Published on: মে ১৫, ২০১৮ @ ২১:১৫
এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ কর্ণাটক বিধানসভায় বিজেপি সবচেয়ে বড় পার্টি হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে। একক ভাবে বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস লড়াইতে হেরে গিয়ে এখন নতুন ছক কষা শুরু করেছে। তারা জেডিএস-কে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপিকে রোখার কৌশল নিয়েছে। তবে বিজেপিও চুপ করে বসে নেই। তারাও গুটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী ইয়েদুরিয়াপ্পা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় চেয়েছেন।
ইতিমধ্যে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বিজেপি নেতা মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রার্থী ইয়েদুরিয়াপ্পা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গড়ার সুযোগ চেয়ে এসেছেন। তিনি রাজ্যপালকে জানিয়েছেন, তাদের যেন ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে তারা সরকার গড়ার জন্য যে ১১৩টি আসনে দরকার তা তারা দেখিয়ে দেবেন।
এর পরে জেডিএস নেতা কুমারস্বামীও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। দু’জনেই এরপর সাংবাদিক সম্মেলন করে সরকার গড়ছেন বলে দাবি করেছেন। এর আগে সিদ্দারামাইয়া রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে এসেছেন। কংগ্রেস নেতা দীনেশ গুন্ডু দেবগৌড়ার সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে সমর্থন পত্র তুলে দিয়ে আসেন। তাঁর একটা কপি রাজ্যপালের কাছেও জমা দিয়েছেন।
কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ জেডিএস-এর বর্ষীয়ান নেতা এইচ ডি দেবগৌড়ার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তার আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে দেবগৌড়াকে কংগ্রেসের সমর্থনে সরকার গড়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
কিন্তু কিভাবে সম্ভব বিজেপির সরকার গড়ার সম্ভাবনা। সূত্র বলছে, জেডিএস-এর পাঁচ বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়ার জন্য রাজ্যপাল ইয়েদুরিয়াপ্পাকে সরকার গড়ার সুযোগ দেবেন। সেক্ষেত্রে তিন ১৭ মে ডাকতে পারেন। এই খবর জেডিএস শিবিরে যাওয়ার পর থেকেই পার্টি সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে পার্টির বিধায়কদের বেঙ্গালুরুর বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথা ভেবে রেখেছে। সব মিলিয়ে নাটক ভালোই জমে গেছে।
Published on: মে ১৫, ২০১৮ @ ২১:১৫