চন্দ্রযান-৩ সফল অভিযানের নেপথ্য নায়ক এস সোমানাথ, এই মানুষটিকে ভুলে যাবেন না

Main দেশ
শেয়ার করুন

“ভারত চাঁদে আছে,” বলেছেন এস সোমানাথ

Published on: আগ ২৩, ২০২৩ @ ২৩:২৬
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৩ আগস্ট: ভারত বিশ্বে চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে অবতরণ করার কৃতিত্ব অর্জন করল।পাশাপাশি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিশ্বের একমাত্র দেশ হিসাবে অবতরণের নয়া ইতিহাসও গড়ল আমাদের দেশ। সারা দেশ আজ উৎসবে মেতেছে। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষই জানেন না এই অসাধারণ সাফল্যের পিছনে কে ছিলেন? কে দিয়েছিলেন এই কঠিন অভিযানে নেতৃত্ব? কে সেই ব্যক্তি যিনি পিছনে থাকলেও ইসরোর বিজ্ঞানীদের কাছে খুবই প্রিয় এবং তিনিই হলেন রিয়েল হিরো শ্রীধরা পানিকর সোমানাথ।

বর্তমানে শ্রীধরা পানিকার সোমানাথ  ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরোর চেয়ারম্যান।১৯৬৩ সালে একটি মালয়ালি নায়ার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এস সোমানাথ। তিনি কেরালার আলাপ্পুঝা (আলেপ্পি) থেকে এসেছেন। তার বয়স ৫৮ বছর।

সোমানাথ অরুর সেন্ট অগাস্টিন হাই স্কুলে তার স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং মহারাজা কলেজ, এর্নাকুলাম থেকে তার প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রাম শেষ করেন। তিনি থাঙ্গাল কুঞ্জু মুসালিয়ার কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, কেরালা ইউনিভার্সিটি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রী এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, ব্যাঙ্গালোর থেকে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন গতিবিদ্যা এবং নিয়ন্ত্রণে বিশেষীকরণ সহ।

স্নাতক হওয়ার পর, সোমানাথ ১৯৮৫সালে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে যোগ দেন। তিনি পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে যুক্ত ছিলেন। তিনি ২০১০ সালে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের সহযোগী পরিচালক এবং জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক III লঞ্চ ভেহিক্যালের প্রকল্প পরিচালক হন। এছাড়াও তিনি নভেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত প্রোপালশন এবং স্পেস অর্ডিন্যান্স সত্তার ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন।

জুন ২০১৫সালে, তিনি তিরুবনন্তপুরমের ভ্যালিয়ামালার লিকুইড প্রপালশন সিস্টেম সেন্টারের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং জানুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। সোমানাথ কে. সিভানের কাছ থেকে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নেন যিনি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। ২০২২ সালের জানুয়ারীতে, তিনি আবার কে. সিভানের স্থলাভিষিক্ত হয়ে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই কে সিভান-এর নেতৃত্বে ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ পাঠানো হয়েছিল। সেবার অবশ্য ব্যর্থ হয়েছিল অভিযান। তবে কে সিভান ও ইসরোর বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টাকে খাটো করা যাবে না। আজকের সাফল্যের পিছনেও কিন্তু গতবারের টিমের বিজ্ঞানিদের খুবই উজ্জ্বল।

বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ, ১৮তম বার্ষিক সমাবর্তন উপলক্ষে সোমানাথকে ২৫শে সেপ্টেম্বর SRM ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, তামিলনাড়ু দ্বারা ডক্টরেট অফ সায়েন্স (অনারিস কসা) প্রদান করা হয়। চাঁদে চন্দ্রযান-৩ সফল অবতরণে তিনি প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন।

Published on: আগ ২৩, ২০২৩ @ ২৩:২৬


শেয়ার করুন