
সংবাদদাতা-বেবী সরকার
এসপিটি নিউজ,দুর্গাপুর: একবার-দুইবার নয়, বারবার বলে এসেছে স্থানীয় বাসিন্দারা, কিন্তু না পুরসভা না পুলিশ প্রশাসন কারো কোনও হেলদোল নেই। ফলে “জতুগৃহে”র মধ্যে আটকে আছে দুর্গাপুরের বেনাচিতি ঘোষ মার্কেট। আর তারই ফল ঘটেছে সোমবার গভীর রাতের আগুন। যে আগুনে পুড়ে গেছে একটি থার্মোকল-শালপাতার তৈরির থালাবাটির দোকান থেকে শুরু করে তিনটি গুদাম। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে কাছের একটি বেকারি।তবে এটি কিন্তু আরও বড় আকার নিতে পারত।আসলে এটি ছিল আসলে এক সতর্কবার্তা।
সোমবার গভীর রাতে দুর্গাপুরের বেনাচিতি ঘোষ মার্কেটে আগুন লাগে। প্রথমে একটি থার্মোকল-শালপাতার তৈরির থালাবাটির দোকান থেকে আগুন বেরোতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। লেলিহান শিখার মতো আগুন তখন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। এই বেনাচিতি মার্কেট এলাকায় দোকানঘরগুলি একেবারে গা ঘেষাঘেষি করে থাকার কারণে দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের দোকানগুলিতেও। থার্মোকল ও শালপাতার তৈরি থালাবাটির দোকানের পিছনেই একটি বেকারি। সেখানে তখন প্রায় কুড়ি জন কর্মী ঘুমিয়ে ছিলেন। পাশের দোকানে আগুন লেগেছে টের পেয়ে তারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। হুড়োহুড়ি করে পালাতে গিয়ে একজন আহত হন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন । প্রায় চার ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষনে অবশ্য তিনটি গুদাম সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়, যদিও ওই বেকারির কোনও ক্ষতি হয়নি ।
জানা গেছে, এই এলাকাটি দুর্গাপুরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। রাতেই ঘটনাস্থলে আসেন ওয়ার্ডের পুরপিতা মধুসূদন মন্ডল। জানা যায়নি ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও ।তবে রাতের অন্ধকারে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটার কারণে দমকল দ্রুত এই এলাকায় ঢুকতে পারে। দিনের বেলায় হলে এই ঘিঞ্জি বাজারের মধ্যে এত দ্রুত দমকলের গাড়িগুলি ঘোষ মার্কেটে ঢুকতেও পারত না।তখন কিন্তু বিপদ আরও বড় আকার নিতে পারত।বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৈদ্যুতিক তারের জটে এই বেনাচিত বাজার এলাকা কার্যত “জতুগৃহ” হয়ে থাকলেও হেলদোল নেই প্রশাসনের।আগুন লাগার কারণ নিয়ে স্পষ্ট করে দমকলের পক্ষ থেকে কিছু না বলা হলেও শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে অনুমান।