বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে

Main দেশ বাংলাদেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ১৮, ২০২৪ at ০৯:৩৪

এসপিটি নিউজ, কলকাতায়, ১৮ মার্চ:   গতকাল রবিবার ১৭ মার্চ কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে উদযাপিত হল বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস।

এদিন সকালে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং “মুজিব চিরঞ্জীব” মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক দেওয়া হয়। এ ছাড়া এদিন বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তা- কর্মীরা একইভাবে সম্মান জানান। এরপর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি-বিজড়িত ইসলামি কলেজ (বর্তমানে মৌলানা আজাদ কলেজ)-এর বেকার গভর্নমেন্ট হস্টেলে (কক্ষ নং-২৪) তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।

এদিন উপ-হাইকমিশনের বাংলাদেশের গ্যালারীতে বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস-এর নেতৃত্বে উপ-হাইকমিশনের রাজনৈতিক , ক্রীড়া ও শিক্ষা, বাণিজ্য, কন্সুলার এবং প্রেস উইং-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর ছবিতে পুষ্পস্তবক দেন। এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী র পাঠানো বানী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে- কাউন্সিলার (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম, কাউন্সিলার (কনসুলার) এএসএম আলমাস হোসেন এবং প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মোঃ শামসুল আরিফ।

আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন শেখ রাসেলের বাল্যবন্ধু ও উন্নয়নকর্মী নাতাশা আহমেদ এবং কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশীষ সুর। বিশিষ্ট সাংবাদিক স্নেহাশীষ সুর কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর চর্চাকেন্দ্র গরে তোলার আহ্বান জানান। নাতাশা আহমেদ বলেন- বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে বাঙালির অধিকার আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। তিনি ছিলেন উদার ও সাহসী একজন মানুষ।

সভাপতির বক্তব্যে উপ-হাইকমিশোনার আন্দালিব ইলিয়াস বলে- শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অপরিসীম ভাল্বাসা। শিশুদের জন্য নিরাপদ পৃথিবী ছিল তাঁর স্বপ্ন। তাঁর সুযোগ্যা কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশ আজ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে।

এই দিনটি উপলক্ষ্যে ১৭ মার্চ বেলা ১২টায় উপ-হাইকমিশনের বাংলাদেশ কনফারেন্স হলে শিশূ-কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্কন এবং রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সব শেষে শিশূ-কিশোরদের আবৃত্তি, নাচ এবং সঙ্গীত দর্শোক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।

Published on: মার্চ ১৮, ২০২৪ at ০৯:৩৪


শেয়ার করুন