হাতির পালকে পথ দেখাল দলপতি, আজ রাকমজোটে

Main দেশ বন্যপ্রাণ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: নভে ২, ২০২৪ at ২০:৩৫

এসপিটি নিউজ, শিলিগুড়ি, ২ নভেম্বর: আজ ভোরে ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকা রাকমজোটে বিশাল সংখ্যক হাতির পালকে দেখা গেল। অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন এন্ড ট্যুরিজম বা এসিটি-র সদস্য  রাজেন খাতি শনিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এই দৃশ্য দেখেন। এসিটি-র প্রেসিডেন্ট রাজ বসু এই খবর জানিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে রাজ বসু জানিয়েছেন- “আজ ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে রাকমজোটে যখন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন সেই সময় তাদের সদস্য রাজেন খাতির নজরে আসে এই দৃশ্য। সেখানে সবচেয়ে যেটা তার নজর কেড়েছে তা হল- হাতির দলের দলপতি বিশালাকার এক হাতি প্রথমে মানব বসতির মধ্যে রুট পরিদর্শন করে পরিষ্কার করে দিয়ে যায়। এর পিছনে দেখা যায় বিশাল সংখ্যক হাতির দল সেই রাস্তা দিয়েই চলে যাচ্ছে। এরপর তারা রাস্তা ধীরে ধীরে অতিক্রম করে যা চলে যায়।

হাতিগুলির আবাসসস্থল কোলাবাড়ি জঙ্গলে।  এটিও দার্জিলিং জেলায় অবস্থিত। ৬০ বর্গ কিমি জায়গা জুড়ে এই জঙ্গল। এটি হাতি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থল। কোলাবাড়ি জঙ্গলের উচ্চতা ১,৫০০-২,৫০০ মিটার। মিশ্র পর্ণমোচি ও শঙ্কুচিত এই জঙ্গল হাতি করিডোরের অংশ যা নেপালকে ভারতের সাথে সংযুক্ত করে। যতদূর জানা জায়, এই জঙ্গলে ১০০-১৫০টি হাতি আছে।হাতিরা নেপালের কোশি তাপ্পু ওয়াইল্ডলাইফ রিজার্ভ এবং ভারতের কোলাবাড়ি জঙ্গলের মধ্যে বিচরন করে।

তবে এই হাতিগুলির সুরক্ষা নিয়ে বন্যপ্রাণী সংস্থাগুলি চিন্তাভাবনা করছে। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং এনজিওগুলি যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়ে কোলাবাড়ি এলিফ্যান্ট করিডোর প্রকল্প রূপায়ন করেছে। এর মাধ্যমে হাতির আবাসস্থলের পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি জায়গাটিকে একটি পর্যটনের ক্ষেত্র হিসাবেও দেখা হচ্ছে। হাতি দেখার জন্য ফেব্রুয়ারি-মে, সেপ্টেম্বর-নভেম্বর মাস হল উপযুক্ত সময়। অভিজ্ঞ গাইড নিয়ে করতে পারেন জঙ্গল ট্রেকও।

Published on: নভে ২, ২০২৪ at ২০:৩৫


শেয়ার করুন