সংবাদদাত-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-রামপ্রসাদ সাউ
Published on: জানু ২৬, ২০১৮ @ ০০:২৬
এসপিটি নিউজ, ঝাড়গ্রাম, ২৫ জানুয়ারিঃ চেষ্টায় তাঁর কোনও ত্রুটি নেই। তিনি তাঁর নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর স্বপ্ন জেলার ছেলে-মেয়েরা বাংলার সম্মান শীর্ষে তুলে ধরবে। তিনি তাই চেয়েছেন জেলার ছেলে-মেয়েরা তিরন্দাজির মতো খেলায় উপযুক্ত পরিবেশে নিজেদের তৈরি করুক। এরজন্য যা যা করার দরকার তিন তাই করবেন। তার সেই ইচ্ছা মতোই অবশেষে তিরন্দাজি অ্যাকাডেমির কাজ শুরু হয়ে গেল ঝাড়গ্রামে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাছাই করা ১৬ জন ছেলে ও ১৬জন মেয়েকে শুরু হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের পরিকল্পনা।
মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরনায় রাজ্যের খেলাধুলোর প্রতিভা জাতীয় স্তরে তুলে ধরতে বুধবার থেকে চালু হয়ে গেল ঝাড়গ্রামের এই তিরন্দাজি অ্যাকাডেমি।’সবার লক্ষ্য অলিম্পিক’ সেই আশা রেখেই এদিন সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরলিয়া, মালদা, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলার আট থেকে চোদ্দ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়ারা এদিন ঝাড়গ্রামের ঘোড়াধরা স্টেডিয়াম সংলগ্ন রাজ্যের প্রথম অত্যাধুনিক সুবিধাযুক্ত তিরন্দাজী অ্যাকাডেমিতে যোগদান করে।লক্ষ্য অলিম্পিক।তাদের লক্ষ্য অলিম্পিকের মতো জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বাংলা তথা দেশের মুখ উজ্জ্বল করা।আর সেই লক্ষকে পূরণ করতে বদ্ধপরিকর দক্ষ কোচ থেকে শুরু করে কচিকাঁচারা।
জানা গেছে, তিরন্দাজিতে প্রশিক্ষনরত রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ছেলে-মেয়েদের যেমন বিনামূল্যে বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে পড়াশুনা করানো হবে তেমনই এই সব পড়ুয়াদের অতিরিক্ত প্রাইভেট টিউশনের খরচও বহন করবে প্রশাসন।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্যাম্পের মাধ্যমে বাছাই করা ১৬ জন ছেলে এবং মেয়েকে নিয়ে এদিন থেকে শুরু হয়ে গেল আবাসিক প্রশিক্ষন।এই অ্যাকাডেমির জন্য নিযুক্ত হয়েছেন আধিকারিক সহ মোট ১৬ জন কর্মী।যাদের মধ্যে রয়েছেন একজন ডিরেক্টর,দু’জন কোচ,এক জন সহকারি কোচ। মেয়েদের আবাসনের জন্য একজন মহিলা হস্টেল সুপার,ছেলেদের আবাসনের জন্য এক জন ওয়ার্ডডেন্ট,দু জন গ্রাউন্ডস ম্যান,এক জন করনিক এবং একজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মী।
ডিরেক্টরের অধীনে থাকবে পুরো অ্যাকাডেমির দায়িত্বভার। তার উপরে থাকবে রাজ্য যুব কল্যান ও ক্রীড়া দফতর।ডিরেক্টর অ্যাকাডেমির পুরো বিষয়টির রিপোর্টিং করবেন ঝাড়গ্রাম জেলা যুব কল্যান ও ক্রীড়া দফতরের অধিকারিককে। এদিন ঝাড়গ্রামের জেলা শাসক আর অর্জুন,ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক নকুল চন্দ্র মাহাতো,ঝাড়গ্রাম জেলা যুব কল্যান ও ক্রীড়া দফতরের আধিকারিক সান্তনু দাস সহ অন্যান্য অধিকারিকদের উপস্থিতিতে আবাসিকদের হাতে চাবি তুলে দেওয়া হয়।
Published on: জানু ২৬, ২০১৮ @ ০০:২৬