
সংবাদদাতা-বাপ্পা মন্ডল
Published on: জুলা ২৯, ২০১৮ @ ২১:১৭
এসপিটি নিউজ, খড়্গপুর, ২৯জুলাইঃ মাত্র কয়েক মাস হয়েছে মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রামের মানুষ বাঘের আতঙ্ক কাটিয়ে উঠেছে। বন দফতরের ব্যর্থতা ঢেকে দিয়েছে আদিবাসীদের একাংশের বাঘটিকে হত্যা করার ঘটনা। যেভাবে বাঘটিকে কয়েকজন আদিবাসী যুবক শিকার উৎসবের নাম করে জঙ্গলে ঢুকে হত্যা করে পাড় পেয়ে গিয়েছে তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। কোনও শাস্তিই তারা পায়নি। সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই ফের এক অজানা জন্তুর আতঙ্ক গ্রাস করেছে খড়্গপুরবাসীকে।জন্তুটি হায়না না অন্য কিছু তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি বন দফতর।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর পুরসভার অন্তর্গত ২৬ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানকার সাউথ সাইড ধোবি ঘাটে ১০-১৫ দিন ধরে এক হিংস্র জন্তুর আতঙ্ক স্থানীয় বাসিন্দাদের গ্রাস করেছে।সন্ধে হলে ওই জন্তুর ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকতে হচ্ছে সকলকে।
স্থানীয় বাসিন্দা বি গিতা, এল যমুনা ও বি উমেশ রাও বলেন, “সন্ধে হলে আমরা হায়নার আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারি না। বাড়ির বাইরে বাধা গরুর বাচ্চা, ছাগল, মুরগি সব উঠিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে। এই জন্তু লাইট দেখলে সামনে আসছে না। বাড়ির আশেপাশে জঙ্গল রয়েছে। জঙ্গল থেকে প্রতিদিন বেরিয়ে আস। আমরা মশাল জ্বালিয়ে জঙ্গলের দিকে খোঁজাখুঁজি করলে অন্যদিকে চলে যায়।এলাকার কাউন্সিলার ও বনদপ্তরে এ ব্যাপার জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি।” বাসিন্দাদের কথায়, জন্তুটি হায়না হতে পারে।
কাউন্সিলর অনুশ্রী বেহারা বলেন, “কয়েক বছর আগে থেকে এ এলাকায় শেয়ালের উৎপাত আছে জানি। কিন্তু এখানে হায়না আছে বলে জানা নেই। গোটা ব্যাপারটা বন দফতর দেখছে।”
কিন্তু বন দফতরের দৌড় কতটা তা তো মেদিনীপুর আর ঝাড়গ্রামের মানুষ কয়েক মাস আগেই টের পেয়েছিল।তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
যদিও হিজলী ডেপুটি রেঞ্জ অফিসার শান্তনু কুলভি বলেন, “একটা অভিযোগ বন দফতরে জমা পড়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ওখানে গিয়েছিলাম। বৃষ্টি পড়ার জন্য কোন জন্তুর পায়ের ছাপ পাওয়া যায়নি। পুরো ব্যাপারটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।এটা কি জন্তু, তদন্ত না করলে বলা যাবে না।”
Published on: জুলা ২৯, ২০১৮ @ ২১:১৭