নৃসিংহদেবের আবির্ভাব তিথিঃ মায়াপুর ইসকনের চন্দ্রোদয় মন্দিরে যজ্ঞানুষ্ঠান দেখতে সহস্রাধিক মানুষের ভিড়

দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: এপ্রি ২৮, ২০১৮ @ ২৩:১৭

এসপিটি নিউজ, মায়াপুর, ২৮ এপ্রিলঃ রবিবার ভগবান নৃসিংহদেবের আবির্ভাব তিথি উৎসব। সেই উপলক্ষ্যে  মায়াপুর ইসকনে শনিবার থেকেই শুরু হয়ে গেছে নানা কর্মসূচি। যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বৈদিক আচার-নিয়ম মেনে বিশালাকার সুসজ্জিত যজ্ঞ কুণ্ডে যজ্ঞানুষ্ঠান সম্পন্ন হল। যা দেখতে হাজির ছিলেন দেশ-বিদেশের বহু মানুষ। আর এই যজ্ঞানুষ্ঠানটির আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন ইসকনের গুরুকুলের শিক্ষক-ছাত্ররা। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে কার্যত শুরু হওয়া এই যজ্ঞানুষ্ঠান হয় ইসকনের চন্দ্রোদয় মন্দির চত্বরের চাতালে।

পুরাকালে মুনি-ঋষিরা যেভাবে যজ্ঞের আয়োজন করতেন অবিকল না হলেও প্রায় তেমন ছবিই উঠে এসেছে শনিবার মায়াপুর ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দিরের চত্বরে নৃসিংহদেবের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষ্যে আয়োজিত যজ্ঞে। পুরান কিংবা বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থে বর্ণিত যজ্ঞের ছবি দেখা গেল এদিন। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারনের মাধ্যমে সম্পন্ন হল যজ্ঞানুষ্ঠান।

ইট-সিমেন্ট-বালি দিয়ে গড়া এই কৃত্রিম যজ্ঞ বেদী আকারে ছিল গোলাকার। যজ্ঞবেদীকে চারিপাশ ইটের স্তর দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। প্রথমে একটি ধাপ দ্বিতীয় ধাপ ও তৃতীয় ধাপ। তৃতীয় ধাপের শেষে যজ্ঞকুণ্ডের স্থান রাখা হয়েছিল। সেই কুণ্ডেই কাঠ দিয়ে সাজানো হয়েছিল। এরপর বৈদিক আচার-নিয়ম মেনে যজ্ঞ কুণ্ডকে জাগ্রত করেন গুরুকুলের শিক্ষকরা। শুরু হয়ে যায় যজ্ঞের মাধ্যমে নৃসিংহদেবের আরাধনা।

দেখা গেছে মন্ত্রোচ্চারনের মাধ্যমে যজ্ঞকুণ্ডে একদিকে যেমন আহুতি দেওয়া হচ্ছিল ঠিক সেভাবেই যজ্ঞকুণ্ডের চারিপাশে ইসকনের সন্ন্যাসী-মহারাজরাও অধিষ্ঠিত ছিলেন। ছাত্রদের মধ্যে কাউকে দেখা গেছে দাঁড়িয়ে থেকে চামর দোলাতে। আবার কাউকে দেখে গেছে ছত্র ধরে বসে থাকতে। আবার কাউকে দেখা গেছে শিক্ষক মশাইদের পিছনে দাঁড়িয়ে হাতে পাখা নিয়ে নিয়ে বাতাস করতে।

রাখা হয়েছিল পিতলের নটি কলসি। যার উপরে কৃষ্ণ নামাবলী দিয়ে কলসির মুখ ঢেকে রাখা হয়েছিল। ছিল রজনীগন্ধ্যা ফুলের মালা, নারকেল। তার চারপাশে রাখা ছিল সারি সারি আম পাতা। রাখা ছিল শাল পাতার ছোট বাটিতে বিভিন্ন সামগ্রীও।

যজ্ঞকুণ্ডের থেকে বেশ কিছুটা দূরে বসে তা চাক্ষুষ করছিলেন ভক্তকূল। সন্ধ্যায় ভগবান নৃসিংহদেবের অধিবাস অনুষ্ঠিত হয়। আগামিকাল বিকেলে হবে মূল অভিষেক অনুষ্ঠান।যা দেখার জন্য মায়াপুর ইসকন মন্দিরে তিল ধারনের জায়গা থাকবে না।শনিবারও কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল মায়াপুর ইসকন মন্দিরে বলে জানান জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস।

Published on: এপ্রি ২৮, ২০১৮ @ ২৩:১৭

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

65 − 62 =