পর্যটন মন্ত্রক সারা দেশে ব্যাপকভাবে পরিকাঠামো উন্নয়ন করছে, বললেন সাগ্নিক চৌধুরী

Main দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

 Published on: জুন ১৭, ২০২৩ @ ২১:১৪
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৭ জুন: পর্যটনে ভারত এখন দারুন কাজ করছে। দেশ এবং বিদেশের পর্যটকের আনাগোনা কোভিডের সময় থেকে অনেকটাই বেড়েছে।পর্যটনে দেশ এখন আগের চেয়ে আরও মজবুত জায়গায় এগিয়ে চলেছে। ভারতীয় পর্যটন মন্ত্রকের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল এবং রিজিওনাল ডিরেক্টর (পূর্ব) ড. সাগ্নিক চৌধুরী এক বিশেষ সাক্ষাৎ্কারে সংবাদ প্রভাকর টাইমস-কে জানিয়েছেন- পর্যটন মন্ত্রক সারা দেশে দুটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে পরিকাঠামোর উন্নয়ন করছে।এর ফলে দেশে পর্যটনের উন্নয়ন এক নয়া মাত্রা পেতে চলেছে।

সম্প্রতি কলকা্তা ভারতের পর্যটন মন্ত্রকের ইন্ডিয়া ট্যুরিজম কলকাতা শাখা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এর মুখোমুখি হয়েছিলেন রিজিওনাল ডিরেক্টর (পূর্ব) ড. সাগ্নিক চৌধুরী। বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি পর্যটন মন্ত্রক যে পর্যটনের উপর নানা কাজ করছে তা নিয়ে আলোকপাত করেন।

বেলুড় মঠের কাজ জুলাই-এ শেষ হবে

তিনি বলেন- কোভিড মহামারীর কঠিন সময়টা কাটিয়ে দিয়েছে আমাদের ডোমেস্টিক ট্যুরিজম। সারা দেশে এখন ব্যাপকভাবে পর্য্টন মন্ত্রণালয় ইনফ্রস্টাকচা্র ডেভেলপ অর্থাৎ পরিকাঠামো উন্নয়ন করছে প্রতিটি ফ্লাগশিপ স্কিমের মাধ্যমে। প্রথমটি হল স্বদেশ দর্শন এবং দ্বিতীয়টি প্রসাদ। পশ্চিমবঙ্গে একটা জায়গা রয়েছে। এছাড়া আমাদের স্পিরিচুয়াল সার্কিট রয়েছে, বিহারে বুদ্ধিস্ট সার্কিট রয়েছে, রাজস্থানে ডেজার্ট সার্কিট রয়েছে, জঙ্গল সার্কিট রয়েছে, এই ভাবে আলাদা আলাদা সার্কিট ভাগ করে কাজ করা হচ্ছে স্বদেশ দর্শন ১.০ ভার্সনে। স্বদেশ দর্শন ২.০ তে আমরা ডেস্টিনেশন সার্কিট ফোকাস করছি। বিভিন্ন ডেস্টিনেশনকে সামনে রেখে এগিয়ে চলেছি।পশ্চিমবঙ্গে বেলুড় মঠেও কাজ হচ্ছে। আশা করছি সামনের জুলাই মাসে কাজ শেষ হয়ে যাবে।

“বুদ্ধিস্ট সার্কিট বিহারে যেটা আছে সেটাকে উন্নত করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনক্লেভ আয়োজন করে প্রতি দু’বছর অন্তর। জি২০-র মিটিং-এর মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশের পর্যটনের বিষয়কে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তুলে ধরতে পারছি দারুনভাবে। জি২০-র প্রথম মিটিং হয়েছিল গুজরাটের কচ্ছে। দ্বিতীয়টি আমাদের শিলিগুড়ি-দার্জিলিং-এ হয়েছে। তৃতীয়টি শ্রীনগরের কাশ্মীরে হয়েছে। চতুর্থ মিটিংটি এই মাসের শেষের দিকে হতে চলেছে গোয়ায়।” যোগ করেন সাগ্নিক চৌধুরী।

জেনে নেওয়া যাক প্রসাদ (পিআরএএসএডি) প্রকল্প

ভারত সরকার ২০১৪-২০১৫ সালে পর্যটন মন্ত্রকের অধীনে প্রসাদ প্রকল্প চালু করেছিল। PRASAD স্কিমের ফুল ফর্ম হল-  ‘Pilgrimage Rejuvenation And Spiritual Augmentation Drive’ অর্থাৎ ‘তীর্থযাত্রা পুনর্জীবন এবং আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি ড্রাইভ’।

এই স্কিমটি ধর্মীয় পর্যটনের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার জন্য ভারত জুড়ে তীর্থস্থানগুলির বিকাশ এবং সনাক্তকরণের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এটি একটি সম্পূর্ণ ধর্মীয় পর্যটন অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য অগ্রাধিকার, পরিকল্পিত এবং টেকসই পদ্ধতিতে তীর্থযাত্রা গন্তব্যগুলিকে একীভূত করা। দেশীয় পর্যটনের বৃদ্ধি তীর্থস্থান পর্যটনের উপর নির্ভর করে।

তীর্থস্থান পর্যটনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য, অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতার সাথে সরকারের দ্বারা নির্বাচিত তীর্থস্থানগুলির সামগ্রিক উন্নয়ন প্রয়োজন।

প্রসাদ প্রকল্পের লক্ষ্য ভারতে ধর্মীয় পর্যটনের উন্নয়ন ও প্রচারের পথ প্রশস্ত করা।

স্বদেশ দর্শন

একইভাবে ২০১৪-১৫ সালে পর্যটন মন্ত্রক তার ‘স্বদেশ দর্শন’-এর ফ্ল্যাগশিপ স্কিম চালু করেছিল এবং বিভিন্ন গন্তব্যস্থলে পর্যটন পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার/ইউটি প্রশাসন/কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে, তহবিলের প্রাপ্যতা সাপেক্ষে, উপযুক্ত বিস্তারিত জমা দেওয়া প্রকল্প রিপোর্ট, প্রকল্পের নির্দেশিকা মেনে চলা এবং আগে প্রকাশিত তহবিলের ব্যবহার ইত্যাদি। ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৮-১৯ সময়কালে, দেশের ৩১টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চিহ্নিত থিম্যাটিক সার্কিটের অধীনে মোট ৭৬টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছিল, যেখানে খরচ ধরা হয়েছিল ৫২৯২.৫৭ কোটি টাক।

পর্যটন মন্ত্রক এখন একটি পর্যটন এবং গন্তব্য কেন্দ্রিক পদ্ধতির অনুসরণ করে টেকসই এবং দায়িত্বশীল গন্তব্যের বিকাশের লক্ষ্যে তার স্বদেশ দর্শন প্রকল্পকে ২.০ হিসাবে পুনর্গঠন করেছে।

Published on: জুন ১৭, ২০২৩ @ ২১:১৪


শেয়ার করুন