Published on: জুলা ১৫, ২০২১ @ ১৯:০১
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৫ জুলাই: ‘ইয়াস’ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বারে বারে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দীঘা ও সুন্দরবনের সুরক্ষায় মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে ২৪জনের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের কথাও ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে এদিন দীঘায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে সাহায্য তুলে দেওয়া রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দীঘার পাশাপাশি সুন্দরবন, বকখালি, নামখানাও
বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন- দীঘা আমাদের একটি পবিত্র পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু ফণি, বুলবুল, আমফান, ইয়াসের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দীঘা। আমরা দীঘাকে সাজিয়ে তুলেছিলাম ২০১১ সালে। সেখানে আমরা কনভেনশন সেন্টার, বিশ্ব বাংলা উদ্যান, দীঘা গেট, মেরিন ড্রাইভ সাজিয়ে তুলেছিলাম। এছাড়াও আমরা সমুদ্র তীরে জগন্নাথ ঘাট, জগন্নাথ দেবের মন্দির করেছিলাম। কিন্তু ইয়াস সব ছাড়খাড় করে দিয়েছে। দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ে এসব অনেক কিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দীঘার মতো আমরা সুন্দরবন, বকখালি, নামখানাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
“আমরা একটা কাজ করছি, যেহেতু রাজ্যের অর্থনীতিতেও একটা চাপ পড়েছে তাই আমরা তিনটি প্ল্যান করেছি- প্ল্যান এ, প্ল্যান বি, প্ল্যান সি। অর্থাৎ লং টার্ম, মিড টার্ম ও শর্ট টার্ম। শর্ট টার্মে আমরা সর্বস্ব খুয়েছেন বিপর্যস্ত এমন মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছি। বিপর্যস্ত মানুষদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্টে সরাসরি টাকা দেওয়া হচ্ছে। দীঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি নতুন করে সাজিয়ে তুলেছি।” বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য
“ঝড়ের পরেই আমি ২৮ মে দীঘা গিয়েছিলাম। তখনই আমি বলে এসেছিলাম যে ট্যুরিস্ট সিজন আসার আগেই সব করে নিতে। শর্ট টার্মে আমরা স্থানীয় যেসব মানুষের দোকানঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, রুটি-রোজগার চলে গিয়েছে তাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাদের দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের আমরা সাহায্য করেছি। এছাড়াও ১১৪টি দোকানের সাটার পালটে নতুন করে সাজিয়ে দিয়েছি। দীঘাতে বৈদ্যুতিক চুল্লিটাও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল সেটাও সারিয়ে দিয়েছি।”
১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগাচ্ছি তিন জেলায়-মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী বলেন- “মিড টার্মে ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ স্কিম নিয়েছি। এহাড়া ডিসিজিএ, ইরিগেশন, পিডব্লুডি, পাওয়ার, ফিশারি এবং ফরেস্ট সবাইকে নিয়ে আমরা দুটি মাস্টার প্ল্যান করছি- একটা সুন্দরবন মাস্টার প্ল্যান আর একটা হচ্ছে দীঘা মাস্টার প্ল্যান। প্রতি বছর ঝড়ে-জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার জন্য কিভাবে আমরা বাঁচতে পারি- এজন্য আমরা প্রাকৃতিক সম্পদকেও কাজে লাগাতে চাই। এজন্য আমরা ২৪জনকে নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করেছি। এজন্য আমরা রাজ্যজুড়ে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পাঁচ কোটি করে মোট ১৫কোটি ম্যানগ্রোভ লাগাচ্ছি।”
Published on: জুলা ১৫, ২০২১ @ ১৯:০১