
Published on: মার্চ ১৫, ২০১৮ @ ২০:২৫
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ১৫ মার্চঃ সাংবাদিকদের কাজ হল খবর সংগ্রহ করা। পক্ষে-বিপক্ষে সব দিক খতিয়ে তবেই তারা খবর করে থাকে। কিন্তু মেদিনীপুর শহরের উপকন্ঠে বৃহস্পতিবার এ কি হল? যেখানে সাংবাদিকদের রাস্তায় ফেলে পেটানো হল। তাদের ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হল। আবার খুন করার হুমকিও দেওয়া হল।
এদিন যে সাংবাদিকরা আক্রান্ত হলেন তারা হলেন-কলকাতার এক টিভি চ্যানেলের ক্যামেরাম্যান শুভব্রত কুণ্ডু, কলকাতার এক দৈনিক পত্রিকার চিত্র সাংবাদিক নিতাই রক্ষিত ও মেদিনীপুর শহরের এক টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক শেখ ওয়ারেশ আলি।
ঠিক কি হয়েছিল, যার জন্য সাংবাদিকদের আক্রান্ত হতে হল? জানা গেছে, বেকার যুবকদের কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পের ঋণ পাইয়ে দেবে বলে মেদিনীপুর শহরের হাতারমাঠ একটি অফিস খুলে বসে এক সংস্থা। যারা ঋণ আবেদনকারীদের কাছ থেকে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছিল বলে অভিযোগ। তিন মাসের মধ্যে তারা ঋণ পাবে বলে জানিয়েছিল সেই সংস্থা। কিন্তু আট মাস হয়ে গেলেও একজনও ঋণ পায়নি। এদিন সেই ঋণ আবেদনকারীরা তাদের দেওয়া টাকা ফেরত নিতে আসে।সংস্থায় টাকা দিতে অস্বীকার করলে আবেদনকারীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় সাংবাদিকরা। সাংবাদিকরা আবেদনকারীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর সংস্থার লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে যায়। অভিযোগ, সাংবাদিকদের দেখে সেখানে ছূটে আসে স্থানীয় অমিত দাস সহ বেশ কয়েকজন।রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে তারা সাংবাদিকদের দিকে তেড়েফুড়ে এগিয়ে আসে, তারপর ধাক্কা মারতে মারতে মাটিতে ফেলে বেদম প্রহার করতে থেকে। কয়েকজনের জামা-গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলে। ভেঙে দেয় ক্যামেরাও। ক্যামেরাম্যান শুভব্রত, চিত্র সাংবাদিক নিতাই ও সাংবাদিক ওয়ারেশ আলিকে এমন মার মারে যে তারা লুটিয়ে পড়ে সেখানে। এখানেই থেমে থাকেনি আক্রমনকারীরা। তারা এরপর সাংবাদিকদের ‘দেখে নেবো’ , ‘খুন করব’ , ‘শেষ করে দেবো’ বলে শাসাতে থাকে।
এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে সাংবাদিকরা ধিক্কার জানিয়েছে। সাংবাদিকরা পালটা প্রশ্ন তুলেছে, কে এই ‘বী্র পুঙ্গব’ অমিত দাস। যার এত ক্ষমতা! যে সাংবাদিকদের পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তার পিছনে কাদের হাত রয়েছে। প্রশাসন ঘটনার পর কি সত্যি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পেরেছে? না কি কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছে? এই প্রশ্ন কিন্তু উঠতে শুরু করেছে।
Published on: মার্চ ১৫, ২০১৮ @ ২০:২৫