কুফরি, নারকান্ডা, মানালিতে মরশুমের প্রথম তুষারপাত, বরফ ক্রীড়ায় মাতলেন পর্যটকরা

Main আবহাওয়া দেশ ভ্রমণ
শেয়ার করুন

Published on: নভে ১৫, ২০১৮ @ ২১:৩৭

এসপিটি নিউজ, সিমলা, ১৫ অক্টোবরঃ এবার যে হিমালয় ঘেরা রাজ্যগুলিতে ঠান্ডার প্রকোপ অন্যান্য বছরকে ছাপিয়ে যাবে তা এক মাস আগে থেকে বোঝা গেছিল। নভেম্বর মাস শুরু হতে তা আরও পরিষ্কার হয়ে গেল। গোটা হিমাচল জুড়ে জাঁকিয়ে পড়েছে ঠান্ডা। জায়গায় জায়গায় শুরু হয়ে গেছে তুষারপাত। কোথাও ভারী আবার কোথাও হালকা। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটকরা তা উপভোগ করছে।মরশুমের প্রথম তুষারপাত হয়ে গেল সিমলার কুফরি এবং নারকান্ডা, মান্ডীর জঞ্জৌলী এবং মানালিতে। ইতিপূর্বে কুলুতে জলোড়ী জোত, লাহুল স্পিতী এবং রোটাং-এ তুষারপাতের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটেছে। কেলং-এর বাস ডিপো কুলুতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

জাগরন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশের উপরের পাহাড়ি এলাকা পাঙ্গী, কেলং, নিচার, কাফনু এবং সাংলায় কমপক্ষে আধ ফুট মতো বরফ পড়েছে। এর ফলে পাঙ্গীর সঙ্গে অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ভরমৌর, তীসা, সলুনীর পাহাড়ী এলাকায় তুষারপাত হয়েছে। সবচেয়ে বড় খবর জঞ্জাতি অধ্যষিত পাহাড়ী জেলা কিন্নর, লাহুল স্পিতীতে পারদ শূন্যের নীচে নেমে গেছে। গোটা রাজ্যের তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি কমে গেছে।

চার বছর বাদে পর্যটন নগরী মানালিতে নভেম্বর মাসেই তুষারপাত হল। এই বছর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এই চিত্র দেখা গেল। এর আগে ২০১৪ সালে নভেম্বর মাসে মানালিতে তুষারপাত হয়েছিল। বুধবার রাতে ম্যাল রোডে বরফ দেখা গেছে। হোটেলের বাইরে তা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।রোটাং পাসেও অনেক বরফ পড়েছে।

লাহুলের জেলা সদর কেলং-এ ৩ ইঞ্চি বরফ পড়েছে। কোকসারে এক ফুট এবং সিসু থেকে গোধলা পর্যন্ত ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি বরফ পড়তে দেখা গেছে। দারচা ঘাটিতে পর্যন্ত এক ফুটের বেশি বরফ পড়েছে। পটন ঘাটিতে ৩ থেকে ৬ ইঞ্চি বরফ পড়েছে।

এর ফলে পর্যটকরা এর পুরো মজা নিতে শুরু করেছে। পলচান এবং সোলংনালার এলাকায় স্নো পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। আবহাওয়া পরিষ্কার হতেই পর্যটকরা ভ্রমণের সঙ্গে বরফ ক্রীড়া উপভোগ করছেন।রোটাং পাসের রাস্তা এখন এই অবস্থায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন আগামী বছরের জন্য তা মেরামত করবে। ইতিমধ্যে লাহুল এবং কুলুতে ৩০০র বেশি মানুষ আটকে রয়েছেন।

জাগরন সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে লাহুল স্পিতীর প্রাক্তন বিধায়ক রবি ঠাকুর জানিয়েছেন, “ভারী তুষারপাতের কারণে রোটাং-এর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। তিনি লাহুল স্পিতীর প্রশাসনের কাছে আটকে পড়ে লোকজনকে নিয়ে আসার জন্য রোটাং সুড়ঙ্গ ব্যভার করতে দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। লাহুলের ডেপুটি কমিশনার অশ্বনী কুমার চৌধুরি জানান, আটকে পড়া লোকজনকে নিয়ে রোটাং সুড়ঙ্গ দিয়ে নিয়ে আসার জন্য তারা বিআরও-র কাছে আর্জি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি রাজ্যের মুখ্য সচিবকে পর্যন্ত জানিয়ে রেখেছেন।

ছবি- মানালিতে বরফ ক্রীড়ায় মেতেছেন পর্যটকরা (জাগরন)।এছাড়াও অপর ছবিগুলি হল যলথাক্রমে-কুলুর বিজলি মহাদেব মন্দির, নারকান্ডা, কিন্ন্রর জেলার সাংলা ও কল্পার বরফে ঢাকা এলাকা (এএনআই)।  

Published on: নভে ১৫, ২০১৮ @ ২১:৩৭


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

58 + = 65