
Published on: মার্চ ২৪, ২০২৫ at ০৯:৪১
Reporter: Aniruddha Pal
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৪ মার্চ : “সবকিছুরই একটা বিস্ময় আছে, এমনকি অন্ধকার এবং নীরবতাও, এবং আমি শিখি, আমি যে অবস্থায়ই থাকি না কেন, সেখানেই সন্তুষ্ট থাকতে পারি।” বলেছেন হেলেন কিলার। হ্যাঁ, হেলেন কিলার নিজের জীবনেও সেটাই অনুভব করেছেন এবং নিজের উপর বিশ্বাস রেখে তিনি তা করে দেখিয়েছেন। সফল শুধু নয় বিখ্যাতও হয়েছেন। বিশ্ব সিন্ধি সেবা সঙ্গম কলকাতা শাখা সেইসব দৃষ্টীহীন্দের পাশে থাকার অঙ্গীকার করে প্রতিবারের মতো এবারও তাদের সঙ্গে সারা দিন কাটিয়েছে । তাদের সব রকমের সাহায্য করেছে। তুলে দিয়েছে নানা সামগ্রী।
বিশ্ব সিন্ধি সেবা সঙ্গমের কলকাতার সভাপতি অনিল পাঞ্জাবি বলেন- “ আমাদের স্নজ্ঞঠনের মূল উদ্দেশ্য হল মানুষের জন্য কিছু করা , মানুষের পাশে থাকা। আমরা সেটাই সারা বছর ধরে করে চলেছি। গত বছরও আমরা কলকাতায় বেহালা এলাকায় ক্যালকাটা ব্লাইন্ড স্কুলের শিশুদের নিয়ে সময় কাটাই। সামনেই সিন্ধি নববর্ষ। সেই উৎসবকে উজ্জ্বল করে তুলতে আমরা এই দৃষ্টিহীন শিশুদের জন্য কিছু করার অঙ্গীকার নিয়েছি। তারই অংশ হিসাবে গতকাল রবিবার আমাদের সকল সদস্যরা গিয়েছিলাম সেখানে। সেখানে আমরা শিশুদের সঙ্গে টানা তিন ঘণ্টা সময় কাটিয়েছি। তাদের নাচ-গান , খেলা দেখেছি। এটা আমাদের কাছে খুবই আনদনের এবং অবশ্যই গর্বের। আসার আগে তাদের হাতে আমরা বেশ কিছু উপহার সামগ্রী তুলে দিয়েছি। দিয়েছি দৈনন্দিন প্রয়োজনের বেশ কিছু সামগ্রীও।
প্রতিটি শিশুর একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ প্রাপ্য, আমরা একসাথে এটি বাস্তবায়ন করব। VSSS আমাদের আসন্ন দাতব্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অভাবী-অসহায়দের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন এবং সহায়তা আনার চেষ্টা করছে । বলেন বিশ্ব সিন্ধি সেবা সঙ্গমের কলকাতার সভাপতি অনিল পাঞ্জাবি। তিনি আরও জানিয়েছেবন –“আগামী সপ্তাহে আমাদের সিন্ধি নববর্ষ।সেখানে আমাদের রাজস্থানের ঐতিহ্যবাহী দুলারের ব্যান্ড লোকসংগীত বাজিয়ে আমাদের নতুন বছর শুরু করার জন্য আরও ভালো কিছু করতে প্রস্তুত হয়ে আছি।“
এদিন ভিএসএসএস-এর সদস্যরা টানা তিন ঘণ্টা কলকাতা ব্লাইন্ড স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে দারুন সময় কাটান। নাচে-গানে-আড্ডায় কখন যে সময় কেটে যায় বোঝা যায় না। ফিরে আসার আগে শিশুদের হাতে বিশ্ব সিন্ধি সেবা সঙ্গম-এর পক্ষ থেকে কিছু উপহার তুলে দেওয়া হয়। দেওয়া হয় মুদিখানা, অল আউট, মশলা, মোজা, বিস্কুট, সাবান, চকলেট, মেয়েদের জন্য ন্যাপকিন কানের দুল কেক, কোমল পানীয়, টুথপেস্ট এবং আরও অনেক কিছু।
আসলে এই শিশুরা শারীরিকভাবে দৃষ্টিহীন অর্থাৎ চোখে দেখতে না পেলেও এদ্র মনের চোখে তারা কিছু সবসময় ভাল কিছু দেখে চলেছে , সেখানে তারা ঈশ্বরের তৈরি এই জগতে আর পাঁচটা শিশুর মতোই হাসছে, খেলছে আর জীবন কাটাচ্ছে। শুধু তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার আমাদের সকলকে করতে হবে। আর তাই তো কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য যথার্থই লিখেছেন- “ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে”।
Published on: মার্চ ২৪, ২০২৫ at ০৯:৪১