
Published on: এপ্রি ১৬, ২০২১ @ ১৬:৫৪
এসপিটি নিউজ, নয়াদিল্লি, ১৬ এপ্রিলঃ করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের সমস্ত স্মৃতিসৌধ এক মাসের জন্য পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হল। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকছে। এইবিষয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার ডাইরেক্টর (স্মৃতিসৌধ) এন কে পাঠক আদেশ জারি করেছেন।
সেই আদেশে বলা হয়েছে যে এই এক মাস সময়কালে এই আদেশ কার্কর করা জরুরী। এর লকডাউনের পর ২০২০ সালের মার্চ মাসের শেষের দিকেদেশের সমস্ত স্মৃতিসৌধ বন্ধ ছিল।এর পর, ৬ জুলাই পর্যটকদের সংখ্যা সীমাবদ্ধ রেখে টিকিটযুক্তসব কটি স্মৃতিসৌধ প্রবেশের জন্য খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।তবে ১৯ ডিসেম্বর মামলার সংখ্যা কমে যাওয়ায় পর্যটকদের সংখ্যার সীমারেখে তুলে দেওয়া হয়েছিল।
আপনাদের জানিয়ে রাখি যে দেশে এএসআইয়ের অধীনে ৩৬৯৩ টি স্মৃতিসৌধ রয়েছে। এর মধ্যে দিল্লিতে য়াছে ১৭৪ টি। সারাদেশে মাত্র ১৪৩ টি স্মৃতিস্তম্ভে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হয়।এর মধ্যে রয়েছে দিল্লিতে ১১ টি টিকিট কেটে প্রবেশের স্মৃতিসৌধ । দিল্লিতে যে স্মৃতিসৌধগুলিতে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হয়, তার মধ্যে রয়েছে- বিশ্ব ঐতিহ্য লাল কেল্লা, কুতুব মিনার, হুমায়ূনের সমাধি, জাতীয় স্মৃতিসৌধ পুরানো দুর্গ, খান-ই-খানার সমাধি, কোটলা ফিরোজশাহ, যন্তর মন্তর, সাফদারজং এর সমাধি, হাউজ খাস কমপ্লেক্স এবং তুঘলাকাবাদ দুর্গ ইত্যাদি।
আরও জানা গেছে, ২০১৯ সাল পর্যন্তলক্ষ লক্ষ পর্যটক প্রতি বছর প্রধান স্মৃতি্সৌধগুলি দর্শন করেন। এর মধ্যে লাল ঙ্কেল্লায় বছরে ২৮ লক্ষ, কুতুব মিনারে ৩১ লক্ষ, হুমায়ূনের সমাধিতে ৫ লক্ষ, যন্তর-মন্তরে চার লক্ষ, পুরানো কেল্লায় চার লক্ষ পর্যটকে এসেছে। বিদেশি পর্যটকরা হুমায়ূনের সমাধিতে সর্বাধিক পৌঁছেছেন। এরমধ্যে এক বছরে চার লাখ পর্যটক এসেছে হুমায়ূনের সমাধিতেই, কুতুব মিনারে সাড়ে তিন লাখ, লাল কেল্লায় দেড় লাখ এসেছে।
Published on: এপ্রি ১৬, ২০২১ @ ১৬:৫৪