
Published on: নভে ১৯, ২০২০ @ ১৯:৫০
এসপিটি নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে মোক্ষম জবাব দিল ভারতীয় সেনা। বৃহস্পতিবার নাগরোটায় চার সন্ত্রাসীকে খতম করার জন্য সুরক্ষা বাহিনীর সফল অভিযান চালায়। এর পরই পাকিস্তান ও তার সন্ত্রাসীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতীয় সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভনে।তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন- এবার পাকিস্তান এবং তাদের সন্ত্রাসীদের কাছে একটা স্পষ্ট বার্তা গেছে যে এখন থেকে কেউ অনুপ্রবেশের জন্য নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করলে তাদের বিরুদ্ধে এমনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাদের আর ফিরে যেতে হবে না। সংবাদ সংস্থা এএনআই এই খবর দিয়েছে।
কি ঘটেছিল
একটি আপেল বোঝাই ট্রাকের মধ্যে লুকিয়ে সন্ত্রাসীরা জম্মু ও কাশ্মীরে ঢুকছিল। সন্ত্রাসীদের নিয়ে আসা সন্দেহজনক ট্রাক সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পরে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর বিশেষ অপারেশন গ্রুপের সাথে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) সহ সুরক্ষা বাহিনীকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল।সেই মতো তারা পজিশন নিয়ে নাগরোটায় টোল প্লাজার কাছে ভোর চারটে ২০ মিনিট নাগাদ ট্রাকটিকে থামানোর চেষ্টা করে। ট্রাকটি না থেকে গতি বাড়িয়ে ছুটতে শুরু করে। সেই সময় সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানরা ট্রাকটিকে থামানোর চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা ট্রাক থেকে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ।তবে তারা বেশিক্ষন পেরে ওঠেনি শক্তশালী সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে। ঘটনাস্থলেই সুরক্ষা বাহিনী সন্ত্রাসীদের খতম করে। নিহত চার সন্ত্রাসী।
সন্ত্রাসীদের কাছ কি কি উদ্ধার হয়েছে
এই সংঘর্ষের সময় চারজন সন্ত্রাসী নিহত হয়। এর পর তাদের কাছ থেকে ১১টি AK-47 রাইফেল, তিনটি পিস্তল, 29টি গ্রেনেড এবং অন্যান্য ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। দেখে মনে হচ্ছে তারা বড় নাশকতামূলক কাজের অভিপ্রায়ে অনুপ্রবেশ করেছিল এবং কাশ্মীর উপত্যকার দিকে যাত্রা করেছিল।এখানেই শেষ নয়, নিহত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পাকিস্তান তৈরি ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে জম্মু জেলার নাগরোটা এলাকার বান টোল প্লাজার কাছে সন্ত্রাসবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই এনকাউন্টারটি তিন ঘণ্টা ধরে চলে।
সেনাপ্রধান জেনারেল নারাভনের কড়া বার্তা
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সেনা প্রধান নারাভনে জানিয়েছেন- “এটি সুরক্ষা বাহিনীর একটি অত্যন্ত সফল অভিযান ছিল। দেশের মাটিতে কাজ করা সমস্ত সুরক্ষা বাহিনীর মধ্যে এটি এক উচ্চ মাত্রার আন্তঃসম্পর্ক দেখায়।” “দেশবিরোধী ও সন্ত্রাসীদের জন্য এই বার্তাটি খুব স্পষ্ট যে যে কেউ আমাদের দেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে সেভাবেই তার মোকাবেলা করা হবে এবং তারা আর ফিরে যেতে পারবে না,” যোগ করেন তিনি।সেনাপ্রধানকে নাগরোটা অভিযানে নিহত চার সন্ত্রাসীর সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে সেনাপ্রধান জানান- এই চার সন্ত্রাসী জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
Published on: নভে ১৯, ২০২০ @ ১৯:৫০