দুই সরকারি দফতরের রেষারেষিতে সরকারকেই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হল

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                                                      ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: ডিসে ১৪, ২০১৮ @ ২৩:৫৯

এসপিটি নিউজ, ঝাড়গ্রাম, ১৪ ডিসেম্বরঃ মুখ্যমন্ত্রী বলছে এক আর হচ্ছে আর এক।প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বৈধ বালি খাদানগুলিতে নির্দিষ্ট পরিমান বালি তোলার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন। অথচ সেটা নিয়েও নতুন করে জট পাকাল দুই সরকারি দফতর। এদের রেষারেষির জেরে এখন সরকারির রাজস্ব আদায় বড়সড় ক্ষতির মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। এই আর্থিক ক্ষতি কিভাবে কাটিয়ে উঠবে সরকার তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা।

স্মপ্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছিলেন বৈধ বালি খাদগুলিতে এখন থেকে ৩০০ সিএফটি বালি তোলা যাবে। এর বেশি নয়। সেই মতো তাই তোলা হচ্ছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কখনই বলেননি যে একটি লরিতে একবারের ৩০০ সিএফটি বালি পরিবহন করা যাবে। আবার একই নির্দেশ পরিবহন দফতরকেও তিনি দেননি যে ৩০০ সিএফটি বালি বোঝাই গাড়ি গেলেই যেন ধরা হয়। এই নিয়েই জট পাকিয়েছে।

ইতিমধ্যে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর নির্দেশ দিয়েছে যে কতটা বালি তোলা যাবে বৈধ খাদান থেকে। সেই মত বালি খাদানের মালিকরা সেই নির্দেশ মেনেই ৩০০ সিএফটি বালি তুলছে। কিন্তু তারা পরিবহন খরচ বাঁচাতে একবারে ৩০০ সেফটি বালি বোঝাই করে লরিগুলি নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।আর এখানেই ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর ও পরিবহন দফতরের মধ্যে রেষারেষি শুরু হয়েছে।

পরিবহন দফতর একটা কথাই বলছে যে লরিগুলিতে কোনওভাবেই তারা ১৬.২ টনের বেশি বালি বোঝাই গাড়ি তারা চলতে দেবে না। বালি খাদানের মালিকদের অভিযোগ যে এত কম বালি বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া মানে একটা গাড়িকে আগের চেয়ে পরিবহন খরচ বেড়ে যাবে। এভাবে ব্যবসা করা যাবে না। আর তাই তারা এদিন তারা বেলিয়াবেড়া বিএলআরও অফিসে এসে সমস্ত চালান অর্ডারগুলো ফেরত দিয়ে দেনl লিখিত ভাবে তাদের অভিযোগও জানান।

Published on: ডিসে ১৪, ২০১৮ @ ২৩:৫৯


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

28 − = 23