প্রয়াগরাজের এই বেসরকারি স্কুল এক অসাধ্য সাধন করে অভিভাবকদের হৃদয় জয় করে নিল

Main দেশ শিক্ষা
শেয়ার করুন

  • প্রয়াগরাজের এই বেসরকারি স্কুলটির নাম নিউ স্কলার অ্যাকাডেমি।
  • “সমস্ত পিতামাতার পক্ষে এখন অর্থ প্রদান করা সম্ভব নয়, তাই আমরা এপ্রিল, মে এবং জুনের ফিজ মুকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি”।জানিয়েছেন প্রিন্সিপল।

 

Published on: জুন ১৪, ২০২০ @ ১২:০৪ 

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৪জুন:  হয়নি বিক্ষোভ। দেখায়নি কেউ প্রতিবাদ। টিভি-র পর্দায় দেখা যায়নি স্কুলের সামনে অভিভাবকদের ফিজ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে জটলা। আর কেনই-বা হবে- যেখানে স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই অভিভাবকদের কথা চিন্তাভাবনা করছে। কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের জন্য যে ভয়ানক অর্থনৈতিক প্রভাব পড়েছে সেকথা চিন্তা করে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের একটি বেসরকারি স্কুল এক অসাধ্য করে দেখিয়ে দিল, ইচ্ছা থাকলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে যখন বেশিরভাগ বেসরকারি স্কুল স্টাফদের বেতন দেওয়ার অছিলা দেখিয়ে কড়ায়-গন্ডায় সব ধরনের ফিজ আদায় করে নিচ্ছে তখন এই স্কুলটি এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসের ফিজ মুকুব করে দিয়ে অভিভাবকদের হৃদয় জয় করে নিল। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে।

প্রিন্সিপল মমতা মিশ্র সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন

  • প্রয়াগরাজের এই বেসরকারি স্কুলটির নাম নিউ স্কলার অ্যাকাডেমি। স্কুলের প্রিন্সিপল মমতা মিশ্র সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন-“”সমাজের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীরা এখানে অধ্যয়ন করে। সমস্ত পিতামাতার পক্ষে এখন অর্থ প্রদান করা সম্ভব নয়, তাই আমরা এপ্রিল, মে এবং জুনের ফিজ মুকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি”।
  • প্রিন্সিপল আরও জানান-“এই পরিস্থিতিতেও কর্মী সদস্য এবং শিক্ষকরা নিয়মিত তাদের বেতন পান।” “আমরা বর্তমানে অনলাইন ক্লাস প্রচার করছি এবং আমরা হোয়াটসঅ্যাপ এবং আমাদের ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করছি। ফি ছাড় দেওয়ার ফলে এখন প্রচুর অভিভাবকরা আমাদের সাথে সংযুক্ত রয়েছেন। আমরা একটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি কিন্তু প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে ইন্টারনেটের সুবিধা নেই, সেটাও আমাদের মাথায় আছে,” মিশ্র যোগ করেছেন।

“স্কুলটি কোভিড -১৯ সংকটের মধ্যে বন্ধ আছে, তাই এখন আমরা শিক্ষার্থীদের সমস্যা অনলাইনে সমাধান করছি,” এক অভিভাবক আনন্দ কুমার জানিয়েছেন।

কাদুনি গেয়ে চলা ঠিক নয়

প্রয়াগরাজের এই বেসরকারি স্কুল তাদের মানবিক মুখ তুলে ধরে দেখিয়ে দিয়েছে বেসরকারি স্কুলগুলি যেভাবে সমানে “টাকা নেই-টাকা নেই” বলে কাদুনি গেয়ে চলেছে তা একেবারেই ঠিক নয়। পুরনো সব বেসরকারি স্কুলের তহবিলে যা টাকা সঞ্চিত আছে তাতে অনায়াসে তিনটি মাস ফিজ মুকুব করা যেতেই পারে। তাতে স্কুলের উপর কোনও প্রভাবই পড়ার কথা নয়। পড়বেও না। আইসিএসই অনুমোদিত স্কুলগুলির কাছে তিন মাসের রিজার্ভ ফান্ড আছে। তাতে তারা তিন মাস পর্যন্ত চালিয়ে নিতে পারে। সেকথা আগেই বলেছিলেন কাউন্সিলের এক কর্তা। প্রয়াগরাজের এই বেসরকারি স্কুলটি যে সিদ্ধান্ত নিল তা কিন্তু এই পথেরই সামিল। তাহলে এখন পশ্চিমবঙ্গ শুধু নয় ভারতের অন্যনায় প্রান্তের বাকি সব কটি বেসরকারি স্কুলের অভিভাবকদের মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে- তাদের স্কুলগুলি কেন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না? কোনও জবাব আছে কি?

Published on: জুন ১৪, ২০২০ @ ১২:০৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + 1 =