Published on: ফেব্রু ১৫, ২০১৯ @ ২২:২৮
এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ পুলওয়ামা জঙ্গি হামলায় স্বামী তিলক রাজ শহীদ হন। স্ত্রী সাবিত্রী দেবীর প্রসবের ১৫ দিন আগে শহীদ তিলক রাজ বাড়িতে এসেছিলেন। শহীদ তিলক রাজ এমনকি পুত্রকে নামও দিতে পারেননি এবং তার আগেই তিনি শহীদ হয়ে গেলেন।
জম্মু ও কাশ্মীরে সব চেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলায় হিমাচল প্রদেশের জাওয়ালী বিধানসভা এলাকার নাণা পঞ্চায়েতের ধেওয়া গ্রামের বীর জাওয়ান তিলক রাজের শহীদ হওয়ার পর গোটা এলাকা চোখের জলে ভাসছে। ১৫ দিনের সদ্যোজাত শিশু ঘরে। মা ও স্ত্রী আজ অসহায় হয়ে গেছে। পুরো পরিবার বাকরুদ্ধ। বাড়িতে বহু মানুষ এসে সনবেদনা জানিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী কিশান কাপুর, জাওয়ালী বিধানসভা প্রার্থী অর্জুন ঠাকুর ও ডিসি কাংগ্রা সন্দীপ কুমার তিলক রাজের বাড়িতে আসেন এবং পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে যান।
১১ ফেব্রুয়ারি তিলক ঘর থেকে ছুটি নিয়ে শ্রীনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ঘরে রেখে যান তাঁর ১৫ দিনের সদ্যোজাত শিশুকে।তিলক রাজের দুই বছরের ছেলে আছে। তার নাম ভানু। বলা হচ্ছে যে, তিলকের পরিবার শাহপুরের ধারকান্ডি রুলেহাদ পঞ্চায়েতের বাতুনি গ্রামে ছিলেন। কয়েক বছর আগে তারা জেওয়ালির ধেওয়া গ্রামে চলে আসেন।
শহীদদের খবরটি যখন জানানো হয়, পুরো এলাকায় শোক নেমে আসে। তিলক রাজের বাবা লায়েক রাম চাষবাস করেন! বড় ভাই চাকরি করেন।
শহীদ তিলক কাবাডির শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় ছিলেন। যখনই তিনি বাড়িতে আসতেন, তিনি স্পষ্টভাবে কবাডি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন এবং একটি গান রেকর্ড করেন। কয়েকদিন আগে, তাঁর স্ত্রী্র প্রসবের সময় তিনি শাহপুর হাসপাতালেই ছিলেন।
তিলক, যিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেন, তিনি ছিলেন একজন লোকসঙ্গীত শিল্পী। এ পর্যন্ত তিনি অনেক হিট গান গেয়েছেন। তিলক রাজ শানুর গাওয়া “মেরা সিদ্ধু বড়া শরাবি” এখনও মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে।
Published on: ফেব্রু ১৫, ২০১৯ @ ২২:২৮