- কলকাতা প্রেস ক্লাবে অল ইন্ডিয়া ব্রাদারহুড ফাউন্ডেশন ও সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এর এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
- “কলকাতা ও জয়শলমীরের মধ্যে খুব পুরনো সম্পর্ক আছে।” বলেন রত্নু।
- “দেশের মধ্যে পর্যটনপ্রেমী যদি বেশি মাত্রায় কেউ থাকে তারা হলেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।”
- রত্নু বলেন- “আমি শ্রদ্ধা জানাই গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যজিৎ রায়কে।”
Published on: ফেব্রু ১৭, ২০২০ @ ০০:৩২
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৬ ফেব্রুয়ারিঃ কলকাতা প্রেস ক্লাবে অল ইন্ডিয়া ব্রাদারহুড ফাউন্ডেশন ও সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এর আয়োজনে গত শুক্রবার আয়োজিত হয় এক বিশেষ অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত অন্যতম অতিথি রাজস্থান পর্যটন বিকাশ নিগমের কলকাতা কার্যালয়ের এক আধিকারিক হিঙ্গলাজ দন রত্নু তাঁর বক্তব্যে রাজস্থান-পশ্চিমবঙ্গের পুরনো সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। প্রনাম জানালেন বাংলার মাটিকে। একই সঙ্গে বাংলার মাটিকে ভারতের সিলমোহর বলেও আখ্যা দিলেন।
পুরনো সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন হিঙ্গলাজ দন রত্নু
রাজস্থানের পর্যটন আধিকারিক হিঙ্গলাজ দন রত্নু বলেন-“কলকাতা ও জয়শলমীরের মধ্যে খুব পুরনো সম্পর্ক আছে।পশ্চিমবঙ্গ ও রাজস্থানের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘদিনের যোগসূত্র। যা দুই রাজ্যকে অনেক কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। আমি স্মরণ করতে চাই রাজমাতা গায়ত্রীদেবীকে, এছাড়াও শ্রদ্ধা জানাই অনেক মহামনীষীকে, যাদের সঙ্গে রয়েছে রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গের সম্পর্ক। একই সঙ্গে আমি এটাও বলতে চাই যে দেশের মধ্যে পর্যটনপ্রেমী যদি বেশি মাত্রায় কেউ থাকে তারা হলেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। আমি শ্রদ্ধা জানাই গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যজিৎ রায়কে। যিনি জয়শলমীরের মতো নগরীকে উঁচুতে তুলে ধরেছেন। জয়শলমীরে সোনার কেল্লা, গুপি গায়েন বাঘা বায়েন-এর মতো সিনেমার শুটিং হয়েছে। জয়শলমীরে প্রতি বছর হয়ে থাকে মরু মহোৎসব।”
বাংলার কলা-সংস্কৃতির কথা বললেন
এখানেই থেমে থাকেননি রাজস্থানের এই পর্যটন আধিকারিক। হিঙ্গলাজ দন রত্নু তুলে ধরেন কবি মুকুন্দ দাসের কথা। তার মতো কবি বাংলার গর্ব বলেও মত প্রকাশ করেন রাজস্থানি সাহিত্য-সংস্কৃতিপ্রেমী এই আধিকারিক।তিনি বলেন- “আমি লেখার পাশাপাশি পড়ি।বিশ্বের ১৫টি দেশে গিয়েছি।বাংলার মাটিকে আমি প্রণাম জানাই। এই মাটি ভারতের সিলমোহর। ভারতের শ্রেষ্ঠ ভূ-ভাগ। যেখানে কলা-সংস্কৃতির এক অদ্ভূত সঙ্গম দেখা যায়।”
লেখিকা অভিষিক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানালেন
এরপরই হিঙ্গলাজ দন রত্নুজি অল ইন্ডিয়া ব্রাদারহুড ফাউন্ডেশন ও সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এর অনুষ্ঠানের উল্ল্যেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে বলেন- “এই অনুষ্ঠানে পর্যটন-কলা-সাহিত্য-সংস্কৃতির এক অদ্ভূত সঙ্গম দেখা গেছে। যেখানে পর্যটনের পাশাপাশি সাহিত্যের এক সুন্দর দিক উঠে এসেছে। যেখানে এক সুন্দর বই প্রকাশ করা হয়েছে। লিখে যাওয়া লাইন হাজারো সাল পড়া যায়। আমি সেই বই প্রকাশের জন্য অল ইন্ডিয়া ব্রাদারহুড ফাউন্ডেশন ও সংবাদ প্রভাকর টাইমস-কে সাধুবাদ জানাতে চাই যে তারা এমন সুন্দর একটি বই প্রকাশ করছে। আমি ধ্যবাদ জানাই সেই অসাধারণ বই ‘স্বপ্ন উড়ান’-এর লেখিকা অভিষিক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
Published on: ফেব্রু ১৭, ২০২০ @ ০০:৩২