
সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-রামপ্রসাদ সাউ
Published on: মে ৩, ২০১৮ @ ২২:৫৪
এসপিটি নিউজ, শালবনী, ৩ মেঃ পঞ্চায়েত ভোট ১৪ মে হবে কিনা তা জানা যাবে শুক্রবার ৪ মে আদালতের শুনানির পরই। তবে রাজনৈতিক দলগুলি ১৪ মে তারিখ সামনে রেখেই কিন্তু প্রচারে জোর দিয়েছে। শালবনীতে জেলা পরিষদের একমাত্র আসনে তৃণমূল প্রার্থী নিজের স্ত্রী অঞ্জনা মাহাতোর সমর্থনে বৃহস্পতিবার ছাতনী এলাকায় মিছিল করেন বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তি ও উন্নয়নের মাধ্যমে জঙ্গলমহলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। একই দিনে শালবনীর পিড়াকাটায় দলের প্রার্থীদের সমর্থনে এক জনসভায় বিজেপি নেতা পালটা বলেন, উন্নয়ন গরিব মানুষের হয়নি, উন্নয়ন তো হয়েছে তৃণমূলের নেতাদের।
ছাতনী গ্রামের মিছিলে শালবনীর তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো যে উন্নয়নের কথা বলেন তা নিয়ে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।শালবনীর বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, শান্তি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার জন্য ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়ী করবেন।লালা জামা খুলে সিপিএম হার্মাদরা এখন বিজেপির হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন। তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে শালবনীর মানুষ। তিনি আরও বলেন হিংসা শেষ কথা বলে না, শেষ কথা বলে শান্তি ও উন্নয়ন।
শালবনীর বিধায়কের কথার রেশ টেনেই বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য এদিন বলেন, যদি সাত বছরে মুখ্যমন্ত্রী সত্যিই উন্নয়ন করে থাকেন তাহলে পুলিশ ও দলের গুন্ডাদের দিয়ে কেন বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিয়েছেন। ২০ হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করা সত্ত্বেও কেন রাজ্য জুড়ে হিংসা অব্যাহত আছে? শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন না করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু আদালত তার কথা শোনেনি। তিনি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে ভুলিয়ে রাখতে চান। তার উপর চালাকি ধরা পড়ে গেছে। বিজেপি বলেন, রাজ্যে প্রকৃত গরিব মানুষের কোনও উন্নয়ন হয় নি। উন্নয়ন হয়েছে তৃণমূলের নেতাদের। তাই হিংসা করে সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় থাকতে চায় তৃণমূল। তিনি দলীয় কর্মীদের দাঁতে দাত চেপে বুথ আগলে রাখার নির্দেশ দিয়ে বলেন, আপনারা এমনভাবে বুথ আগলে রাখবেন যাতে করে তৃণমূলের গুন্ডারা ভোট লুঠ করতে না পারে।
Published on: মে ৩, ২০১৮ @ ২২:৫৪