সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-বাপন ঘোষ
Published on: জুন ২৯, ২০১৮ @ ১৮:০১
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ২৯ জুনঃ মনে পড়ে সত্যজিৎ রায়ের সোনার কেল্লা ছবির সেই দৃশ্য- তিনটি উটের পিঠে চেপে ছোট্ট মুকুলকে উদ্ধার করতে চলেছেন ফেলুদা, তোপসে সঙ্গে জটায়ু। প্রয়োজনে উট যে মরুভূমির বুকে কিভাবে ছুটতে পারে সেটা আমরা সবাই দেখেছিলাম।এবার সেই উটকেই ভরসা করল রাজ্য পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ি থানা এবার “সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ” সচেতনতা অনুষ্ঠানে এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করে। মরুভূমির এই শ্রেষ্ঠ যানকে তারা নিয়ে এল তাদের অভিযানে।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, উট আবার কেন? আসলে একটু ভালো করে ভেবে দেখলে বুঝতে পারবেন-এই উট এমন এক প্রাণী দেখতে উদ্ভট হলেও প্রাণীটি চলাফেরা করে কিন্তু বেশ সতর্কতার সাথে। এই উটকেই বলা হয়ে থাকে “মরুভূমির জাহাজ”। রাজস্থানের মরুভূমি থেকে শুরু করে মধ্য এশিয়া এমনকী আফ্রিকা মহাদেশের মিশরের মতো দেশেও যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হল এই উট।
উটের এক বড় বৈশিষ্ট্য হল, এরা পরিস্থিতি বুঝে নিজেদের গতি বাড়ায়। মরুভূমির বুকে এরা যখন ছুটতে থাকে তখন মনে হয় ঘোড়াও বোধহয় এদের কাছে কিছু নয়। আবার পরিস্থিতি বুঝে এরা চলে অত্যন্ত ঢিমেতালে।
কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ আসলে সেই বার্তাই দিতে চেয়েছে সাধারণ মানুষকে। যারা গাড়িতে চাপে যারা গাড়ি চালায় সকলকে সতর্ক হয়ে রাস্তায় চলতে হবে। অনেকেই গাড়ি চালানোর সময় অন্যমনস্ক হয়ে পড়েন। অনেকেই আবার বিনা প্রয়োজনে যেখানে-সেখানে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দুর্ঘটনার পরিস্থিতি তৈরি করেন। এদিন কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ সেইসব গাড়ি চালকদেরও বার্তা দেন যে একটা প্রাণী যদি পরিস্থিতি বুঝে নিজের গতি বাড়াতে বা কমাতে পারে তবে আপনারা কেন পারবেন না। তাদেরকে এই বার্তা দেওয়া হয়-আপনারা “গাড়ি সাবধানে চালান জীবন বাঁচান।”
বৃহস্পতিবারের প্রচারে চারটি উট নিয়ে আসা হয়েছিল। ছিল রণ-পা, ছিল সিভিক পুলিশো। কেশিয়াড়ি থানা থেকে বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত এই শোভাযাত্রা পরিক্রমা করে৷সব মিলিয়া কেশিয়াড়ি থানার এই অভিনব শোভাযাত্রা “সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ” সচেতনতা প্রচারে এক বিশেষ মাত্রা এনে দেয়।
Published on: জুন ২৯, ২০১৮ @ ১৮:০১