
- এয়ার ইন্ডিয়া ঘোষণা করেছিল যে তারা আগামী ৪ মে থেকে দেশীয় উড়ানের বুকিং নেওয়া শুরু করছে।
- এই সংবাদ প্রকাশ হতেই দেশজুড়ে সকলের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে -তবে কি, লকডাউন খুব তাড়াতাড়ি উঠে যাচ্ছে? না কি, উড়ান পরিষেবা চালু করে দেওয়া হচ্ছে?
- গতকাল রাতেই এই প্রশ্নের জবাব দেন ভারত সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন দফতরের মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।
- তিনি এক ট্যুইট-এ জানিয়ে দেন যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করার বিষয়ে মিনিস্ট্রি অব সিভিল অ্যাভিয়েশন এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।
- একই সঙ্গে তারা পরামর্শ দিয়েছে যে সরকারি সিদ্ধান্ত ছাড়া এই বিষয়ে যেন কেউ বুকিং না নেয়।
Published on: এপ্রি ১৯, ২০২০ @ ০০:৫০
Reporter: Aniruddha Pal
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৯ এপ্রিল: গতকাল সারাদিন ধরে একাধিক সংবাদ চ্যানেলে একটি খবরকে ঘিরে প্রশ্ন দানা বেঁধেছিল- তবে কি লকডাউন-এর মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে। কারণ, এয়ার ইন্ডিয়া ঘোষণা করেছিল যে তারা আগামী 4 মে থেকে দেশীয় উড়ানের বুকিং নেওয়া শুরু করছে। এরপর রাতে এর পরিণতি জানা যায়।
দেশজুড়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন
দেশজুড়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে। দেশের 150টির বেশি জেলাকে হটস্পট করে দেওয়া হয়েছে। মৃতের সংখ্যা 500 কাছে পৌঁছে গিয়েছে।পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশবাসীকে লকডাউন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও এবার লকডাউনকে কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছে। কিভাবে এর মোকাবিলা করা যায়, কিভাবে দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসা যায় তা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরাকগুলি দফায় দফায় ভিডিও কনফারেন্স জারি অব্যাহত রেখেছে।
এয়ার ইন্ডিয়া-র ঘোষণা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন
এমন পরিস্থিতির মধ্যে গতকাল আচমকা এয়ার ইন্ডিয়া ঘোষণা করে যে আগামী 4 মে থেকে দেশীয় উড়ানের বুকিং নেওয়া শুরু করছে। এমনকী, 1 জুন থেকে নেওয়া হবে আন্তর্জাতিক উড়ানের বুকিং। এই সংবাদ প্রকাশ হতেই দেশজুড়ে সকলের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে -তবে কি, লকডাউন খুব তাড়াতাড়ি উঠে যাচ্ছে? না কি, উড়ান পরিষেবা চালু করে দেওয়া হচ্ছে? যেখানে গত 11 এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন যে লকডাউন রাখতে হলে গোটা দেশেই তা চালু রাখতে হবে। একই সঙ্গে তিনি আরও প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে দেশে রেল-বাস এবং বিমান পরিবহন এই সময় বন্ধ রাখতেই হবে। তাঁর সেই পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্যান্য রাজ্যের প্রায় সব মুখ্যমন্ত্রীই মেনে নিয়েছিলেন। স্থির হয় যে এসব বন্ধই রাখা হবে। কিন্তু তারপর কি করে এয়ার ইন্ডিয়া এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
ট্যুইট-এ জানান মন্ত্রী
গতকাল রাতেই এই সমস্যার সমাধান সূত্র দেন ভারত সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন দফতরের মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। তিনি এক ট্যুইট-এ জানিয়ে দেন যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করার বিষয়ে মিনিস্ট্রি অব সিভিল অ্যাভিয়েশন এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। একই সঙ্গে তারা পরামর্শ দিয়েছে যে সরকারি সিদ্ধান্ত ছাড়া এই বিষয়ে যেন কেউ বুকিং না নেয়।
টাফি-র বক্তব্য
ট্রাভেল এজেন্ট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া-র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বলেন- “মন্ত্রক একেবারে ঠিক সময় তার কথা জানিয়েছে। না হলে বুকিং নেওয়া শুরু হয়ে গেলে আবার বহু মানুষ হয়রানির স্বীকার হতো। তারা একেবারে ঠিক সময়ে এটা আটকে দিয়ে খুব ভালো করেছে। এর ফলে বহু মানুষ বিভ্রান্তির হাত থেকে রেহাই পেলো।”
Published on: এপ্রি ১৯, ২০২০ @ ০০:৫০