Facebook Live-এ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ দলনেত্রীর আদর্শের কথা বলে কতিপয় কিছু নেতার বিরুদ্ধে উগরে দিলেন ক্ষোভ

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

“কিন্তু দুঃখ কোথায় লাগে জানেন! আমি যখন মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি- আমি যখন সত্যিকারের ভালো কাজ দিশা দেখানোর চেষ্টা করছি তখন কতিপয় কিছু নেতা আছে যারা ইচ্ছা করে এটাকে নিয়ে একটা অপব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে। এটাই আমার কাছে দুঃখজনক।”-রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়

Published on: জানু ১৬, ২০২১ @ ১৯:৩৭

Reporeter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ:  আজ ফেসবুক লাইভে রাজ্যের মন্ত্রী ডোমজুড়ের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় হতাশ-ক্ষোভ উগরে দিলেন। সেই সঙ্গে দলনেত্রীর আদর্শের কথাও উল্লেখ করলেন। দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের বক্তব্যে নিজের কর্ম্ভাবনয়া নিজের আদর্শ বোধ থেকে নিজের দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরলেন। একই সঙ্গে নাম না করে দলের কতিপয় কিছু নেতার বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ-হতাশা উগরে দিলেন। একই সঙ্গে তিনি এও জানিয়ে দিলেন- রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কোথাও কোনও পদের মোহ নেই। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য কাজ করতে চায়।

যুব সমাজ নিয়ে চিন্তাভাবনা

রাজ্যের যুবসমাজ নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন- “যখন দেখি আমার রাজ্যের ছেলে-মেয়েরা বাইরে চলে যাচ্ছে তখন খুব খারাপ লাগে। কারণ, আমি তো জানি আমার রাজ্যে যে সম্পদ আছে যে মেধা রয়েছে তা অনেক রাজ্যে নেই। কিন্তু আজকে হয়তো সেই জায়গাটা অনেকে পাচ্ছেন না। কেউ চলে যাচ্ছে বিদেশে কেউ পড়তে চলে যাচ্ছে অন্য রাজ্যে। কেউ কাজের সন্ধানে যাচ্ছে।”

এসব ভেবে তিনি কিছু একটা করার ভাবনা চিন্তা করেন। সেই সূত্র ধরে রাজীব বলেন-“আমি যেমন আমার এলাকায় ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াশুনোর জন্য ফ্রি কোচিং সেন্টার চালু করেছি। এমনকী আমি দেখেছি যে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিতে গেলে কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়ে সেটা অনেকেই বুঝতে পারছে না। কিভাবে পরীক্ষার উত্তর দেবে এগুলো হয়তো অনেকে বুঝতে পারছে না। আমি নিজের উদ্যোগে আমি এধরনের ছেলেমেয়েদের জন্য তারা যাতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা সঠিকভাবে দিতে পারে তার জন্য আমি ট্রেনিং সেন্টার ও কোচিং সেন্টার চালু করেছি। উদ্দেশ্য হল তাদেরকে ভালো করে তৈরি করা। আমার কাছে খুব ভালো ব্যাপার হল আজ প্রচুর মানুষ আজ এগিয়ে এসেছে।”

মানুষের জন্য কাজ করার ভালো জায়গা রাজনীতির প্ল্যাটফর্ম-রাজীব

“রাজনীতির প্ল্যাটফর্ম থেকে মানুষকে অনেক রকমভাবে পরিষেবা দেওয়া যায়।সেটা যখন উপলব্ধি করেছি তখন আমি ঠিক করেছি আমি যতদিন বাঁচব ততদিন আমি মানুষের জন্য কাজ করে যাব। মানুষের জন্য কাজ করব এর থেকে বড় কিছু হতে পারে না। কাজ করলেই সমালোচনা, কাজ করলেই অনেক জায়গায় প্রতিবন্ধকতা। আমি যদি মনে করি মানুষের জন্য ভালো কিছু করব তাহলে সেই কাজ থেকে কেউ কাউকে সরাতে পারবে না। যখনই আমি ভাল কিছু কাজ করতে চেয়েছি ভালো কাজ করতে পেরেছি তখন নিশ্চিতভাবে আমি আনন্দিত হয়েছি।” বলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

কর্মীদের সম্মানের প্রশ্নে সরব হলেন রাজীব

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন- “যখনই কোনও ভালো কাজ করতে গেছি কিন্তু করতে পারিনি তখনই আমি নিশ্চিতভাবে দুঃখ পেয়েছি। আমার কর্মীদের দুঃখ-হতাশা আমি বুঝি। কর্মীরা এত কিছু করে বলেই কিন্তু আমরা সম্মানিত হই। আজকে সেই কর্মীদেরই কিন্তু এক একটা সময় ভুল বুঝি। তাদের সঙ্গে অবিচার করি। আজ কর্মীদের ভুল বোঝাই যে তারা বোধ হয় শুধু পরিশ্রম করা জন্যই আছে। তারা কিছুই চায় না একটু সম্মান চায়। সেই সম্মানটুকু দেওয়ার জন্য যখনই বিভিন্ন জেলায় গেছি বা সরকারের কোনও কাজে গেছি বা যখন যেভাবে গেছি আজকে কেউ বলতে পারবে না যে আমার বিধানসভা কেন্দ্রে আমার কর্মীদের সঙ্গে কোনও দিন দুর্ব্যবহার করেছি? আমার দলনেত্রীও সেই কথা বলে। কর্মীদের সম্মান দেওয়ার কথা বলে। যখন দেখা যায় কর্মীরা তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু পায় না তখন যদি আমি কথা বলি সেটা কি অন্যায় নিশ্চিতভাবেই অন্যায় নয়। কোথাও আমি মনে করেছি মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রাধান্য দিতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে ভালো করে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। সুতরাং এটা তে কোথাও কোনও অপরাধ আছে বলে মনে করিনি।”

কতিপয় কিছু নেতার বিরুদ্ধে উগরে দিলেন ক্ষোভ

“কিন্তু দুঃখ কোথায় লাগে জানেন! আমি যখন মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি- আমি যখন সত্যিকারের ভালো কাজ দিশা দেখানোর চেষ্টা করছি তখন কতিপয় কিছু নেতা আছে যারা ইচ্ছা করে এটাকে নিয়ে একটা অপব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে। এটাই আমার কাছে দুঃখজনক। আমি তো সঠিক পথ দেখানোর জন্য সঠিক দিশা দেখানোর জন্য সঠিক কথা বলার চেষ্টা করছি। এখনও আমি মনে করি, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যক্তিগুতভাবে মানুষের কাছে দায়বদ্ধ এবং মানুষই আমার কাছে শেষ কথা। তাই মানুষই যে শেষ কথাটা বলবে সেটাই করব। আমার কাছে অগ্রাধিকার হল মানুষ। আমি উপলব্ধি করেছি যে মানুষই হল আমার জীবনের শেষ কথা। আপনাদের কথাই আমার কাছে বিচার্য। আমি নিজে ঠকবো কিন্তু মানুষকে কোনওদিন ঠকাবো না। আমি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি। দলনেত্রী যে আদর্শ দেখিয়েছে সেই আদর্শকে সামনে রেখে কাজ করে গেছি।” বলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

এটাই আমাকে ভাবায় এইটাই আমাকে অত্যন্ত দুঃখ দেয়-রাজীব

“আমার কোথায় খারাপ লাগছে – আমি যখন নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে গেছি যখন  বাধা এসেছে আমি সেটা নিশ্চিতভাবেই জানানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছু মানুষ আছে সেটাকে ভুল বুঝিয়ে মানুষকে অন্যপথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে। আমি যখন কিছু বলছি আর সেটা নিয়ে কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে কই সেটা নিয়ে কেউ তো কিছুই বলছেন না। আমায় যখন শীর্ষ নেতৃত্ব ডাকছেন তখন আমি আমার মনের কথা বলছি আর যখন এটা নিয়ে ব্যাঁকা ভাবে ভাবার চেষ্টা করছে কেউ যখন অন্যভাবে ঘোরানোর চেষ্টা করছে কই তাদেরকে তো বলা হচ্ছে না যে এই জিনিসটা করা ঠিক নয়। এটাই আমাকে ভাবায় এইটাই আমাকে অত্যন্ত দুঃখ দেয়। তার মানে কি আমায় যেটুকু বলা হবে শুধু সেইটুকুই করব। আমার মধ্যে কোনও স্বাধীনতা থাকবে না। আমি নিজে কি করতে চাইছি কি বলতে চাইছি তা নিয়ে কি কোনওকিছুই বলতে পারব না! গণতন্ত্রে তো মানুষই সর্বশেষ কথা। আজকে স্বধীনভাবে আমরা তো চলতে চাই আজকে স্বাধীনভাবে আমরা তো কথা বলতে চাই। আমরা তো স্বাধীনভাবে মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। এর থেকে বেশি কিছু রাজীব বন্দ্যোপয়াধ্যায় আজকের দিনে আশা করে না।”

সুতরাং আপনারা বুঝেছেন যে আমি কি বলতে চেয়েছি। আমি বিগত দিনে কাউকে আঘাত করিনি। আমার ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ায় কোনও প্রাধান্য নেই। আজকেও আমি বলছি- রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোথাও কোনও পদের মোহ নেই। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য কাজ করতে চায়। সুতরাং মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে যেটাই আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে সেটাকেই প্রাধান্য দিয়েছি।বলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

Published on: জানু ১৬, ২০২১ @ ১৯:৩৭


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 1 = 1