COVID-19 মহামারী: 2020 সালে এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি শূন্য শতাংশে নামার শঙ্কা- রিপোর্ট IMF-এর

অর্থ ও বাণিজ্য কোভিড-১৯ দেশ বিদেশ
শেয়ার করুন

  • 8.7 শতাংশ গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিস এবং 1.3 শতাংশ এশিয়ান ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিস-এর সময়কালে ঘটেছে।
  • প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলি সীমিত আর্থিক ক্ষেত্রের পাশাপাশি তুলনামূলকভাবে অনুন্নত স্বাস্থ্য অবকাঠামোকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
  • বিশ্ব অর্থনীতি 2020 সালে তিন শতাংশ সংকোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্তত ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের রিপোর্ট সেকথাই বলছে।
  • চীনের প্রবৃদ্ধি 2019 সালের 6.1 শতাংশ থেকে 1.2 শতাংশে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে 2020 সালে।
Published on: এপ্রি ১৬, ২০২০ @ ২০:৪৮
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, ১৬ এপ্রিল:  বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিভাবে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়া যাবে তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে আলোচনা। 2020 সালে প্রবৃদ্ধির পরিমান নিয়ে দেখা দিয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড এক রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে যে 2020 সালে এশিয়ায় প্রবৃদ্ধির পরিমাণ শূন্য শতাংশে নেমে আসতে পারে। গত 60 বছরে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি।

করোনাভাইরাস আজ গোটা বিশ্বকে যেভাবে গ্রাস করেছে

  • করোনাভাইরাস আজ গোটা বিশ্বকে যেভাবে গ্রাস তাতে সোজা হয়ে দাঁড়াতে এই বিশ্বকে যে কতদিন লাগবে তা বোধ হয় সামনের দিনগুলি আমাদের জানিয়ে দেবে। কোথায় গিয়ে কোন দেশ দাঁড়াবে বিশেষ করে গরিব দেশ বা অনুন্নত দেশগুলি তা কেউ জানি না। এটি এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করেছে যা কিনা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার চেয়েও খারাপ। 8.7 শতাংশ গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিস এবং 3 শতাংশ এশিয়ান ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিস-এর সময়কালে ঘটেছে। এ থেকে একটা চিত্র পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে আমাদের কাছে যে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের চাইতে এশিয়া এখনও ভাল জায়গায় আছে।
  • একটা ছবি লক্ষ্য করা গিয়েছে যে কোরিয়ার ক্ষেত্রে 5 শতাংশ অবস্থায় থাকার সময় থেকেই তারা উৎপাদন বন্ধের কাজ কমিয়ে দিয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমনকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে।অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রে 9 শতাংশেরও বেশি বিশ্বব্যাপী পর্যটন মন্দা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে এটাও লক্ষ্য করা গিয়েছে যে প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলি সীমিত আর্থিক ক্ষেত্রের পাশাপাশি তুলনামূলকভাবে অনুন্নত স্বাস্থ্য অবকাঠামোকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

দ্বিগুণ মন্দা

বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক দৈন্যতা নির্ভর করছে কয়েকটি বিষয়ের উপর। ঘরোয়া রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা এবং সামাজিক দূরত্বের প্রভাব ছাড়াও দুটি মূল কারণ এশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করছে-১) বৈশ্বিক মন্দা ও ২)চীন মন্দা।এই দ্বিগুন মন্দা ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছে।

বৈশ্বিক মন্দা: বিশ্ব অর্থনীতি 2020 সালে তিন শতাংশ সংকোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্তত ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের রিপোর্ট সেকথাই বলছে। এর মূল কারণ বিশ্বব্যাপী শাটডাউন। এই পরিস্থিতিতে এশিয়ার মূল ব্যবসায়ের অংশীদাররা আমেরিকায় 6 শতাংশ এবং ইউরোপ 6..6 শতাংশ যুক্ত করে দ্রুত চুক্তি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চীন মন্দা: চীনের প্রবৃদ্ধি 2019 সালের 6.1 শতাংশ থেকে 1.2 শতাংশে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে 2020 সালে। গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিস চলাকালীন চীনের প্রবৃদ্ধি পারফরম্যান্স লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে এটি তাদের প্রবৃদ্ধির বিপরীতে গিয়েছে। দেখা গেছে, 2009 সালে প্রায় 8 শতাংশের জিডিপি বেড়ে হয়েছিল 9.4 শতাংশ। তবে এবার সেই আশা কেউ করছে না। ফলে এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যে এবার ভাল হবে না সেটা বলাই বাহুল্য।

আইএমএফ-এর  সমর্থন

COVID-19-এর মহামারীর পর আইএমএফ এইসব দেশগুলির সাথে যোগাযোগ রাখা শুরু করেছে। তাদের পরামর্শ এবং সহায়তা দেওয়ার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা করছে। যে করেই হোক এই কঠিন যুদ্ধে জিততে তারা মরীয়া। আইএমএফ জানিয়েছে- 15 টিরও বেশি দেশ তাদের দুটি জরুরি অর্থায়নের সরঞ্জামের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে – ১)র‌্যাপিড ক্রেডিট সুবিধা এবং ২)দ্রুত তহবিল সরবরাহ যন্ত্র। তহবিলের বৈশ্বিক আর্থিক সুরক্ষা জালের অংশ হিসাবে একটি স্বল্প-মেয়াদী তরলতা লাইনও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মনে করা হচ্ছে সদস্য দেশগুলির জন্য যা খুব শক্তিশালী নীতি এবং মৌলিক সংস্থাগুলির সাথে এক নতুন পথ খুলে দেবে।

Published on: এপ্রি ১৬, ২০২০ @ ২০:৪৮


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

70 − 69 =