ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকঃ বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাধা দূর করলে একমত দুই দেশ

অর্থ ও বাণিজ্য দেশ বাংলাদেশ
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-ইবতাসুম রহমান

Published on: সেপ্টে ২৭, ২০১৮ @ ২০:৩০]

এসপিটি নিউজ, ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর : ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের ভিত আরও মজবুত হল আজকের দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে। বাণিজ্য সম্প্রসারণে যে প্রতিবন্ধকতা ছিল তা মিটিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে দুই দেশ এক মত হয়েছে।আজ ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সফররত ভারতের বাণিজ্য, শিল্প ও বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ একথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাঁধাসমূহ তুলে ধরা হয়েছে। পাটজাত পণ্য, খাদ্যপণ্য, ভোজ্য তেলসহ বাংলাদেশের বেশকিছু পণ্য ভারতে রফতানির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধান করার বিষয়ে উভয় দেশ এদিনের বৈঠকে একমত হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্ডার হাটের বিষয়ে উভয় দেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। বর্তমানে ৪টি বর্ডার হাট চালু রয়েছে, আরো ৬টির বিষয় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশের শেরপুর জেলার নাকুগাঁও এবং ভারতের ডালু সীমান্তে একটি বর্ডারহাট অল্প দিনের মধ্যেই চালু করা হবে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২১টি পণ্য ভারতে রফতানির ক্ষেত্রে বিএসটিআই-এর টেষ্টিং রিপোর্ট গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ১৫টি পণ্যের রিপোর্ট গ্রহণ করা হযেছে, বাকি ৬টি পণ্যের রিপোর্ট গ্রহণ করতে ভারত সম্মত হয়েছে। এ ছাড়া আরো ৬টি পণ্যের রিপোর্ট গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। উভয় দেশের বাণিজ্য এখন ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। বাংলাদেশ রফতানি করছে ৮৭৩.২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করছে ৮৬১৯.৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ অনেক রফতানি পণ্যের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি ভারত থেকে আমদানি করে অনেক দেশে রফতানি করে থাকে। এখন ভারতের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের রফতানি বাড়ছে।

এ সময় সুরেশ প্রভু সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্যাতিক্রম। বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত খুশি। উভয় দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে। তিনি বলেন, “উভয় দেশের সরকার এবং ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে সকল সমস্যার সমাধান করা হবে। বৈঠকে সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সমাধানের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য করতে ভারত খুবই আন্তরিক। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসটিআই-এর টেষ্টিং রিপোর্ট গ্রহণ, ভোজ্যতেল রফতানির  ক্ষেত্রে জটিলতা, নতুন বর্ডারহাট চালু, পাটপণ্য রপ্তানিসহ যে সকল সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে।”

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত যুবককে কাজে লাগানোর সুযোগ এসেছে। ট্যুরিজম ক্ষেত্রকে গুরুত্ব দিয়ে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য সার্ভিস
সেক্টর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষা করে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা হবে।

Published on: সেপ্টে ২৭, ২০১৮ @ ২০:৩০


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 18 = 23