- এ বছর ৭ই মে থেকে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে শুরু হয়েছে এই উৎসব।
- টানা ২১দিন ধরে চলবে এই উৎসব।
Published on: মে ১৪, ২০১৯ @ ১৫:০৮
এসপিটি নিউজ, মায়াপুর, ১৪মে: শ্রীশ্রীরাধামাধবের বিগ্রহে চন্দন লেপন করে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে মন্দিরের নিজস্ব পুষ্করিণীতে ঘোরানো হয়। এভাবেই পালিত হয় চন্দনযাত্রা উৎসব। এ বছর ৭ই মে থেকে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে শুরু হয়েছে এই উৎসব। টানা ২১দিন ধরে চলবে এই উৎসব।সারা বিশ্বে ইসকনের প্রতিটি মন্দিরে এক যোগে এই উৎসব পালিত হচ্ছে।
কবে থেকে শুরু হয় এই উৎসব
1) বৈশাখ মাসের শুক্লে তৃতীয়াকে বলা হয় অক্ষয় তৃতীয়া। দিনটি হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই চন্দনযাত্রা উৎসব সূচনার জন্য এই দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। বলা হয়ে থাকে এই দিনে ভক্তবৎসল ভগবান এই দিনে ভক্তের সেবা নিয়ে আনন্দ উপভোগ করেন।
প্রথম কোথায় হয়েছিল এই উৎসব
2) আজ থেকে পাঁচ শত বছর আগে পুরীধামের নরেন্দ্র সরোবরে শ্রীশ্রীরাধামদন মোহনকে নিয়ে চন্দনযাত্রা উৎসব শুরু হয়েছিলো। সেদিন মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রভূত আনন্দ লাভ করেছিলেন। সেই ঐতিহ্য স্মরণ করে মায়াপুর ইসকনের সমাধি মন্দিরের পুষ্করিণীতে এই উৎসব মহাসমারোহে পালিত হয়ে থাকে। দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
কিভাবে পালিত হয় এই চন্দনযাত্রা উৎসব
3) মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানালেন – “শ্রীশ্রীরাধামাধবকে চন্দ্রোদয় মন্দির থেকে বর্ণাঢ্য সংকীর্তন শোভাযাত্রা সহকারে নিয়ে আসা হয় সমাধি মন্দিরের পুষ্করিণীতে। সুসজ্জিত নৌকায় সেই বিগ্রহকে নিয়ে চলে সলিল বিহার, প্রদক্ষিণ। চলে আরতি, কীর্তন, ভজন ও নৃত্যগীত।একই সঙ্গে চলে ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ। এই উৎসব উপলক্ষ্যে সমাধি মন্দির ও পুষ্করিণী ফুল ও আলোকমালায় সাজিয়ে তোলা হয়। প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত এই উৎসব চলে। গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদ থেকে মুক্ত আকাশে, মুক্ত বাতাসে, শান্তি, স্বস্তি এনে দেয় এই উৎসব সকলের মনে প্রাণে।
Published on: মে ১৪, ২০১৯ @ ১৫:০৮