
Published on: ডিসে ১৪, ২০১৮ @ ২৩:৫২
এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ একেই বলে বোধ হয় সময়ের পরিণতি। আজ থেকে ১৮ বছর আগে তাঁর বাবা রাজস্থানের প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা রাজেশ পাইলট সোনিয়া গান্ধীর বিরোধিতা করে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। আর আজ সেই ১৮ বছর বাদে ছেলে শচীন পাইলট দেখলেন সোনিয়া পুত্র কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং দম। টানা দু’দিনের টানাপোড়েনের পর অবশেষে শচীনকে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল।
সেইসময় শরদ পাওয়ার কংগ্রেসের সভাপতি পদের জন্য লড়েছিলেন সীতারাম কেশরীর বিরুদ্ধে। সঙ্গে ছিলেন রাজেশ পাইলট।তাঁর তখন এতটাই প্রভাব ছিল যে দলের হাইকম্যান্ডের বিরুদ্ধেও কথা বলতে বাধত না। যদিও সেই নির্বাচনে কেশরীই জয়ী হয়েছিলেন। পরবর্তীতে, যখন পার্টি সোনিয়া গান্ধীর নিয়ন্ত্রণে আসে, তখন শরদ পয়ার বিদ্রোহী হন এবং দল থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন। ২০০০ সালে কংগ্রেসের অধ্যক্ষ পদে সোনিয়া গান্ধী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং কংগ্রেসের নেতা জ্যোতিন প্রসাদের বাবা জিতেন্দ্র প্রসাদ ও শচীন এর বাবা রাজেশ পাইলট ছিলেন। যখন জিতেন্দ্র প্রসাদ সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন পাইলট তার সমর্থনে সমাবেশও করেন। জিতেন্দ্র প্রসাদ সেই নির্বাচনে পরাজিত হন।
আজ ১৮ বছর পর রাজেশ পাইলটের সেই ছবি দেখার সুযোগ তাঁর ছেলে শচীন পাইলটের ভিতর ফিরে এসেছিল।রাজস্থানে যখন কগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ আসে তখন শচীন নিজের দাবি পেশ করেন সোনিয়া পুত্র রাহুলের কাছে। তখন রাহুল দোটানায় পড়েন -এই ভেবে যে অভিজ্ঞ অশোক গেহলতকে কিভাবে উপেক্ষা করে শচীনকে মুখ্যমন্ত্রী করা যাবে। এই কারণে সোনিয়া গান্ধীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। টানা দু’দিন ধরে আলোচনার পরই শচিনকে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণের কথা বিবেচনা করা হয়।আর তিনি তা নিয়েই সন্তুষ্ট হন।
Published on: ডিসে ১৪, ২০১৮ @ ২৩:৫২