ঝাড়গ্রামের মুসুম্বি লেবু কিনতে প্রতিদিন খুচরা বিক্রেতারা আসছেন।
পাইকারি দরে 20টি লেবু 100 টাকায় বেচছেন চাষিরা।
ঝাড়গ্রাম শহরে আঙ্গুরের চাষও হয়েছে, এবার শুরু হয়েছে আপেল চাষও।
Published on: সেপ্টে ২২, ২০২০ @ ১০:০৯
Reporter: Biswajit Panda
এসপিটি নিউজ, ঝাড়গ্রাম, ২২ সেপ্টেম্বর: করোনা মহামারীর মধ্যেও নতুন করে বাঁচার পথ খুঁজে পেয়েছেন ঝাড়গ্রামের চাষিরা। খাবারের অসীম ভান্ডার এখন জোগাচ্ছে ঝাড়গ্রাম। বিশেষ করে ফলের চাষ এবার খুব ভালো হয়েছে। তার মধ্যে মুসুম্বি লেবুর ফল বেশ ভালো হয়েছে। যার ফলে চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। প্রতিদিনই এখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ এসে পাইকারি দরে মুসুম্বি লেবি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পর্যটকরাও মুসুম্বি লেবুর এমন ফল দেখে উচ্ছ্বসিত। খোদ পশ্চিমবঙ্গেই এমন সুন্দর ফলন দেখে তারাও বেশ খুশি। ইতিমধ্যে সংসদে কৃষি বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখার বিষয়, কৃষি বিলের কেমন প্রভাব পড়ে এইসব চাষিদের উপর। প্রতীক্ষায় সকলে।
অন্যান্য বছরের তুলনায় ফলন ভালো
জানা গিয়েছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ঝাড়গ্রামে মুসুম্বি লেবুর ফলন খুব ভালো হয়েছে। লেবুর দানাও খুব ভালো হয়েছে। তাই ঝাড়গ্রামের মুসুম্বি লেবু কিনতে খড়গপুর ও মেদিনীপুর, পাঁশকুড়া, তমলুক, বাগনান সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন খুচরা বিক্রেতারা ঝাড়গ্রামে আসছেন। তারা এসে ঝাড়গ্রামের মুসুম্বি লেবু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পাইকারি দরে 20টি লেবু 100 টাকায় বেচছেন চাষিরা।
অন্যান্য রাজ্যের মুসুম্বি লেবুকে টেক্কা দেবে ঝাড়গ্রাম
ঝাড়গ্রাম পুরসভার কদমকানন এলাকার বেশ কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে মুসুম্বি লেবুর চাষ করছেন। মাঝে ফলন ভালো না হলেও করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর খুব ভালো ফলন হয়েছে। চাষিদের দাবি, ঝাড়গ্রামের মুসুম্বি লেবুর স্বাদও খুবই ভালো যা অন্যান্য রাজ্যের মুসুম্বি লেবুকে টেক্কা দেবে। তাই এবছর লাভের মুখ দেখছেন বলে জা্নিয়েছেন চাষিরা। প্রতিদিন বিক্রেতার ঢল নামছে তাতে বেজায় খুশি এলাকার চাষিরা।
ঝাড়গ্রামের মাটি ফল চাষের পক্ষে অনুকূল
ঝাড়গ্রামের লাল মাটিতে মুসুম্বি লেবু চাষ করলে ফলন যে খুব ভালো হয় তা চাষিরা চাষ করে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। কারণ ঝাড়গ্রামের মাটি ফল চাষের পক্ষে অনুকূল। ইতিপূর্বে ঝাড়গ্রাম শহরে আঙ্গুরের চাষও হয়েছে, সেই আঙ্গুরের স্বাদও খুব ভালো।এবার শুরু হয়েছে আপেল চাষও, যদিও এখনও আপেল বাজারে আসেনি। আঙ্গুর বাজারে এসে গিয়েছে, মুসুম্বি বাজারে বিক্রি হতে শুরু করেছে।তাই ঝাড়গ্রামে ফল চাষের প্রতি মানুষের আকর্ষণ ক্রমশ বাড়ছে।
সুন্দরী ঝাড়গ্রাম সবসময় পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে
ঝাড়গ্রামে বেড়াতে এসে বহু পর্যটক কদমকানন এলাকায় গিয়ে মুসুম্বি চাষের বাগান ঘুরে দেখছেন। যা দেখে তারাও খুশি। পিছিয়ে পড়া ঝাড়গ্রাম যে আগামী অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে তা কিন্তু এখানকার চাষিরা বিভিন্ন ধরনের সফল ফল চাষের মাধ্যমে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। এক পর্যটকের কথায়- কি নেই এই ঝাড়গ্রামে, অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রাম সবসময় পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। এখানে প্রকৃতি-পরিবেশ যেমন সুন্দর তেমনই দর্শনীয় বটে। তাই তো বারে বারেই ছুটে আসতে ইচ্ছা করে।
Published on: সেপ্টে ২২, ২০২০ @ ১০:০৯