Published on: ফেব্রু ১২, ২০২১ @ ১৬:৪৪
এসপিটি নিউজ, নয়া দিল্লি, ১২ ফেব্রুয়ারি: রাজ্যসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ বাড়িতে এসেছিলেন খেতে। কিন্তু তার মধ্যেই নিজের কাজ করে সেরে ফেলেছেন সতীর্থ দীনেশ ত্রিবেদী।বলার তালিকায় নাম না থাকলেও তিনি সর্বসমক্ষে বিষয়ের বাইরে গিয়ে নিজের কথা বলে রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন।এমন ঘটনায় রীতিমতো হতবাক সুখেন্দুবাবু।
সংবাদ মাধ্যমে রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, “বাজেট অধিবেশন চলছিল। সেখানে আমাদের দলের পক্ষে আমি ও আর একজন সাংসদ বাজেট অধিবেশনে বলার অনুমতি ছিল। আমাদের বলা হয়ে গেলে আমি বাড়িতে এসেছিলাম খেতে। কিন্তু এর মধ্যে ও(দীনেশ ত্রিবেদী) কিভাবে ম্যানেজ করে যে বলতে উঠল তা আমি বুঝতে পারছি না। এরই মধ্যে অনেক কথা বলে বাজেট নিয়ে কোনও কথা না বলে নিজের ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে দিল।এমনটা হবে বুঝতে পারিনি। আমাকে দেখতে হবে কিভাবে এমনটা হল। কিভাবেইবা উনি বলার সুযোগ পেলেন।”
সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে জানান- “আমার করুনা হচ্ছে দীনেশ ত্রিবেদীর উপর। যে তৃণমূল কংগ্রেসে এতদিন উনি ছিলেন সেখেন তো আগেও এমনটা হয়েছে তাহলে তখন তার দম বন্ধ হয়নি। আর আমি জানি না উনি এখন তৃণমূল ছেড়ে আবার বিজেপিতে যাবেন কিনা । তাহলে ওনাকে বলবো। ওখানেও তো আপনার দম বন্ধ হওয়ার কথা। আপনার অন্তরাত্মার ডাক দিইয়েছে না কি কে ডেকেছে তা আমার জানা নেই।”
এর আগে রাজ্যসভায় দাঁরিয়ে দীনেশ ত্রিবেদী বলেন- “আমি একা নই, আপনি যদি পার্টির লোকদের জিজ্ঞাসা করেন তবে তারাও একই রকম অনুভব করে। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে দলে যোগ দিয়েছিলাম কিন্তু এখন আর এটি তার দল নয়।আমার দলের প্রতি কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে এখানে পাঠিয়েছে। আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে। আমরা রাজ্যের সহিংসতা নিয়ে কিছু করতে পারছি না। আমার অন্তরাত্মা আমাকে বলেছে যে তুমি যদি এখানে বসে কিছু করতে না পারো তবে তোমাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। আমি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের হয়ে কাজ চালিয়ে যাব।”
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে দীনেশ ত্রিবেদী বলেন- “এটি আমার অভ্যন্তরীণ কণ্ঠস্বর ছিল, বিশেষত বাংলায় যা চলছে তা নিয়ে আমি নিঃশব্দ দর্শক হিসাবে সংসদে বসে থাকতে পারিনি। এমন কোনও ফোরাম নেই যেখানে আমি আওয়াজ তুলতে পারতাম; আমি বাংলার প্রতি তাহলে অবিচার করতাম।”
Published on: ফেব্রু ১২, ২০২১ @ ১৬:৪৪