সংবাদদাতা– বাপ্পা মন্ডল
ছবি-বাপন ঘোষ
Published on: এপ্রি ১২, ২০১৯ @ ২১:৪১
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ১২ এপ্রিলঃ নির্বাচন কমিশন চায় ভোট হোক অবাধ ও শান্তিপূর্ণ। যেখানে সবাই অংশ নিতে পারে। কিন্তু এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে ভোট পড়ে খুব কম। অন্তত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এমনটাই দেখা গেছে। আর তাই আগে থেকেই সতর্ক কমিশন। সেই মতো ভোটের অনেক আগে থেকেই সেই সমস্ত এলাকার ভোটারদের মধ্যে সাহস জোগাতে আর আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কাজে নেমে পড়লেন খোদ পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার।
কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার আগেই হবে রাজ্য পুলিশের রুট মার্চ
1) পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেশ কিছু এলাকায় ভোটদানের হার খুবই কম। ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত এলাকা জেলা প্রশাসন থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানেই থেমে না থেকে এবার সেই সমস্ত এলাকার ভোটারদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে এলাকার মানুষের সাথে কথা বললেন জেলাশাসক পি. মোহন গান্ধী ও জেলা পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া।
2) দাঁতন ২ ব্লকের পুঁয়া, ব্রাহ্মনখলিসা, গড় হরিপুর সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ভোটের বুথ পরিদর্শন এবং সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসক পি মোহন গান্ধী, জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া সহ প্রমুখ।
3) পঞ্চায়েত নির্বাচনে কিছু খারাপ রিপোর্ট উঠে আসার পরই টনক নড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের।কারণ, এবার গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর আছে ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের। আর সেক্ষেত্রে দায়িত্ব আছে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের উপরেও।ইতিমধ্যে রাজ্যের পাঁচজন সিনিয়র আইপিএস অফিসারকে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। কোনওরকম পক্ষপাতিত্বমূলক আচরন কমিশন প্রশাসনিক কর্তাদের কাছ থেকে করবে না। আর সেটা বুঝতে পেরেই এবং কমিশনের নির্দেশ মেনেই আজ জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার তাদের কাজ শুরু করে দিলেন।
4) প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার আগে এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে এলাকায় রাজ্য পুলিশ দিয়ে রুটমার্চ করানো হবে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার পরেও এলাকায় রুটমার্চ করিয়ে সাধারণ মানুষ যাতে ভোটদানে অংশগ্রহণ করে তা সুনিশ্চিত করার চেষ্টা চালাবেন তারা।
Published on: এপ্রি ১২, ২০১৯ @ ২১:৪১