Published on: অক্টো ১০, ২০১৮ @ ১৪:৩৯
এসপিটি নিউজ, বেলুড়, ১০অক্টোবরঃ পুজোর আনন্দ ওদের জন্যই। ওদের মুখে হাসি থাকলেই সব ভাল। ওই মানুষগুলি ভাল থাকলেই পুজোর উৎসব সার্থক। ওরাও উৎসবের অংশীদার। তাই ওদের কথা তো ভাবতেই হবে। হ্যাঁ, বারাকপুরের সম্রাট তপাদার প্রতিবারের মতো সমাজের ওই প্রান্তিক মানুষগুলির কথা ভেবেই তাঁর পুজোর উৎসব পালনের কর্মসূচি নিয়েছিলেন। ৫ অক্টোবর প্রান্তিক মানুষগুলির হাতে রিকশা তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে যে মহতী কাজ শুরু করেছিলেন সম্রাট বেলুড় মঠে গিয়ে দুঃস্থ পড়ুয়াদের হাতে পুজোর বস্ত্র তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে তা পেল পূর্ণতা।
ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস বলতেন- “তাঁকে হৃদয়মন্দিরে আগে প্রতিষ্ঠা করো। বক্তৃতা, লেকচার, তারপর ইচ্ছা হয়তো করো। শুধু শুধু ব্রহ্ম ব্রহ্ম করলে কী হবে, যদি বিবেক-বৈরাগ্য না থাকে? ও তো ফাঁকা শঙ্খধ্বনি।” সম্রাটও তাই নীরবেই এই প্রান্তিক মানুষগুলির মুখে এক ফোটা হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেছেন।ফাঁকা শঙ্খধ্বনি তিনি করেন না। ওই মানুষগুলিই সম্রাটের কাছে সব। ওদের আনন্দই সম্রাটকে এক অনাবিল আনন্দের সাগরে ভাসিয়ে দেয়।
আজ বুধবার যেমন সম্রাট তপাদার সাতসকালেই পৌঁছে যান বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে। সেখানে গিয়ে প্রথমে মঠের প্রেসিডেন্ট মহারাজ স্বামী স্মরণানন্দজীকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়ে দেখা করেন রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ ইউনিভারসিটির স্বামী দেবজ্যোতি মহারাজের সঙ্গে। প্রান্তিক ও অনাথ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে পুজোর পোষাক ও ২০০ টি পায়জামা-পাঞ্জাবী তুলে দেন মহারাজের হাতে। ছোটবেলা থেকে রামকৃষ্ণ ভাবাদর্শে মানুষ হওয়া সম্রাট পুজোর প্রণামী হিসাবে দান করেন অর্থ।
মনে পড়ে যায় শ্রীশ্রী মা সারদাদেবীর সেই বাণী -“ভালবাসায় সব কিছু হয়, জোর করে কায়দায় ফেলে কাউকে দিয়ে কিছু করানো যায় না। এরকম করতে করতে তোমার মনে শান্তি আপনি আসবে।” সত্যি মায়ের আগমনীতে সম্রাটের এই সুপ্রয়াসে প্রান্তিক ওই মানুষগুলি থাকুক সুখে-শান্তিতে। ওদের জীবন ভরে উঠুক আনন্দে-আতিশয্যে।
Published on: অক্টো ১০, ২০১৮ @ ১৪:৩৯