LIVE UPDATE: ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৮

খেলা বিদেশ
শেয়ার করুন

ঐতিহাসিক জয়ের পর রাশিয়ার খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস। ছবি-ফিফা

 Published on: জুলা ২, ২০১৮ @ ১০:০৫

এসপিটি স্পোর্টস ডেস্কঃ  জমে উঠেছে বিশ্বকাপ ২০১৮। রাশিয়ায় উদ্বোধনী ম্যাচে হয়েছে একাধিক রেকর্ড। উঠে এসেছে অনেক তথ্য। ঠিক তেমনই শেষ ১৬-র লড়াইতে হয়ে গেল অনেক গোল। বিদায় নিল মেসি নির্ভর আর্জেন্টিনা।থাকছে বিশ্বকাপের আরও খুঁটিনাটি খবর। সংবাদ প্রভাকর টাইমস গত এক মাস আগে থেকেই তুলে ধরেছে অনেক না জানা তথ্য। এবার থাকছে একেবারে লাইভ আপডেট। আমরা পাঠকের কাছে ফুটবলের জ্ঞানপাঠ দিতে চাই না। সেই ধৃষ্টতাও আমাদের নেই। আমরা চাই নতুনকে চেনাতে নতুনকে জানাতে।পাঠল এই কলমের মাধ্যমে জানতে পারবে বিশ্বকাপের নানা খবর। চলবে বিশ্বকাপের শেষ দিন পর্যন্ত।

উদ্বোধনী ম্যাচে রাশিয়া ৫-০ গোলে হারাল সৌদি আরবকে।

ম্যাচের ১২মিনিটে ইউরি গ্যাজিন্সকি গোল করে ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম গোলদাতা হিসেবে নিজের নাম লিখে রাখলেন।

ক্রোয়েশিয়া-ডেনমার্কের শেষ ১৬-র ম্যাচের আগে পর্যন্ত স্পেনের বিরুদ্ধে ৪ মিনিটের মাথায় পেনাল্টিতে করা রোনাল্ডোর গোলই এবারের বিশ্বকাপে দ্রুততম গোল হিসেবে ছিল।এই ম্যাচে ডেনমার্কের এম জোরগেনসেনের ১ মিনিটে করা গোল হয়ে গেল এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে দ্রুততম গোল।

উদ্বোধনী ম্যাচে দুই গোল করে রেকর্ড গড়লেন রাশিয়ান মিডফিল্ডার ডেনিশ চেরিশেভ। তিনি ম্যাচের ৪৩ মিনিট ও দ্বিতীয়ার্ধে ৯০+৪ মিনিটে গোল করেন।

প্রথম ম্যাচ হল মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে।

এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে গোল সংখ্যা ছিল ১১৮। শেষ ১৬-র চারটি ম্যাচে গোল হয়ে গেল ১৬টি। অর্থাৎ সব মিলিয়ে গোল সংখ্যা দাঁড়াল ১৩৪টি।

রাউন্ড -১৬-র লড়াই

একনজরে ক্রোয়েশিয়া – ডেনমার্ক ম্যাচ

ক্রোয়েশিয়া -১  ডেনমার্ক-১

মান্দজুকিক (৪মি.)  এম জোরগেনসেন (১মি.)

ক্রোয়েশিয়া জয়ী পেনল্টি শুট আউটে ৩-২ গোলে

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- ক্যাস্পার স্খিমিশেল (ডেনমার্ক)

বল দখলে রেখেছে ক্রোয়েশিয়া ৫৪% আর ডেনমার্ক দখলে রেখেছে ৪৬%

ক্রোয়েশিয়া শট নিয়েছে ২০ আর ডেনমার্ক নিয়েছে ১৪।

ক্রোয়েশিয়া গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৬ আর ডেনমার্ক ৩।

ক্রোয়েশিয়া কর্নার আদায় করেছে ৫ আর ডেনমার্ক নিয়েছে ৪টি।

ক্রোয়েশিয়া ফাউল করেছে ৫ আর ডেনমার্ক করেছে ১৯।

 

রেকর্ড

ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ খেলে ১৯৯৮ সালে।

ডেনমার্ক এবার এক ম্যাচে তিনটি পেনাল্টি শুট-আউট মারতে ব্যর্থ হয়।

এই নিয়ে বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে প্রথম চার মিনিটি দুই দল গোল করল। এর আগে ২০১৪ সালের জুন মাসে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচে এই ফল হয়েছিল।

বিশ্বকাপের সবচেয়ে দ্রুততম গোল ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ঘানার বিরুদ্ধে আমেরিকার ক্লিন্ট ডিম্পসে করেছিল ২৯ সেকেন্ডে। এদিনের ম্যাচে ডেনমার্কের জোগেন্সেন খেলার ৫৭সেকেন্ডে গোল করল।

ক্রোয়েশিয়ার মান্দজুকিসের গোল বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয় দ্রুততম গোল। এর আগে ২০০৬সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দারিজুস স্রেনার ১ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডে করা গোল ছিল দ্রুততম। এবার তাদের গোল এল ৩মিনিট ৪০ সেকেন্ডের মাথায়।

ডেনমার্ক এবারের বিশ্বকাপে একমাত্র দল যারা তিনটি পেনাল্টি মারতে ব্যর্থ হল।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১ জুলাই দ্বিতীয় দিন যেদিন দুটি ম্যাচে ফলাফল নির্ধারিত হল পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে। এর আগে ১৯৮৬ সালের ২১ জুন ফ্রান্স-ব্রাজিল ও মেক্সিকো জার্মানি ম্যাচে হয়েছিল।

 একনজরে স্পেন – রাশিয়া ম্যাচ

স্পেন -১  রাশিয়া-১

ইগ্নাসেভিচ (১২মি. আত্মঘাতী)  ডিজুবা (৪১মি.)

রাশিয়া জয়ী পেনল্টি শুট আউটে ৪-৩ গোলে

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- ইগর আকিনফিভ (রাশিয়া)

বল দখলে রেখেছে স্পেন ৭৯% আর রাশিয়া দখলে রেখেছে ২১%

স্পেন শট নিয়েছে ২৪ আর রাশিয়া নিয়েছে ৭।

স্পেন গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৯ আর রাশিয়া ১।

স্পেন কর্নার আদায় করেছে ৬ আর রাশিয়া নিয়েছে ৫টি।

স্পেন ফাউল করেছে ৫ আর রাশিয়া করেছে ১৯।

রেকর্ড

একটা ম্যাচে স্পেন ১,০০৬টি পাস খেলেছে যা রাশিয়ার চারটি বিশ্বকাপ ম্যাচ মিলিয়ে মোট পাস (১০২৭)-এর চেয়ে মাত্র ২১টি কম।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর এই প্রথম রাশিয়া কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছল।

স্পেন এই নিয়ে তিনটি বিশ্বকাপে পেনাল্টি শট মারতে ব্যর্থ হল। ১৯৮৬ সালে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে, ২০০২ সালে দ; কোরিয়ার বিরুদ্দে এবং এই ম্যাচে।

তাঁর তিনটি শটেই গোল করেছেন রাশিয়ার ডিজুবা।

রাশিয়ার প্রবীন খেলোয়াড় ইগ্নাসেভিচ সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে স্পেনের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী গোল করেন। তাঁর বয়স এখন ৩৮ বছর ৩৫২দিন।

স্পেনের গোল্কিপার ডেভিড দে গিয়া গত চারটি ম্যাচে মাত্র একটি পেনাল্টি শট আওটকাতে পেরেছেন।

প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটের মধ্যে ২৯ মিনিট ৫২ সেকেন্ড স্পেন রাশিয়ার গোল লক্ষ্য করে একটি শট মারতে পারেনি।

তাদের গোলকিপার ইকার ক্যাসিলেসের সঙ্গে ১৭টি ম্যাচ খেলার সম্মান অর্জন করলেন স্পেনের অধিনায়ক র‍্যামোস।

একনজরে উরুগুয়ে – পর্তুগাল ম্যাচ

উরুগুয়ে -২  পর্তুগাল-১

কাভানি (৭,৬২মি.)  পেপে (৫৫মি.)

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- এডিন্সন কাভানি (উরুগুয়ে)

বল দখলে রেখেছে উরুগুয়ে ৩৩% আর পর্তুগাল দখলে রেখেছে ৬৭%

উরুগুয়ে শট নিয়েছে ৫ আর পর্তুগাল নিয়েছে ২০।

উরুগুয়ে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৩ আর পর্তুগাল ৫।

উরুগুয়ে কর্নার আদায় করেছে ২ আর পর্তুগাল নিয়েছে ১০টি।

উরুগুয়ে ফাউল করেছে ১৩ আর পর্তুগাল করেছে ১৩।

রেকর্ড

এই নিয়ে দ্বিতীয়বার উরুগুয়ে বিশ্বকাপে তাদের চতুর্থ ম্যাচ জিতল। এর আগে ১৯৩০ সালে ফাইনালে তারা ৪-২ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনাকে।

এই নিয়ে টানা চারটি বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে হেরে গেল পর্তুগাল।

উরুগুয়ের জয়সূচক গোলটি আসে দ্বিতীয়ার্ধে।

এডিনসন কাভানি এদিন উরুগুয়ের হয়ে তাঁর ৪৪ ও ৪৫তম গোল করলেন।

কাভানি দুটো শটের মধ্যে দু’টিতে গোল করতে সফল হন।

১৯৬৬ পোল্যান্ডের সালেগ্রেগোজ ল্যাটো ও আন্দ্রেজ জারম্যাক (পাঁচটি গোল), জার্মানির মাইকেল বালাক ও মিরোস্লাভ ক্লোজ (পাঁচটি গোল) করেছিলেন। এবার উরুগুয়ের সুয়ারেজ ও কাভানি যোয়থভাবে তাদের দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি চারটি করে গোল করেছেন।

পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো দেশের বিশ্বকাপ অথবা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ৩৮টি ম্যাচ খেলে ফেললেন। এর ফলে তিনি বাস্তেন সুইসস্টিগারের সঙ্গে একই সতরে চলে এলেন।

বিশ্বকাপে৫১৪ মিনিট খেলেও নক-আউট পর্বে রোনাল্ডো গোল করতে কিংবা করাতে ব্যর্থ হলেন।

পর্তুগালের সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে পেপে (৩৫বছর ১২৪দিন) কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় গোল করলেন।

 একনজরে ফ্রান্স – আর্জেন্টিনা ম্যাচ

ফ্রান্স -৪   আর্জেন্টিনা-২

গ্রিজম্যান (১৩মি.পেনাল্টি),পাভার্ড (৫৭মি.),এম্বিঅ্যাপে(৬৪, ৬৮মি.)

দি মারিয়া(৪১মি.),মার্কাডো(৪৮মি.), অ্যাগুয়েরা(৯০+৩ মি.)      

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- এমবিঅ্যাপে (ফ্রান্স)

বল দখলে রেখেছে ফ্রান্স ৪০% আর আর্জেন্টিনা দখলে রেখেছে ৬০%

ফ্রান্স শট নিয়েছে ৯ আর আর্জেন্টিনা নিয়েছে ১০।

ফ্রান্স গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৪ আর আর্জেন্টিনা ৪।

ফ্রান্স কর্নার আদায় করেছে ০ আর আর্জেন্টিনা নিয়েছে ৪টি।

ফ্রান্স ফাউল করেছে ২১ আর আর্জেন্টিনা করেছে ১৫।

রেকর্ড

মেসি বিশ্বকাপে নক-আউট পর্যায়ে ৭৫৬ মিনিট খেলেও গোল পেলেন না। ব্যর্থ হলেন।

মেসি হলেন একমাত্র খেলোয়াড় যিনি গত চারটি বিশ্বকাপ খেলেও কোনও বল যোগাতে পারলেন না।

এই নিয়ে আর্জেন্টিনা চতুর্থবার বিশ্বকাপে চার অথবা তার বেশি গোল হজম করল। এর আগে ২০১০ সালে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে হেরে যায়।

ফ্রান্স চারটি শটের মধ্যে চারটিতেই গোল করেছে। এর আগে তারা গ্রুপ পর্বে ১২টি শটের মধ্যে তিনটি গোল করেছে।

বেলজিয়াম-পানামা ম্যাচের পর এই ম্যাচে আটটি হলুদ কার্ড দেখলেন খেলোয়াড়রা।

৮৫ মিনিটে মেসি ছাড়া মোট আটটি শট নেওয়া হয়। তার মধ্যে সাতটিতে গোল আসে।

ফ্রান্স আজ পর্যন্ত কোনও ম্যাচ হারেনি যে ম্যাচে গ্রিজম্যান প্রথম গোল করেছে।

২০১৮ সালের বিশ্বকাপে সবচেয়ে দূরবাহী শটে গোল শোধ করেন আর্জেন্টিনার দি মারিয়া। তিনি ৩০.১৬ইয়ার্ড দূর থেকে শটটি নেন।

ন’টি ম্যাচ খেলে পাভার্ড এই প্রথম ফ্রান্সের হয়ে গোল করলেন।

Published on: জুলা ২, ২০১৮ @ ১০:০৫


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

49 − 43 =