোনও শিক্ষাই তারা নেননি। আর তাই আবারও তাদের মাশুল দিতে হল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রয়াত সাংসাদ সুলতান আহমেদের স্ত্রী সাজদা বেগমের কাছে গো-হারা হেরে।সারা দেশে তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র পার্টি যে দলে মোট সাংসদের ৩০ শতাংশ মহিলা। আজ আবার সেখানে আরও এক মহিলা সেই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে, যা নিয়ে বাধন হারা উচ্ছ্বাসে ভেসে গেল গোটা উলুবেড়িয়া। আনন্দে আত্মহারা হয়ে বসন্তের খুশিতে নিজেদের সবুজ করে তুললেন রমণীরা।
উলুবেড়িয়া লোকসভা উপ-নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরদিন থেকেই সব কটি রাজনৈতিক দলের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়ে গেছিল রাজনৈতিক লড়াই। শাসক তৃণমূলের কাছে যেমন আসনটি সম্মানের সঙ্গে ধরা রাখার চ্যালেঞ্জ ছিল ঠিক তেমনই বিরোধীদের কাছেও ছিল একটা অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল এই আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সাজদা বেগমই ছিলেন একমাত্র মহিলা প্রার্থী। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। ফলে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল মহিলা সেলের কাছেও ছিল এটা একটা চ্যালেঞ্জের নির্বাচন। বিশেষ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রাজ্যের মেয়েদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে চলেছে, সম্মান জানিয়ে চলেছে তখন তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য এর চেয়ে বড় মঞ্চ বোধ হয় আর ছিল না এখানকার রমণিদের সামনে। দলের নেতৃত্বের কাছেও তারা কথা দিয়েছিলেন উলুবেড়িয়া থেকে তাদের পছন্দের ভালবাসার কাছের প্রিয় প্রার্থী সাজদা বেগমকে রেকর্ড ভোটে জিতিয়ে আনবেন। তারা কথা রেখেছেন।
আজ তাই তারা বাধনহারা উচ্ছ্বাসে ভেসে গেছেন। এ জয় গোটা উলুবেড়িয়াবাসীর কাছে খুশির বার্তা বয়ে আনলেও মহিলাদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। আর তাই তারা এদিন জয়ের আনন্দে আত্মহারা হয়ে নিজেদের মধ্যে সবুজ আবির খেলায় মেতে উঠেছেন।যা দেখে মনে হল, যেন সত্যিই বসন্ত এসে গেছে।এ যেন সত্যুই এক মনোরম পরিবেশ তুলে ধরল উলুবেড়িয়া। মনে পড়ে গেল কবিগুরুর গানের সেই বিখ্যাত লাইন কটি-নীল দিগন্তে ফুলের আগুন লাগলো/বসন্তে সৌরভের শিখা লাগলো…।
Published on: ফেব্রু ১, ২০১৮ @ ২০:০৭