Published on: ফেব্রু ২, ২০১৮ @ ২৩:১৬
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ২ ফেব্রুয়ারিঃ তারা সকলেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের ঘনিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিক বলে দাবি করছে সিআইডি।এরা হলেন-বেলদার ওসি প্রদীপ রথ, মোহনপুরের ওসি রাজশেখর পাইন, কেশিয়াড়ির ওসি চিত্ত পাল, গড়বেতার প্রাক্তন ওসি হীরক বিশ্বাস, কোতয়ালি থানার প্রাক্তন ওসি সুশান্ত রাজবংশী, খড়্গপুরের প্রাক্তন এসডিপিও সন্তোষ মণ্ডল।কয়েকজন ব্যবসায়ী এদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তোলার পর সিআইডি তাদের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালায়।মেদিনীপুরের সেফ হাউসে নিয়ে এসে বেলদা ও মোহনপুরের দুই ওসিকে সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।গোটা ঘটনার পক্ষে-বিপক্ষে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এদিন সকালেই ঐ দুই ওসিকে আটক করে সিআইডি।আটক দুই ওসির বিরুদ্ধে তোলাবাজি, দুর্নীতি সহ আয় বহির্ভূত সম্পত্তি করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে একযোগে সিআইডি-র ৭৫ জনের একটি দল রাতভ এই তল্লাশি অভিযান চালায়। উদ্ধার হয়েছে আয় বহির্ভূত প্রচুর সোনা ও টাকা। প্রথমে দুই ওসি প্রদীপ রথ ও রাজশেখর পাইনকে খড়গপুরে সিআইডি-র কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে তাদের মেদিনীপুর পুলিশ লাইনে নিয়ে এসে জেরা শুরু করা হয়েছে।
কেউ কেউ রাজ্য সরকারের এই ভূমিকার প্রশংসা করলেও একটা বড় অংশ কিন্তু এই অভিযান বিশেষ করে গুটি কয়েক লোকের অভি্যোগের ধরন দেখেও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাদের প্রশ্ন, এটা কি তবে অন্য গল্প? এই পুলিশ আধিকারিকদের কি ফাঁসানো হল?
প্রশ্ন আরও-১) এই অফিসারদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, তোলাবাজির অভিযোগ সত্ত্বেও কি করে তারা ওসি-র পদে থাকতে পারে? কারণ, এদিনের তল্লাশিও তো করেছে রাজ্য পুলিশেরই একটি বিভাগ। তাহলে তারা আগে কেন তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেয়নি?
প্রশ্ন ২) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় বলে চলেছেন, দুর্নীতিকে কোনওভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। সরকারের কেউ যদি মানুষের সঙ্গে তেমন আচরন করে তবে তারা যেন সেই অভিযোগ তাঁর বাড়িতে গিয়ে জানিয়ে আসেন। তাহলে অভিযোগকারীরা এতদিন কেন, সেই অভিযোগ জানান নি? কিসের অপেক্ষায় তারা বসে ছিলেন?
প্রশ্ন ৩) একজন পুলিশ আধিকারিক তাদের কাছ থেকে টাকা চাইছেন, তারা সেটা দিয়ে চলেছে। আগে তাদের অভিযোগ জানাতে ভয় হয়েছিল। এখব কি এমন ঘটে গেল, যার জন্য তাদের ভয় ভেঙে গেল, আর তারা নির্দ্ধিদায় অভিযোগ জানাতে পারলেন?
প্রশ্ন ৪) একটা জেলার পুলিশ সুপারের ঘনিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিকরা দিনের পর দিন এভাবে মানুষকে ভয় দেখিয়ে তোলাবাজি করে যাচ্ছিল, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তাহলে তা কেন জানতে পারল না?
প্রশ্ন ৫) দুর্নীতিপরায়ন পুলিশ আধিকারিক দিয়ে বছরের পর বছর জেলা আর থানা কিভাবে চালানো হল, এটা কি রাজ্যের গোয়েন্দা কিংবা ইন্টেলিজেন্সের ব্যর্থতা নয়?
গোটা ঘটনা নিয়ে কিন্তু বিভিন্ন মহলে এরকম হাজারো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই বলতে শুরু করেছে-এর পিছনে অনেক কিছু লুকিয়ে আছে। দানা বাঁধছে অনেক রহস্য। খুলবে কি সেই রহস্যের জট?প্রশ্ন সেখানেও।
Published on: ফেব্রু ২, ২০১৮ @ ২৩:১৬