কাউন্টডাউন শুরু: রচনাকার কলকাতার সাহিত্যসম্মান ঘিরে উৎসাহ তুঙ্গে

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

রচনাকার কলকাতার এবছরের শ্রেষ্ঠ প্রজ্ঞা পুরস্কার পাচ্ছেন ভাঁওয়ার পৃথ্বীরাজ রতনু

Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২০ জুলাই:   আর মাত্র কিছু সময়। তারপরই কলকাতায় শুরু হতে চলেছে রচনাকার সাহিত্যসম্মান সমারোহ অনুষ্ঠান। যেখানে এবার রচনাকার কলকাতার এ বছরের শ্রেষ্ঠ সম্মান প্রজ্ঞা পুরস্কার পাচ্ছেন রাজস্থানের বিকানেরের বাসিন্দা প্রখ্যাত সাহিত্যিক ভাঁওয়ার পৃথ্বীরাজ রতনু। আগামিকাল রবিবার ২১জুলাই ২০২৪ কলকাতায় ভারতীয় ভাষা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হতে চলেছে। এই উপলক্ষ্যে মোট সাতটি পুরস্কার প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, কলকাতার বাসিন্দা অভিবাসী শিল্পপতি, সমাজসেবক, রাজস্থানীয় বংশোদ্ভূত সাহিত্যিক (থোই _সিকার) সুরেশ চৌধুরী (আগারওয়াল) এবং সাহিত্যিক ইন্দু ঝুনঝুনওয়ালার বই প্রকাশ করা হবে।

দেশের সাহিত্যের রাজধানী কলকাতার রচনাকার রাজস্থানের প্রবীণ সাহিত্যিক ডিঙ্গলের অগ্রগামী কবি এবং রাজস্থানী লোকসংস্কৃতির প্রবীণ সাহিত্য বিশেষজ্ঞ সম্মানীয়  ভাঁওয়ার পৃথ্বীরাজ জি রত্নু দাসোদি (বিকানের) কে এই বছরের শ্রেষ্ঠ প্রজ্ঞা পুরস্কার প্রদান করছে।

গত মাসে ২৯ জুন কলকাতায় রাজস্থান সরকারের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের নিজস্ব ভবনে এক সাংবাদিক সম্মলনে এই সাহিত্য সমারোহ এবং পুরস্কার প্রদানের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা করেন বিখ্যাত পণ্ডিত, রচনাকারের প্রতিষ্ঠাতা, কলকাতার বাসিন্দা অভিবাসী শিল্পপতি, সমাজসেবক, রাজস্থানীয় বংশোদ্ভূত সাহিত্যিক (থোই _সিকার) সুরেশ চৌধুরী (আগারওয়াল)। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থান সরকারের কলকাতায় তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর হিংলাজ দন রতনু।

ওই সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতার রাজস্থান ইনফরমেশন সেন্টারের মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য দিতে গিয়ে, রচনাকারের প্রতিষ্ঠাতা সুরেশ চৌধুরী, রচনাকারের কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান রচনা শরণ, রচনার সহসভাপতি ড. বিদ্যা ভান্ডারী এবং রচনাকারের প্রচার মন্ত্রী রাভেল পুষ্প সাংবাদিক সম্মেলনে যৌথভাবে জানানো হয়, এ বছর সাতটি পুরস্কার প্রদান করা হবে। 21 জুলাই 2024 তারিখে সকাল 10 টায় ভারতীয় ভাষা পরিষদ মিলনায়তনে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

সম্মাননা হিসেবে ভানওয়ার পৃথ্বীরাজ জি রত্নুকে একান্ন হাজার টাকা, অভিনন্দন পত্র, লতাপাতা, শাল, নেকলেস ও স্মারক প্রদানের মাধ্যমে এই সম্মাননা প্রদান করা হবে।

এই জমকালো ও মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মহামান্য রাজ্যপাল।

আর বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন লক্ষ্মীনারায়ণ ভালা, পন্ডিত সুরেশ নিরভ, বিশ্বম্ভর নেভার, ডক্টর সোমা বন্দোপাধ্যায়, হিংলাজ দান রত্নু, ইন্দুঝুনওয়ালা জি।

এই উপলক্ষে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সুরেশ চৌধুরীর উপর একটি পত্রিকা প্রজ্ঞান পত্রিকা প্রকাশিত হবে। তারপর রাজ্যপালের লেখা “অষ্ট ভারতী” বইটি প্রকাশিত হবে। এরপর আরও একটি বই ইন্দু ঝুনঝুনওয়ালার একটি বই – ‘ভালা শব্দ মে কেয়া রাখা হ্যায়’ প্রকাশ করা হবে।

পুরস্কৃত হবেন- লক্ষীনারায়ণ ভালা, ভাঁওয়ার পৃথ্বীরাজ রত্নু, ডা ইন্দু ঝুনঝুনওয়ালা, বিজয় স্বর্ণকার, জ্ঞানচাঁদ মর্মজ,  নন্দ লাল রোশন এবং প্রবীর কুমার মুখোপাধ্যায়।

মঞ্চ সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকবেন রচনা সরন এবং ড জীতেন্দ্র কুমার। ধ্ন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন চন্দা প্রহ্লাদকা।

  • এরপর রচনাকার শ্রেষ্ঠ প্রজ্ঞা সম্মান হিসাবে বিকানেরের ভানওয়ার পৃথ্বীরাজ জি রত্নুকে একান্ন হাজার টাকা প্রদান করা হবে। এটা অরুণ আগরওয়ালের সহযোগিতায় দেওয়া হবে।
  • এরপর রচনাকার দুর্গাবতী চৌধুরী স্মৃতি সাহিত্য সাধক সম্মান নয়া দিল্লির বিজয় স্বর্ণকারকে প্রদান করা হবে। তাকে ১১ হাজার টাকা নগদ প্রদান করা হবে। এটি সুরেশ চৌধুরীর সৌজন্যে দেওয়া হবে।
  • রচনাকার প্রতিভা সম্মান প্রদান করা হবে গজলকার নন্দলাল রোশনকে প্রদান করা হবে। এজন্য তাকে নগদ পাঁচ হাজার ১০০ টাকা নগদ প্রদান করা হবে।
  • রাষ্ট্রকবি রামধারী দিনকর , তাঁর পরিবারের থেকে কিছু সম্মান আসে। দিল্লির লক্ষীনারায়ণ ভালাকে রচ্নাকার দিনকর সাহিত্য শিরোমণি সম্মান প্রদান করা হবে।
  • রচনাকার দিনকর সাহিত্য সাধক সম্মান বেঙ্গালুরুর ইন্দু ঝুনঝুনওয়ালাকে প্রদান করা হবে।
  • রচনাকার দিনকর কাব্য শিখর সম্মান প্রদান করা হবে জ্ঞাঞ্চাঁদ মর্মজকে।
  • রচনাকার কর্মযোগী ননীগোপাল চক্রবর্তী সাহিত্য সম্মান (বাংলা সাহিত্য) ড. সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের পক্ষ থেকে কলকাতার বাঙালি সাহিত্যিক প্রবীর কুমার মুখোপাধ্যায়কে প্রদান করা হবে। এই সম্মান হিসাবে তাকে ১০ হাজার ১০০ টাকা প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানে যে সমস্ত অতিথিদের সম্মান প্রদান করা হবে এবং কাব্য পাঠ করবেন তারা হলেন- সুরেশ নীখ, ভাঁওয়ার পৃথ্বীরাজ রতনু, জ্ঞানচাঁদ মর্মজ, বিজয় স্বর্ণকার, প্রবীর কুমার মুখোপাধ্যায়, নন্দলাল রোশন, হিংলাজ দন রতনু, ইন্দু ঝুনঝুনওয়ালা, রাখী কাটিয়ার, গীতেশ্বর বাবু ঘায়েল, প্রমোদ রামায়ত, বন্দনা যোগী, রত্নেশ্বর সিংহ, সুশীল সাহিল, সুভাষ সিংহ, জীতেন্দ্র কুমার, মধু মিশ্র, রুবী ভূষণ, রাজেশ প্রভাকর, রবি প্রসাদ সিংহ এবং সঙজয় শুক্ল। এই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন মাধুরী স্বর্ণকার/ চন্দা প্রহ্লাদকা।

এই সংস্থাটি ২১টি দেশে ছড়িয়ে আছে। সাহিত্য-সংস্কৃতির জগতে এমন অনেকে আছেন যারা সাহিত্যের খুবই ভাল কাজ করেছেন অথচ কোনদিন সম্মান কিংবা পুরস্কার পাননি এই সংস্থা সেই সমস্ত মানুষদের সম্মান প্রদান করে থাকেন। সারা দেশ থেকেই এই পুরস্কার প্রাপকদের নির্বাচন হয়ে থাকে। ২০ ও ২১ জুলাই দুদিন ভারতীয় ভাষা পরিষদের হলে এই অনুষ্ঠান হবে

তৎপরিবর্তন ভব’র উদ্দেশ্যকে পূর্ণ করতে “রচনাকার- এক সাহিত্যিক এবং সাংস্কৃতিক ক্রান্তি” তৈরি করা হয়। এই সংস্থাটি শুক্তিকা ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এর এক প্রকল্প। যারা ভারতীয় সেবা, চিকিৎসা –বিশেষ করে ক্যান্সারের রোগে আক্রান্ত অসমর্থ মানুষদের সাহায্য এবং ভারতীয় সংস্কৃতি এবং সাহিত্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছে।

শুক্তিকা ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ভারত সরকারের আয়কর বিভাগের দ্বারা স্বীকৃতি প্রাপ্ত সরকারি সংস্থান। যেখানে দান করা অর্থ আয়কর ধারা ৮০জি অনুযায়ী ছাড় দেওয়া হয়। রচনাকারের মুখ্য উদ্দেশ্য –নয়া রচনাকারকে মূল স্রোতে নিয়ে আসা এবং তাকে যথাযথ মঞ্চ প্রদান করা। তার সাহিত্য এবং কলাকে বিশ্বের দরবারের পৌঁছে দেওয়া। সাহিত্য, কলা এবং সংস্কৃতির জগতের বিশিষ্টজনদের সম্মানিত করা এবং তাদের মর্দা দেওয়াই এই সংস্থার কর্তব্য।

রচনাকারের সূচনা হয় ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি। এক বছরেরও কম সময়ের ব্যবধানে সংস্থাটি তার পরিচিত করে ফেলে। তারা সমস্ত উৎসব যেমন- হোলি, দেওয়ালি, তীজ, মকর সংক্রান্তি, নব বর্ষ, রাখী বন্ধন, করোয়া চৌথ, স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস সহ একাধিক উৎসব তারা পালন করে থাকে।

Published on: জুলা ২০, ২০২৪ at ১০:০৬


শেয়ার করুন