সংবাদদাতা-বেবী সরকার
এসপিটি নিউজ, দুর্গাপুরঃ ইচ্ছেটা ছিল খুবই সামান্য, তবু বাবা-মায়ের শেষ ইচ্ছে বলে কথা, তাই দুই ছেলে তা ফেলে রাখতে চাননি।কি ছিল বাবা-মায়ের শেষ ইচ্ছে? তাঁদের দু’জনেরই শেষ ইচ্ছে ছিল-মৃত্যুর পর তাঁদের দুই ছেলে যেন দুঃস্থ-গরিবদের জন্য কিছু করে। আজ রবিবার ছিল সেই দিন। দুই ছেলে জয়ন্ত ও সুমন্ত মণ্ডল ৫০০জন দুঃস্থ মানুষের হাতে শীতবস্ত্র ও কম্বল তুলে দিয়ে পূরণ করলেন বাবা-মায়ের শেষ ইচ্ছে।
২০১৪ সালের ২৬ জুন মৃত্যু হয় মহাদেব মণ্ডলের। চলতি বছরের ৪ এপ্রিল মারা যান মা শেফালী মণ্ডল।তাঁরা দু’জনই তাঁদের এমন ইচ্ছার কথা প্রকাশ করে গেছিলেন দুই ছেলের কাছে। কাঁকসার গোবিন্দপুরের বাসিন্দা দুই ছেলে জয়ন্ত ও সুমন্ত মন্ডল এতদিন ধরে তা বাস্তবায়িত করার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। আজ রবিবার ছিল তাঁদের কাছে বাবা-মায়ের শেষ ইচ্ছে পূরণ করার দিন। আয়োজনও করেছিলেন তারা বেশ ঘটা করে।পানাগড়ের দার্জিলিং মোড়ে আনুষ্ঠানিকভাবেই প্রায় ৫০০ জন দুঃস্থের হাতে তারা তুলে দিলেন শীত বস্ত্র ও কম্বল।দরিদ্রসেবার মধ্যেই আজ দুই ভাই স্মরন করলেন তাদের পরলোকগত মা ও বাবাকে।শুধু শীতবস্ত্র,কম্বলদানই নয় একই সঙ্গে এই ৫০০ জনকে খাওয়ালেনও তারা।মা ও বাবার ছবিতে ফুল-মালা দিয়ে তাদের প্রণাম করেই এই মহত কাজ শুরু করেন। “স্বামী-স্ত্রী আর অ্যালসিসিয়ান জায়গা বড় কম/আমার জায়গা তাই বৃদ্ধাশ্রম”- এমন করুণ আওয়াজ যখন বহু বাবা-মায়ের গলা থেকে বেরিয়ে আসছে সেই সময়ের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে জয়ন্ত ও সুমন্ত রাখলেন এক মহান দৃষ্টান্ত। যা সত্যিই অনবদ্য।