পশ্চিমবঙ্গে ‘রাজ-তন্ত্র’ এখন ‘গুন্ডা-তন্ত্রে’ পরিণত হয়েছে-তোপ বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

দেশ রাজ্য লোকসভা ভোট 2019
শেয়ার করুন

“বাংলা এখন হয়ে উঠেছে গুন্ডা-তন্ত্রের ল্যাবরেটরি এবং গুন্ডা-তন্ত্রের দায়।”

“২৩শে মে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর কিছু রাজনৈতিক দলকে তাদের স্বীকৃতি টিকিয়ে রাখার জন্য কঠিন লড়াই করতে হবে।”

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১২মে: সাম্প্রতিককালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে রাজ্যের বিজেপি নেতাদের আক্রান্ত  হওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি বলেন, “রাজতন্ত্র” এ রাজ্যে “গুন্ডাতন্ত্র”-এ পরিণত হয়েছে।

ভ্যানিশ হয়ে যাবে ২৩শে মে

তিনি আরও বলেছেন- “বাংলা এখন হয়ে উঠেছে গুন্ডা-তন্ত্রের ল্যাবরেটরি এবং গুন্ডা-তন্ত্রের দায়।” এখানে রাজ-তন্ত্র গুন্ডা-তন্ত্রে পরিণত হয়েছে। গুন্ডা-তন্ত্রের লাগাতর হামলাগুলি দেখিয়েছে যে তারা আমাদের সংবিধানে বিশ্বাস করে না। দিদি আত্মাভিমান আর তার সমস্ত কেরামতি লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন ২৩শে মে ছু-মন্ত্র অর্থাৎ ভ্যানিশ হয়ে যাবে।” একই সঙ্গে নখভির হুঁশিয়ারি- “২৩শে মে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর কিছু রাজনৈতিক দলকে তাদের স্বীকৃতি টিকিয়ে রাখার জন্য কঠিন লড়াই করতে হবে।”

হিংসার অভিযোগ নকভির

খুন এবং নিজেপি কর্মীদের উপর হামলার ঘটনার দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর চাপিয়ে দিয়ে নকভি বলেন-“বিজেপি বুথ সভাপতি নরেন্দ্র মন্ডলকে খুন করা হয়েছে এনং একই সঙ্গে আমাদের লোকসভার প্রার্থী ভারতী ঘোষ ও আমাদের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর হামলা চালানো হয়েছে। তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য বিজেপির নেতা ও কর্মীদের প্রতিহত করা হচ্ছে। তৃণমূল এটা ভালোমতোই জানে যে এই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই ফের আসছে। ”

প্রায় সব পর্যায়গুলিতে পশ্চিমবঙ্গে ভোটগ্রহণ হয়েছে কম-বেশি হিংসার মধ্য দিয়ে। যেখানে বিজেপি ও তৃণমূল  কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে প্রাথমিকভাবে সহিংসতার শিকার হতে হয়েছিল। এর আগে এদিন সকালে বিজেপির ঘাটালের প্রার্থী ভারতী ঘোষকে ভোটকেন্দ্রে ঢোকার সময় তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা আটকে দেয় এবং তাঁর উপর হামলা চালায়। কয়েকটি জায়গায় তাঁর উপর আক্রমণ করা হয়েছিল এবং গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।”

এছাড়াও, তিনটি পৃথক ঘটনায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয় এবং তাদের মধ্যে রমন সিং নামে একজন ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে মারা যায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

নষ্ট করছেন পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি

নখভি আরও অভিযোগ করেছেন যে “তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করেছেন। “নির্বাচন কমিশন মমতা সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। টিএমসি গুন্ডারা সরকারি ব্যবস্থাকে হাইজ্যাক করেছে। কই দেশের অন্য কোথাও তো এমন ঘটনা ঘটেনি?”

“আমরা ক্রমবর্ধমান অরাজকতা, বুথ দখলের ঘটনা এবং রাজ্যের সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চাই। আমরা চাই পুনর্নির্বাচন। বিজেপি ক্যাডারদের উপর হামলা চালানোর জন্য এই গুন্ডাদের বাইরে থেকে ডেকে আনা হয়েছিল। আমরা চাই যে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করুক এবং তাদের গ্রেফতার করুক যাতে করে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করা যায়।” বলেন নখভি।

গত পাঁচ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পূর্ববর্তী সরকারের তুলনা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী কোন বৈষম্য ছাড়াই দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। গালি গ্যাং অভিযোগ তুলেছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে নতুন ইস্যু এনেছে তারা বিজেপির বিরুদ্ধে, কারণ তারা জানেন যে নাগরিকদের প্রতি সুশাসন ও উন্নয়নের সাথে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ”

চুক্তিবদ্ধ প্রধানমন্ত্রী নয় চাই নিখুঁত প্রধানমন্ত্রী

নখভি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ‘মহাঘোটবন্ধন’ করেছেন যেখানে বিজেপি হারানোর জন্য তারা সব এক হয়েছে। “দ্বন্দ্ব ও বিভ্রান্তি প্রমাণ করেছে যে এই দলগুলি বিজেপির বিরুদ্ধে একটি মহাজোট সফলতা আনতে ব্যর্থ হবে। জনগণ চায় না চুক্তিবদ্ধ প্রধানমন্ত্রী তারা চায় নিখুঁত প্রধানমন্ত্রী। যদি কোন চুক্তিবদ্ধ প্রধানমন্ত্রী সরকার গঠন করে তবে মমতা বলবেন তিনি হতে চান ছয় মাস, এর পর মায়াবতী ও তারপর চন্দ্রবাবু এভাবে পরপর।” ”

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 3 = 1