সংবাদদাতা- বাপ্পা মন্ডল
Published on: মে ১৭, ২০১৯ @ ২৩:৫১
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপ্যুর, ১৭ মে: মানুষের অপঘাতে মৃত্যু হলে সেটাকে অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে ধরে নিয়ে তার পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে। ঠিক তেমনই কলকাতায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মনে করেছেন যে তাঁদের জামাই-এর গত মঙ্গলবার ‘অপঘাতে’ই মৃত্যু হয়েছে। আর তাই তারা আজ শুক্রবার পারলৌকিক ক্রিয়ার আয়োজন করেন।
বিজেপির সর্বাভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের রোড-শো-এর দিন কলকাতায় পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে ফেলে দেওয়া হয়। যা নিয়ে বিবদমান দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি-র মধ্যে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ শুরু হয়। এই ঘটনাকে মেনে নিতে পারেনি বিদ্যাসাগরের শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। তারা এই ঘৃণ্য ঘটনাকে ‘অপঘাতে মৃত্যু’ ধরে নিয়ে তাঁর পারলৌকিক ক্রিয়া করার সিদ্ধান্ত নেয়। এখন প্রশ্ন উঠছে- এভাবে একজন মানুষের দু’বার পারলৌকিক ক্রিয়া কিভাবে হয়? এর জবাব অবশ্য মেলেনি।
গোটা বিষয়টিকে আসলে প্রতীকি ধরে নিয়ে এমনটা করেছেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা টাউন থানার ক্ষীরপাই কাছাড়ি পাড়ায় ভট্টাচার্য পরিবার হল বিদ্যাসাগরের শ্বশুরবাড়ি। কলকাতায় তাদের জামাইয়ের মূর্তি যেভাবে তুলে আছাড় মেরে ভেঙে ফেলা হয়েছে তা মেনে নিতে পারেননি তাঁরা। সেদিনই তারা স্থির করে ফেলেন- এভাবে জামাইয়ের মূর্তি ভাঙার ফলে তাদের জানাওইয়ের ‘অপঘাতে মৃত্য’ হয়েছে। আর তাই তারা জামাইয়ের আত্মার শান্তি কামনায় পারলৌকিক ক্রিয়া করার সিদ্ধান্ত নেন।
সমস্ত বিধি নিয়ম মেনেই এই পারলৌকিক ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যসাগরের প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে ধূপ জ্র্বালিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বহু মানুষ। পুরোহিত নিয়ে এসে মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
Published on: মে ১৭, ২০১৯ @ ২৩:৫১