বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবস উপলক্ষে আলিপুর চিড়িয়াখানা পেল তিন অতিথিকে

Main দেশ বন্যপ্রাণ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

এক জোড়া পুরুষ ও মহিলা বাঘ এবং একটি মালায়ান তাপির পেল আলিপুর চিড়িয়াখানা- শুভঙ্কর সেন গুপ্ত, ডিরেক্টর, আলিপুর চিড়িয়াখানা।

Published on: মার্চ ৪, ২০২৪ at ২৩:০০
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৪ মার্চ: পশুপ্রেমীদের জন্য সুখবর এনেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। আজই উত্তরবঙ্গ থেকে এসে পৌঁছেছে তিন নয়া অতিথি- দুটি বাঘ এবং একটি মালায়ান তাপির। আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর শুভঙ্কর সেন গুপ্ত জানিয়েছেন, গতকাল ৩ মার্চ গিয়েছে বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবস। দিনটির তাৎপর্যকে  মাথায় রেখেই  প্রাণীগুলিকে নিয়ে আসা হয়েছে। আগামিকাল ৫মার্চ মঙ্গলবার থেকে প্রাণীগুলিকে দর্শনার্থীরা দেখতে পারবেন।

আগামিকাল মঙ্গলবার থেকে দর্শনার্থীরা দেখতে পারবেন- শুভঙ্কর সেন গুপ্ত

আলিপুর চিড়িয়াখানার চিফ কনজারভেটর অব ফরেস্টস এবং ডিরেক্টর শুভঙ্কর সেন গুপ্ত সোমবার সংবাদ প্রভাকর টাইমস-কে জানিয়েছেন – আলিপুর চিড়িয়াখানা উত্তরবঙ্গ বন্য প্রাণী উদ্যান থেকে বার্কিং ডিয়ার, পাইথন এবং একটি ওয়াটার মনিটর লিজার্ড-এর বিনিময়ে এক জোড়া পুরুষ এবং মহিলা বাঘ পেয়েছে। একই সঙ্গে একটি মালায়ান তাপিরও পেয়েছি। এই তিন নতুন অতিথিকে আগামিকাল মঙ্গলবার থেকে দর্শনার্থীরা দেখতে পারবেন।

মালায়ান তাপির এক ধরনের তৃণভোজী প্রাণী

মালায়ান তাপির এক ধরনের তৃণভোজী প্রাণী। এদের মালয়, সুমাত্রা, বর্নিও অঞ্চলে দেখা যায়। মালয়ান তাপির (টাপিরাস ইন্ডিকাস), যাকে এশিয়ান  তাপির, এশিয়াটিক তাপির, প্রাচ্য তাপির, ভারতীয় তাপির, পাইবল্ড  তাপির বা কালো-সাদা  তাপিরও বলা হয়, আমেরিকার বাইরে একমাত্র জীবিত তাপির প্রজাতি। এটি মালয় উপদ্বীপ থেকে সুমাত্রা পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থানীয়। এটি 2008 সাল থেকে আইইউসিএন রেড লিস্টে বিপন্ন হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছে, কারণ জনসংখ্যা 2,500 টিরও কম পরিপক্ক ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত বলে অনুমান করা হয়।

আলিপুর চিড়িয়াখানায় 1877 সাল থেকে তাপির থাকার ইতিহাস রয়েছে

ডিরেক্টর শুভঙ্কর সেন গুপ্ত তাপির প্রসঙ্গে বলেন- “আলিপুর চিড়িয়াখানায় যে মালায়ান তাপির আমরা পেয়েছি যেটি ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়িতে 22.02.2024 তারিখের Ld-এর আদেশের ভিত্তিতে CJM, জলপাইগুড়ি উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং যত্নের জন্য জব্দ করা হয়েছিল।  আলিপুর চিড়িয়াখানায় 1877 সাল থেকে তাপির থাকার ইতিহাস রয়েছে এবং তাপিরদের সফল প্রজননের রেকর্ডও রয়েছে। 1877 সাল থেকে 1980 সাল পর্যন্ত, আলিপুর চিড়িয়াখানায় তাপির একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় প্রদর্শনী ছিল।

এধরনের বন্যপ্রাণের আদান-প্রদান হয়ে থাকে

গতকাল ছিল বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবস। সেই দিনের কথা মাথায় রেখেই আমরা প্রাণিগুলিকে নিয়ে এসেছি। তবে তারা আজ সোমবারই আলিপুর চিড়িয়াখানায় এসে পৌঁছেছে। তারা সকলেই সুস্থ আছে। তিনজনকেই তাদের নিজস্ব এনক্লোজারে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সারা দেশেই এই ধরনের প্রক্রিয়া চলে। বিভিন্ন বন্য প্রাণী এলাকা থেকে চিড়িয়াখানা থেকে এধরনের বন্যপ্রাণের আদান-প্রদান হয়ে থাকে। এই রুটিন প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। যোগ করেন শুভঙ্করবাবু।

3টি বিশেষভাবে তৈরি আধুনিক অ্যাম্বুলেন্সে আনা হয়েছে

এই তিনটি প্রাণীকে নিয়ে আসার জন্য রাজ্যের প্রশাসন  এবং বন দফতর বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। 3টি বিশেষভাবে তৈরি আধুনিক অ্যাম্বুলেন্সে পশুচিকিত্সক, জীববিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, পশু তত্ত্বাবধায়ক এবং পশু পরিচর্যাকারী সহ বিশেষজ্ঞদের একটি দল প্রাণীগুলিকে কলকাতায় নিয়ে আসে। সাধারণ প্রশাসন, পুলিশ ও বন প্রশাসন পথ চলার পথে তাদের সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে নরক ও হৃদয়বান প্রাণীদের আনার জন্য।

ছবিগুলি আলিপুর চিড়িয়াখানার সৌজন্যে

Published on: মার্চ ৪, ২০২৪ at ২৩:০০

 


শেয়ার করুন