
Published on: মে ২৫, ২০১৮ @ ২০:৪৫
এসপিটি নিউজ, শান্তিনিকেতন, ২৫ মেঃ আট বছরের মাথায় শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন হল আজ শুক্রবার। ভারত-বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনা এক সঙ্গে এই উদ্বোধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। নিজের ভাষণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরনো দিনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। তাঁর বক্তৃতায় ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা ঝরে পড়ে।
১৯৭৫ সালের কথা স্মরণ করতে গিয়ে তিনি ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সেসময় তাঁদের পরিবারের উপর যেভাবে হামলা চালানো হয়েছিল, কিভাবে তাঁর আত্মীয়রা প্রাণ হাতে নিয়ে ভারতে এসেছিলেন, সেসময় ভারত যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিল সেকথা উল্লেখ করেন মুজিব কন্যা। এখানেই না থেমে হাসিনা বলেন, সেসময় ভারত পাশে না দাঁড়ালে, কি হত জানি না। ভারতের স্নেহচ্ছায়া না পেলে আমাদের জীবন অন্যদিকে মোড় নিত।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেন, “আমরা ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি। আমরা তাদের তাড়াতে পারিনি। এক্ষেত্রেও ভারতকে পাশে পেয়েছি।”
বাংলাদেশ ভবনে দুই দেশের ভাষা, বাংলাভাষার চর্চা হবে। গবেষণা হবে। এদিনের বক্তৃতায় সেকথাও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক-একথা বলে নিজের বক্তব্য শেষ করেন শেখ হাসিনা।
এদিন নিজের বক্তৃতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বাংলাদেশের প্রশংসায় মেতে ওঠেন। তিনি এদিন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুশঠান সেরেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি চলে আসেন।সেখানে তিনি ঠাকুরবাড়ি ও সংগ্রহশালা ঘুরে দেখেন।তাঁকে স্বাগত জানান, রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও ব্রাত্য বসু।
Published on: মে ২৫, ২০১৮ @ ২০:৪৫