Published on: সেপ্টে ৫, ২০২০ @ ২২:০৪
নিজস্ব সংবাদদাতা পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ সেপ্টেম্বর: বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিল। আর সেখানে মোবাইল ফোন হারিয়ে আসে। আর তারপরেই বাড়িতে এসে ভুয়ো মাওবাদী গ্লপ ফাঁদে যুবক। বলে তার ফোন নাকি মাওবাদীরা নিয়ে গিয়েছে। এমনকী তারা নাকি তাদের প্রাণে মেরেও ফেলতে চেয়েছিল। এই কথা শোনার পর খোদ রাজ্য পুলিশের ডিজি থেকে পদস্থ পুলিশ কর্তারা দফায় দফায় মিটিং করে। জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই যুবক সহ তার বন্ধুদের। আর তারপ্রেই বেরিয়ে আসল স্ত্য। জানা যায়, ওই যুবক মিথ্যা মাওবাদী গল্প ফেঁদেছিল।
ঠিক কি হয়েছিল
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরের বাসিন্দা সম্রাট মাইতি, সুরজিৎ রায়, অর্ক দ্বীপ পাল ও বিশ্বরূপ ঘোষ বৃহস্পতিবার একটি গাড়িতে করে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি থানা এলাকার ধাঙ্গিকুসুম এলাকায় থাকা ঝরনা দেখতে গিয়েছিল। সেখান থেকে শুক্রবার তারা বাড়ি ফিরে আসে। বাড়িতে এসে সম্রাট জানায় যে তার মোবাইল ফোনটি মাওবাদীরা নিয়ে গিয়েছে।
খড়গপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষ পল্লীর তালপুকুর এলাকার বাসিন্দা টাটা মেটালিকস এর কর্মী সম্রাট মাইতি গল্পফাঁদে। বলে- “তারা মাওবাদীদের ছবি তুলতে গেলে গুলি করে খুন করার হুমকি দিয়েছিল। মাওবাদী আটজনের মধ্যে রয়েছে তিনজন মহিলা এবং তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। ইনসাস, ও এ কে৪৭ এর মত আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।” শনিবার বিভিন্ন সংবাদপত্রে খাবারটি প্রকাশিত হয়।
নড়েচড়ে বসে পুলিশ
ওই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ প্রশাসন ।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী শামসুদ্দিন আহমেদ ও ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সাবির আলী ঐ চারজনকে খড়গপুর টাউন থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আসল তথ্য উদ্ধার করে পুলিশ।
Actual fact about talk this IPS officer pic.twitter.com/vZsX1tJ36m
— SANGBADPRABHAKARTIMES (@SANGBADPRABHAK2) September 5, 2020
পুলিশ জানতে ভুয়ো মাওবাদী গল্প ফাঁদার কথা
পুলিশ জানতে পারে- সম্রাট মাইতির মোবাইল ফোনটি হারিয়ে গেছে তাই সে মাওবাদী গল্প ফাঁদে তার পরিবারের কাছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন শোরগোল শুরু হয়েছে। তাই মাওবাদী গল্প ফেঁদে শেষ রক্ষা করতে পারল না সম্রাট মাইতি। রহস্য ভেদ করল পুলিশ। শনিবার ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র ডিআইজি,আই জি সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠক শেষ হওয়ার পর ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অমিত কুমার ভরত রাঠোর বলেন খড়্গপুরের যুবক সম্রাট মাইতি গল্প ফেঁদে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেছিল তার বাড়ির লোককে। তার বাড়ির লোক বুঝেছিলো যে তার মোবাইল ফোনটি মাওবাদীরা নিয়ে নিয়েছে। তাই সে মাওবাদী ভুয়ো গল্প বলেছিল। পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদ্ধার করেছে।
Published on: সেপ্টে ৫, ২০২০ @ ২২:০৪